আসছে… অমর একুশে বইমেলা-২০২৩ গোলাম কিবরিয়া পিনু’র শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ: দেশভরা নদী বইয়ের নাম: দেশভরা নদী বইয়ের ধরন : শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ লেখক: গোলাম কিবরিয়া পিনু প্রকাশকাল: একুশে বইমেলা-২০২৩ প্রকাশনী: প্রতিবিম্ব প্রকাশ। প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ: আলমগীর জুয়েল আইএসবিএন: 978-984-97092-7-5 প্রতিবিম্ব প্রকাশ (সৃজনশীল লেখকের ঠিকানা) অফিস: বাড়ি:০১ (চতুর্থ তলা), সড়ক: ১৪/বি, সেক্টর: ০৪, উত্তরা, ঢাকা ফোন: ০১৭১৫৩৬৩০৭৯ ইমেইল: khair.hrm@gmail.com ওয়েব: https://protibimboprokash.com/ পেজ: https://www.facebook.com/protibimboprokash
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
অতীত আলো আহমেদ অতীত তুমি কাজল হয়ে ভাসো আমার আবাসস্থল দেখছি পথের পর পথ পেরিয়ে ছুটে আসছে আমার দুয়ারের বাইরে চাঁদ সেখানে নগ্ন হয়ে বুকের বোতাম খোলছে! চাঁদ কোনদিন বুঝেনি জেগে থাকা মানুষের বুকের গভীরে কত অন্ধকার, বঞ্চিতা বুক চাপড়ানো কান্নার শব্দ কোনদিন বুঝেনি উদাস বাতাস, ধূসর প্রান্তরের দিকে তাকালে এখনো কিছু মানুষের চিৎকার গাছের বোঁটার মত লাফায়! যে আধাঁর ঘর কাজল আরো আঁধার করে এই অন্ধকার একটি মানুষের নিঃশ্বাস দুঃস্বপ্নের মতো গলে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত, যখন পতঙ্গের মুখে নেই আর কোন আরাধনা- আমি তোমার নামে পাঠ করি! __________________ আলো আহমেদ: ১-১৬-২০২৩ USA, Morningside Park, Orlando, Florida.
অপ্সরী এটিএম ফারুক আহমেদ একবার, শুধু একবার ঘন কুয়াশার আঁধারে তোমায় দেখেছিলেম অনেক বর্ষ আগে তারপর বহুবর্ষ গুজারি যায়, বহু অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়ে যায় এ পথ ধরে তোমার আর আসা হয়নি মনে হয় যেন কোন এক সময়েও এ পথ ধরে যাওনি কখনো তুমি অথচ আমি ঠিকই একদিন শীতের কুয়াশার চাদরে ঢাকা সন্ধ্যায় আলো আধাঁরিতে তোমায় এ পথ দিয়ে একাকী যেতে দেখেছি একটি অস্ফুট হাসিও আমার কানে এসেছিল আজও স্পষ্ট সেই মৃদু অস্ফুট হাসি আমি শুনি সেই হাসির শব্দ আর একবার শোনার জন্যে আমি সেই হতে আজ অব্দি এ-ই সময়ে এ পথের ধারে একাকী বসে থাকি কই, তুমি তো আর…
ফেসবুক অনলাইন তসলিমা হাসান যাদের সাথে কোন দিন দেখা হয়নি হবে কি না তারও নেই নিশ্চয়তা, ফেসবুক অনলাইনে অনেকের সাথেই বন্ধুত্ব হয়ে গড়ায় হৃদ্যতা। ফেসবুক যোগাযোগের অনন্য মাধ্যম যা দূরের মানুষকে করে আপন, ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপচারিতায় কখনো দেয়া নেয়া চলে মন। ফেসবুকে চলে তথ্য আদান প্রদান কতো অচেনা হয়ে যায় চেনা, একদিন যোগাযোগ বন্ধ হলেই যেন ভেঙে যায় মনের ডানা। স্বামী স্ত্রী থাকে ভিন্ন ভিন্ন দেশে সন্তান সন্ততির সাথে হয়না প্রত্যক্ষ দেখা, অনলাইনে এখন চাইলেই দেখা যায় আগের মতো দরকার হয়না চিঠি লেখা। ফেসবুক অনলাইনের যোগাযোগ থেকে কখনো প্রেম থেকে গড়ায় বিয়ে, কখনো প্রচুর দূরত্বের কারণে প্রেম হয়েও ভেঙে যায়…
অবুঝ ভালোবাসা শিরীনা ইয়াসমিন মর্জিনা বাবা মরা মেয়ে।বাবা মারা যাওয়ার পর মায়ের অন্য জায়গায় বিয়ে হয়েছে।মর্জিনা অনেকটা বেখেয়ালি,নানীর কাছে থাকে,সারাবছর সর্দি লেগে থাকে;নিজের শরীরের যত্ন নিতে বুঝে না।ছয় বছর বয়সে ওকে কাজে দেয়া হয়।ও মেশিনের মত দ্রুত কাজ করে।কিছু চাইলে সাথে সাথে হাজির।দুবছর এক বাসায় কাজ করে আমার বাসায় আসে।আমার মেয়ের বয়স চার ওর আট। প্রথম দিকে তেমন কাজ করাতাম না। বাচ্চার সাথে খেলতো।বছর তিনেক যাওয়ার পর ও সব কাজই করে।মাঝে মাঝে লাপাত্তা হয়।ও না আসলে বুঝতাম কাপড় জমেছে।বহু খুঁজে ওকে আনতে হতো। এভাবেই চলছিল,তখন আমার দ্বিতীয় বেবি পেটে আসে।ওকে ছাড়া ভাবতে পারতাম না,কারণ ওর মতো কাজ কেউ করতে পারে…
অন্তরালে শাহনাজ ইয়াসমিন মুনমুন বোঝাবো কি করে তোমায়, কত ভালোবাসি গো! বোঝাবো কি করে তোমায়, তুমি হৃদয়ের কতটা কাছাকাছি গো! যেখানেই চোখ মেলি, যে দিকে তাকায়, সব খানে তোমাকেই খুঁজে আমি পাই। বোঝো না কি গো তুমি আজও, এই মন শুধু তোমাকেই চায়। লুকোনো ছিল যত মনের কথা.. জমানো ছিল যত ব্যাকুলতা, ছিল যত গোপন ব্যাথা। বলেছি তোমায় কবিতার ভাষায়। বোঝোনি কি গো তুমি আমার, সেই নীরবতার ভাষা? চুপ থেকেছিলাম যখন, তোমার আকুল প্রশ্নে। লিখেছিলাম যা মনের অন্তরাল হতে! বোঝোনি কি তুমি সেই লেখনীর মানে? কত শত বেদন নিয়ে বুকে, তবুও তো আছি সুখে। শুধু তুমি আছো বলে পাশে। বোঝোনি…
ঝরা পাতা নিল অপরাজিতা বিউটি —————— আমি বসন্তের ঝরা পাতা ক্ষয়ে যাওয়া জীবনের এক করুন ইতিহাস। আমার ও প্রাণ ছিল একদিন, সারা দেহে ছিল সবুজের সমারোহ। যৌবন ছড়াতো রঙের মেলা আকাশের নীলের মাঝে, চাঁদের চারিপাশে। কখনো খুঁজতাম প্রিয়জনের হাসি, চৈত্রের নিশীথে জ্বালিয়ে মাটির পিদিম। কিন্তু, আজ আমার জীবনের ডায়েরির পাতা খুলে দেখেছি —– সেখানে আছে শুধু একরাশ নিরাশা, হতাশা আর অবহেলা। শীতের ঘন কুয়াশার মতো আঁধার করে রেখেছে আমার চলার পথ। আমার ও তো আশা ছিলো স্বপ্ন ছিলো, ছিলো ভালোবাসা, কিন্তু হঠাৎ এক বসন্ত বাতাসে আমি হয়ে গেলাম ” ঝরা পাতা” । সোনার দুপুর বেলা – দেখা স্বপ্ন গুলো কোথায়…
তুমি আমার সেই প্রিয় জন শামিমা আক্তার জীবনকে খুঁজতে গিয়ে তোমাকে পেয়েছি নিজেকে ভালবাসতে গিয়ে তোমার প্রেমে পড়েছি ভালোবাসা এমন, যা তৈরি হয় বিশ্বাস দিয়ে তুমি আছো তুমি রবে তোমাকে হারাতে আর চাই না তুমি আছো অনুভবে। তুমি আমার আলো আলোতে নিজেকে খুঁজি বারবার সেই সুর যা মাতিয়ে সুর লয়ে একাকার তুমি আমার মিষ্টি রোদের আলো সবুজ গালিচায় শোভাবর্ধনকারী যত্ন করে তুলে রাখব সিংহাসনে তুমি আমার অঙ্গীকারের আংটি মন মাঝারে খুঁজে পেয়েছি তারে। তুমি ছাড়া জীবন দিশেহারা তোমার আগমনে সুখের হাওয়া বয় তুমি আমার স্বপ্ন কুমার। তুমি ছাড়া পৃথিবী সাজে না দূর আকাশের তারা তুমি তুমি ছাড়া সব শূন্য সব…
প্রচ্ছদ সাঈদা চৌধুরী এক প্রান্তরের সীমারেখায় দাঁড়িয়ে আবহকাল ধরে একটি প্রতিচ্ছবি আঁকি ক্যানভাসখানি পূ্র্ণতা টানতে আপ্রাণ চেষ্টায়রত থাকি তবু অপূ্র্ণ থেকেই যায়। দেখতে দেখতে সন্ধ্যামণি বুঁজিছে আঁখি আগন্তুক এসে পথিকেরে বলে, পথে চলিতে দেখেছো কি কোথাও আমার প্রাণের স্বজনেরে ? কত যুগ ধরে হাতে হাত রেখে চলেছি পথে পথে সাথেই তো ছিল এখন তবে আমায় একা রেখে কোথা গেল সকলে ! —————– সাঈদা চৌধুরী ১৪/১/২০২৩
উপহাস মারজিয়া পপি আমার কবিতার ঝুড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম তোমাদের কোলাহল মুখর আড্ডায়। তোমরা করেছ আমায় হাসির পাত্র, দিয়েছ পাগল উপাধি। হাসি মুখে ভালোবেসে বরণ করে নিলাম তাই। পাগলরাই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখি মানব, কোন কিছু হারাবার ভয় বা শঙ্কা নেই মনে। একান্ত ভাবনায় ডুবে থেকে বির বির করে হেঁটে চলি। আমার মনের এলোমেলো ভাবনাগুলো কবিতার রূপে সাজাতে গিয়ে হয়েছি পাগল, হয়েছি উপহাসের পাত্র ৷ তবুও ভালোবাসি আমার অবচেতন মনের এলোমেলো ভাবনায় সৃষ্টি কবিতাগুলো। আমার সৃষ্টি কবিতার টুকরো টুকরো শব্দগুলো বুকে লালন করে, মন হয় আন্দোলিত। একান্তে নিজস্ব ভাবনায় হারিয়ে মন সুখ খুঁজে, স্বীয় পৃথিবীতে। স্বীয় ভুবনে আমি-ই আমার সৃষ্টিকে প্রতিনিয়ত নিজের…
