কচি খন্দকার একজন বাংলাদেশী ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা, নাট্য পরিচালক ও টিভি নাটকের প্রযোজক। বর্তমানে তিনি তার অভিনয়ের পাশাপাশি সেরা একজন নাটক নির্মাতা হিসেবে বাংলার নাট্য পাড়ায় জায়গা করে নিয়েছেন।
১৯৬৪ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর কচি খন্দকার জন্ম গ্রহণ করেন কুষ্টিয়া জেলায়। তার বাবার নাম খন্দকার খায়রুল আনাম ও মায়ের নাম খন্দকার আনোয়ারা বেগম মায়া। তিনি সাত ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয়। তার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা ও পেশাদারী ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। ফুটবল খেলায় তিনি গোলরক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। বাবার মত কচি খন্দকারও ভালো ফুটবল খেলতে পারেন।
কচি স্কুল জীবনে পড়াকালীন সময় থেকে বিভিন্ন ধরনের অভিনয়ের সাথে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে তিনি যখন নবম শ্রেণিতে পড়ালেখা করেন। তখন তিনি তার জীবনের প্রথম একটি নাটকের গল্প লিখেন। পরবর্তীতে তিনি কুষ্টিয়া জেলায় নাটক থিয়েটারের সংগঠন নিয়ে কাজ করেছেন এবং সেখানে অনন্যা অনআশি নাট্যদল প্রতিষ্ঠা করেন। আর এরপর থেকে তিনি অভিনয়ে যোগ দেন, নাটক পরিচালনা করেন, নাটকের গল্প লিখেন।
তিনি বিবাহিত। তার স্ত্রীর নাম নাজেরা ইসলাম মায়া। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে শেওড়াপাড়ায় বসবাস করেন।
কচি স্কুল জীবন থেকেই অভিনয় জীবন শুরু করেন। নিজের তৈরি করা নাট্যদলের সাথেও অভিনয় শুরু করেন। তিনি এই পর্যন্ত প্রায় ছয়শত নাটকে অভিনয় করেছেন।
তিনি এই পর্যন্ত প্রায় অনেকগুলো নাটক পরিচালনা করেছেন। তার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলি হচ্ছে।
এফডিসি,
ইয়েস বস নো বস,
জেলাস,
নো কোশ্চেন নো আনসার ও
প্রবাদ বাক্যসহ আরো অনেক নাটক।
অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক ছাড়াও তিনি একজন সফল নাট্যকার। তার রচিত নাটকগুলি হচ্ছে,
ক্যারাম,
কবি,
লিটল ম্যাগ,
খসরু+ময়না,
বাইসাইকেল,
ভূগোল,
জেলাস,
জুতো আবিষ্কার,
মানুষ/অমানুষ,
আলেকজান্ডার দ্য সেলুকাস,
এবং আরও অনেক ।
তিনি ছোট পর্দার জন্য নাটক তৈরি করার পাশপাশি এখন চলচ্চিত্র নির্মাণের পথেও নেমেছেন। তার প্রথম চলচ্চিত্রের নাম “খসরু মাইনাস ময়না।” এইছাড়াও তিনি প্রায় কয়েকটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত উল্লেখিত কিছু চলচ্চিত্র।
ব্যাচেলর (২০০৪),
মেড ইন বাংলাদেশ (২০০৬),
থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার (২০০৯),
গেরিলা (২০১১))
প্রজাপতি (২০১১)
গোয়েন্দাগিরি (২০১৯)