মেসির হাতে সোনালি ট্রফি তসলিমা হাসান মেসির হাতে সোনালি ট্রফি পূর্ণতা পেয়েছে দেখো, ইতিহাসের পাতায় আরও একবার খোদাই করে লেখো। যুদ্ধ করে জয় পাবে না এটা কি কখনো হয়? মেসির জন্য লড়েছে যারা ছিনিয়ে এনেছে জয়। বিশ্ব জয়ে নতুন করে ফুটলো মুখে হাসি, সেরাদের মধ্যে সেরা হলেন নাম তার মেসি। যার ঝুলিতে শত অর্জন আক্ষেপ একটাই ছিল, বিশ্ব মঞ্চে চমক দেখিয়ে সোনার ট্রফি নিল। কে বলবে আর জিতেনা মেসির এই দল? ট্রফির সাথে নিজের জন্য অর্জিত সোনালি বল। এমন খেলা কেউ দেখেনি শত বছর ধরে, সোনালি ট্রফির ছোঁয়া পেল তিন যুগ পরে। মেসির জন্য কেঁদেছি আমি কেঁদেছে গোটা বিশ্ব, আজ…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দের খেলা ।। মোশাররফ হোসাইন সাগর ।। তারা যখন তাড়া দিলো আমরা গেলাম আমড়াবনে, গাছের আমড়া মণে মণে খাবো ভাবছি মনে মনে। কালবৈশাখী ঝড়ে ঝরে পড়লো গাছের সকল আম, বরষাকালে ভরসা নেই তো খেতে পাবে কালো জাম। ********************************* বাগানের গাছ থেকে ছিঁড়ে নিলাম কুড়িটা ফুলকুঁড়ি, ঝুড়ি ভরে ঘরে রাখলাম, সুবাসে নাই কোনো জুড়ি। কাজ নেই তাই করি ঘোরাঘুরি, আকাশে উড়াই ঘুড়ি। ভুরি ভুরি খাবার খেয়ে অনেকে বাড়িয়ে তোলে ভুঁড়ি। ********************************* সার্থক কিছু করতে হলে স্বার্থ দিতে হয় বলি, দেশ গড়ার কাজে সাড়া দিয়ে সারাজীবন চলি। পলাশঢাকা পাখিডাকা আমার-ই দেশ ভাইরে হিংসা-বিদ্বেষমুক্ত একটা স্বদেশ আমি চাইরে। ******************************** পরে গেলে…
সাধ ও সাধ্য আরিয়ান সিদ্দিক কোথা গেল শৈশব কানামাছি খেলা, সংসারে ঘানি টেনে কেটে যায় বেলা। হাত-পা’ আছে ঠিক ছিলো যা আগে, আজ শুধু স্মৃতি জুড়ে বেদনাই জাগে। নীলাকাশে আছে ওই রঙধনু মেকি, পিঠাপুলি উৎসব সে কী আর দেখি ! কাকভোর থাকে যেন হতাশায় মোড়া, যন্ত্রদানব আজ গোদে বিষফোড়া। বিল আছে দশদার আলো জ্বলে রাতে, আছে জল টলমল মাছ নেই তাতে। কতকিছু ভাবি রোজ বয়ে যায় দিন, দিনে দিনে ফোলে ফাঁপে পৈতৃক ঋণ। আইনের ধারা আছে প্রয়োগের বাকি নিঃস্বের কাছে সব হয়ে যায় ফাঁকি। সাধ আছে সাধিবার সাধ্য যে নাই, গরিবের মন আছে মান শুধু নাই। ———————————————– 29/12/22 সুসঙ্গ দুর্গাপুর,…
বেশ্যা শাহনাজ শারমিন কত বেশ্যার নূপুরের ঝংকারে তুমি বেহায়া পুরুষ কপোকাত মরিলে বেশ্যা তুমিই পুরুষ দাও তাকে কত অপবাদ। নারীরে নিয়া খেল তুমি কত রঙের নোংরা খেলা, একটু দূরে সরে গিয়েই তার গায়ে ছিটাও কত ময়লা। তোমরাই বানাও বেশ্যা নারী সাধু সেজে থাক অধরা, কত নীরব অশ্রু ঝড়ে কবর দেয় স্বপ্ন তারা।
তুমি-২ বেদুইন পথিক তুমি কেমন যেন তোমাকে ঠিক বুঝতে পারিনা আজও। যে তোমাকে ভালোবাসার ছলে তোমার কপালে চুনকালি মাখে, তবুও তুমি তাকেই ভালোবাস। আর আহ্লাদে বলো, “এত্ত সুন্দর টিপ!” আমিতো চেয়েছিলাম তোমার নিদাগ ললাটের জমিন জুড়ে উষ্ণ চুম্বনে চুম্বনে বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম চিত্রকলার সাধনা করতে। তোমার গলায় বয়ে বেড়াচ্ছ যে মালা, জানো ওটা কি? ওটা একটা আধুনিক শিকল। সীমান্তের কাঁটাতারের মতো অমানবিক। অথচ ওটাকেই কিনা সৌন্দর্য্যবর্ধক বলছো তুমি! যে পরাবে ওটা, তুমি হবে তার (অবশ্য হতেই হবে) গৃহপালিত প্রাণী কিংবা অনুগ্রহে আশ্রিত কৃতদাসী। তোমার স্বাধীনতার চেতনাগুলো ওতে ঝুলবে নিষ্প্রাণ ফেলানির মত । তুমি যে কেমন? দেখনা আমায়? আমি তোমার হৃদয়ের কাঁটাতারে…
পুরুষ কভু নয়কো বেহুঁশ [ পুষ্পেন রায় ] তারিখ: ২৭.১২.২০২২ বলতে পারো – যে মানুষটা মাথার ছাতা সে-যে হলো পুরুষ তবুও কেন দাম নাই তার নারীর চোখে বেহুঁশ? পরিবারের অন্ন যোগায় সেও যে হলো পুরুষ উঠতে-বসতে তাকেই নিন্দা সহিবে কোন মানুষ? নিজের কষ্ট নিজেই সহে সেও যে হলো পুরুষ ঘরের নারীর প্যানপ্যানানি বানায় তাকেই বেহুঁশ। কভু তার কান্না পেলে অন্যের কাছে লুকিয়ে যায় শ্রেষ্ঠ মানুষ তাকেই বলে সর্বজনেও পুরুষ কয়। এই সমাজে এমন পুরুষ আছেও ভুরিভুরি লোকলজ্জার ভয়ে যে তারা চলে চুরি-চুরি। নির্যাতিত হয়ও তারা ঘরের নারীর কাছে তবুও তারা মুখ খোলে না নারী অবুঝ বুঝে। তাইতো বলি – নারী-পুরুষ…
প্রিয় আজ সন্ধ্যায় জান্নাতুল ফেরদৌস 27 12 2022 আজ সন্ধ্যায় আমি তোমার অপেক্ষায় ছিলাম তুমি আসবে বলে। আজ ঝিরিঝির হিমেল হাওয়ায় বাতাসে লাল শাড়িতে অপেক্ষায়। তুমি নীল শার্টে আসবে জানো আজ নীল আকাশে। দুটি তারা উজ্জ্বল হয়ে জ্বলছে আর বারবার তোমায় মনে পড়ছে। কেন মনে হয় তুমি বলছো আমায় ভালোবাসো। ভালোবাসা ভালোবাসা হৃদয়ে জীবন জুয়ারে ভাসছে। আজ সন্ধ্যায় আমি তোমার অপেক্ষায় তুমি আমি কাছাকাছি। কেন দূরে যাও তোমায় ছেড়ে যাবো না আমি। আমি তোমার হৃদয়ের রঙিন হতে চাই। রঙিন ঘুড়ি উড়াবো বলে রোজ অপেক্ষা। আজ চলো না সুখেরই সাগরে ভেসে ভেসে দুজনই একাকার হয়। নীল আকাশে ভেসে ভেসে এক হতে…
বাঙালির অর্জন মেহেদী সালাউদ্দীন (২৭/১২/২২) যুদ্ধের ন’টা মাস বীভৎস সে গল্প অনেক ছড়া কবিতায় উঠে এলো অল্প। স্বাধীনতা স্বাধীনতা আহা! কত সুখ সুখ! এক পতাকার মাঝে লুকানো যে কত মুখ! স্বাধীনতা বাঙালির অনেক বড় অর্জন, অন্যায়ে থেমে থাকা নয় ছাড়তে হবে গর্জন। স্বাধীনতার সুফল পেতে অন্যায় করো বর্জন।
সুপ্রভাত এই গল্পের কাহিনিকাল ও চরিত্রসমূহ গত শতাব্দীর আশির দশকের। ট্রেনটি যখন লাহিড়ী মোহনপুর এসে পৌঁছে তখন শেষ বিকাল। একটুপর সূর্য ডুবে যাবে। আশ্বিন মাস। তখনও বন্যার পানি মাঠে খালে বিলে নদীতে থৈথৈ করছে। বাড়িতে যাওয়ার অন্য কোন পথ নেই। মতিন স্টেশনের অদূরে ঘাট থেকে একটি ছোট নৌকায় করে তার গ্রামের বাড়ি কৈবর্তগাঁতী রওনা হলেন। আবদুল মতিন চাকরি করে ঢাকার লালবাগে একটি এ্যালুমেনিয়াম কারখানায়। সে ঐ কারখানার একজন ফোরম্যান । ছুটিছাটা খুব কম পায়। বছরে এক দুইবার বাড়ি আসে। এবার সে বাড়ি আসছে তার স্ত্রীর অসুখের খবর পেয়ে। শেষ বিকালের আবছা আলোয় নৌকাটি চলতে থাকে ছলাৎছলাৎ করে। ভরা জলের মাঠ…
তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়? শিল্পী -আব্দুল জব্বার কথা -ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান সুর – সত্য সাহা ******************** তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়? দুঃখের দহনে, করুন রোদনে, তিলে তিলে তার ক্ষয়। আমি তো দেখেছি কত যে স্বপ্ন মুকুলেই ঝরে যায়। শুকনো পাতার মর্মরে বাজে কত সুর বেদনায়। আকাশে বাতাসে নিষ্ফল আশা হাহাকার হয়ে রয়। প্রতিদিন কত খবর আসে যে কাগজের পাতা ভরে, জীবন পাতার অনেক খবর রয়ে যায় অগোচরে। কেউ তো জানে না প্রাণের আকুতি বারে বারে সে কি চায়। স্বার্থের টানে প্রিয়জন কেন দূরে সরে চলে যায়। ধরণীর বুকে পাশাপাশি তবু কেউ বুঝি কারো নয়।
