নদীর মত কেউ নীলাঞ্জন বিদ্যুৎ এভাবে ডেকে যাই নদীকে প্রতিদিন কোথাও নদী নেই বালির প্রহরায় দারুণ দাবদাহে পৃথিবী সঙ্গীন এখানে হাঁসফাঁস গাছেরা কী মলিন; যদিও ফোটে গাছে ফুলেরা ঘ্রানহীন উধাও মেঘদল পাখিরা অসহায়, মরাল গ্রীবা তার; সে তুমি উড্ডীন দেখেছ ভয়ানক মানুষ তড়পায়। জেনেছি কতদিন,মাটির কত আগে হয়েছে এ হৃদয় ভীষণ মরুময় খোলস ফেলে রেখে অনেকে আগে-ভাগে পালিয়ে অবেলায় দারুণ অনুরাগে! আনে কী পরাজয়, গলিত চাঁদ জাগে; নদীর মত কেউ স্নিগ্ধ অতিশয় রাঙাক দেহমন রাঙাবে এই ফাগে তুমি তো নদী নও যে আনে বরাভয়। নদীর বুকে ছিল হাওয়ার জয়গান জলের সৌরভে ভরেছে এ হৃদয় খুঁজেছি সেই আমি নদীর সন্তান তোমার…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
আসছে… অমর একুশে বইমেলা-২০২৩ কবি কামরুন নাহার’র একক কাব্যগ্রন্থ: একাকী জীবন বইয়ের নাম: একাকী জীবন বইয়ের ধরন : কাব্যগ্রন্থ লেখক: কামরুন নাহার প্রকাশকাল: একুশে বইমেলা-২০২৩ প্রকাশনী: প্রতিবিম্ব প্রকাশ। সম্পাদনা: আবুল খায়ের প্রচ্ছদ: আল নোমান আইএসবিএন: 978-984-96965-1-3 প্রতিবিম্ব প্রকাশ (সৃজনশীল লেখকের ঠিকানা) অফিস: বাড়ি:০১ (চতুর্থ তলা), সড়ক: ১৪/বি, সেক্টর: ০৪, উত্তরা, ঢাকা ফোন: ০১৭১৫৩৬৩০৭৯ ইমেইল: khair.hrm@gmail.com ওয়েব: https://protibimboprokash.com/ পেজ: https://www.facebook.com/protibimboprokash
ছুঁয়ো না মাধূরী যমুনার জল শাহ্ নাজমুল এক বিরল জোছনায় ভেসে যায় এই চিরন্তন ভালোবাসা সৌধ- তাজমহল। গুটিকয় রোমান্টিক যুগলের সাথে ইমার হাত ধরে দেখছি ধরণীর বিস্ময়। আজ আকাশও যেন পেখম মেলেছে উপরে হালকা নীলে অযূত নক্ষত্র তাজ এর শুভ্র পাথরে ঠিকরাচ্ছে মায়াবী জোছনা। চতুর্দিকে সজ্জিত পূষ্পিতা বৃক্ষরাও আমাদের বিস্ময়ের আবহে স্হির। আমরা কি রয়েছি এই নিগ্রহ ভূবনে? দুঃখ- জ্বরা, খুনোখুনি হতাশার দ্বীপে? যুদ্ধের বিভীষিকায় যেখানে রক্তের নদী ঢেকে দেয় সুফলা জমিন। সহচরীর কম্পিত কর-এ কিসে খেলা করে? তার সুডৌল গ্রীবা, পানপাতা মুখে কিসের উদ্ভাস? তার কপাল- কপোল জুড়ে কিসের পূলক? স্তব্ধ প্রকৃতি আর মুগ্ধ পর্যটক সারি। পশ্চাতে যমুনার জলের…
প্রিয়তম ইকবাল হাসান প্রিয় তোমাকে প্রথম দেখাতেই প্রচন্ড ভালবেসেছিলাম। রুশ ঔপন্যাসিক ইভান তুর্গেনিভ লিখেছিলেন ‘ভালোবাসার জন্য অনন্তকালের প্রয়োজন নেই, একটি মুহূর্তই যথেষ্ট’। কথাটা আমার ক্ষেত্রে যথাযথই মিলে গেছে। ঠিক একটি মুহূর্তেই মন উজাড় করে ভালোবেসেছি তোমাকে। আমি অনন্তকালের জন্য অপেক্ষা করিনি! যদি আমি রোমান্টিক কবি পার্শি বিশি শেলি হতাম তোমার জন্য লিখেতাম হাজার খানেক ভালোবাসার কবিতা। আমার কাছে ভালোবাসার সংজ্ঞা তুমি। যাইহোক প্রিয়, আমার ফরেনসিক রিপোর্ট হয়তো হবে, তোমার ভালোবাসার হিমালয় পাড়ি দিতেই আমার পরিণতি। তোমার জন্যই আমার ভালোবাসা। আমার জীবন। তুমি যে আমার একমাত্র কন্যা সন্তানের জনক! জন্মবার্ষিকীতে অনেক শুভেচ্ছা প্রিয়তম! আত্মসমর্পণ ভালোবাসতে চাই,তোমাতে ডুবে থাকতে চাই ভিজতে…
তোমার জন্য যত আয়োজন পি, এন, এম, জীবউন নেছা (পারভীন নাহার) মহিলা কলেজের শিক্ষক তাই মেয়েদের কে পড়াই, তাদের যতো অধিকার আছে তা তাদের কে জানাই। সামাজিক সমস্যা যখন পড়াই অন্যান্য সমস্যার সাথে বাল্যবিবাহ, যৌতুক ও মাদকাসক্তি কে তুলে ধরি ভাই। অধিক জনসংখ্যা, বেকারত্ব ও অটিজম আরো আছে অপুষ্টি ও জলবায়ুর পরিবর্তন। নারী শিক্ষার কি প্রয়োজন? নারীর ক্ষমতায়নই বা কি? এটার আবার কি প্রয়োজন! নারীর জন্য রাষ্ট্রের আছে কতো আয়োজন সবই জানা অতীব প্রয়োজন। আমাদের আছে নারী নীতি চাকরি ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি নারীর অনুকূলে আছে অনেক আইন সর্ব সাধারণ তা কি জানেন? ১৯৬১সালের মুসলিম পারিবারিক আইন নির্ধারণ করে দিলো উত্তরাধিকার,…
কি জানি কি হয় সাবিনা সিদ্দিকী শিবা কি হতে কি হবে আজ, বুঝতেছিনা কিছু। একটা বল নিয়ে ছুটবে, বাইশ জন পিছু। কেউ দৌঁড়াবে হালকা মুডে, কেউ ক্ষিপ্ত পায়ে। বলটা যেন ছুটে গিয়ে, লাগে নেটের গায়ে। পরান ধুকপুক করতে থাকবে, প্রতি দলের ভক্তের। নিজের দলের গোল হলে, নাচন দেখবো রক্তের। জিতে গিয়ে কেউ লাফায়, কারও চোখে জল। কোন কোন দল জিতে, হারে কার কার দল। হারুক জিতুত,যা করুক, হাসি মুখেই মানবো। এটা কেবল খেলার হারজিত, এটাই সবাই জানবো। দল যার যার আনন্দ সবার, নয় ভেদাভেদ তবে। ঝগড়াঝাটি করে জয়, কে পেয়েছে কবে? কি জানি কি হয়, লাগছে ভীষণ ভয়। আজ জানি…
একাকিত্ব সৈয়দা রোখসানা বেগম কেমন লাগে একা ? কেউ একজন জিজ্ঞেস করলো , উদাসীনতাকে সামলে নিয়ে কিছুক্ষন চুপ থেকে বললাম, একাই তো ছিলাম ! সেই কবে থেকে একা ! কারও সাথে অনুভূতির লেনদেন নেই, শরীর, মনের ভালো লাগা না লাগার বালাই নেই, সেটা কি একা থাকা নয় ! যখন নির্ভরতা পাবার আশায় হাত বাড়িয়েছি, ঠেলে দিয়েছো একাকী স্বনির্ভর হতে। সেই থেকে একাকীত্বকেই ভালোবেসেছি। নিজেকে ভালোবাসতে শিখেছি। তখন এইটুকু ভালোবাসা পাবার আশায় আশেপাশে সব জলাঞ্জলী দিয়েছিলাম, আজ ফিরে পাচ্ছি একটু একটু করে যা হারিয়েছিলাম। তাই ভালো আছি একাকীত্বকে ভালোবেসে। সৈয়দা রোখসানা বেগম কানাডা: December 4/2022
উত্তাল সাগরে উপলব্ধি (শিরীনা ইয়াসমিন) তপ্ত বালিতে পুড়ে শীতল হয়েছি রাত দুপুরে। চাঁদের আলোয় ভেসেছি তখন,তুই সঙ্গেই এলি এতো করে মানা করেছি শুনলি না! অফিস ট্যাুর। তবু এলি রইলি ছায়ার মতো, এবার যাবো জাহাজে সাঁতার জানিস তো? ডুবলে তো ডুববি আমাকে নিয়েই।ভেসে চলেছি সাগরে হঠাৎ বললি চল বসি কার্পেটে।ঢেউ ভেঙে ভেঙে এগিয়ে চলেছি। ওমনি বায়না ধরলি কোলে মাথা রেখে সাগর দেখলে কেমন লাগে দেখিতো!আহা করছিস কী? কেন এমন করছিস?বন্ধু বন্ধুর কোলে মাথা রাখতে পারে না?পরবে না কেন? তা বলে জনতার ভীড়ে?তুই আমি তো জানি আমরা বন্ধু।কে চিনে তোকে আমাকে বল? এই তো ঝামেলা তোকে নিয়ে, পৃথিবীর যতো আবদার আমার কাছে।নিশ্চয়ই…
এই হোক উল্লাস । সুরমা খন্দকার । ভালো থাকার কারণ শুধু তোমার তরে তুমি হও। চমকে দিলে ঝড়ের কবল স্রোতের তোড়ে টিকতে হবে, একটু ভালো থাকতে হবে, এক জীবনে বাঁচতে হবে, এমন করে ব্রত নাও। যাতনার রাত শেষে ক্লান্ত ভোর উঁকি দিয়ে জানান দিক তপ্ত মরুর — কেউ না বলুক ভালো থাকো দূরত্ব আর ভালো থাকা বাড়তেই থাক অবিরত। আস্বাদন হোক জীবনের সব স্বাদ নিজেকে হোক শুরু ভালোবাসা। হোক প্রাণোল্লাস সবটুকু নিজের নয় কারো তরে বিবাদ। চাই না কোমল হাতের ছোঁয়া চাই না মিছে আশ। নিজের তরে নিজেই বাঁচো এই হোক উল্লাস।
আধুনিক মহাকালে মাহফুজুর রহমান আখন্দ হাটে মাঠে ঘাটে মুনাফেকি চলে দিবারাত্রির ভাঁজে চলনে বলনে কথায় পোশাকে সাচ্চা মুমিন সাজে ঈমানের বাতি মুখে ধরে রাখে হৃদয়ে গহীন কালো মাকাল ফলের মাতামাতি চলে গাছ-গাছালির ডালে লালসার তাপে পুড়ছে হৃদয় সুরেলা গানের তালে মন পুড়ে ছাই দেহ পোড়ে তবু বন্দী মায়াবী জালে আলো-আঁধারীতে শয়তানি খেল মরীচিকা মাখা পথে ভেদাভেদ কভু জানা হলোনাকো সাদা কালো আর লালে দমকল দিয়ে দাবানলে জ্বলা আগুন নেভানো যায় ঈমানের মাঠে যে আগুন জ্বলে সেটাকে নেভানো দায় বুকে বুকে আজ জাগাও ঈমান সাহসের করো চাষ আনবো ধরাতে মানবিক চোখ সত্যের বসবাস লাল সবুজের সোনার স্বদেশে জেগে ওঠো তিতুমীর শান্তির…
