মন্দদের দখলে মহিউদ্দীন মহিম জীবন পথচলায় যে চিন্তা চেতনা প্রধান্য দিয়ে মাঠে ময়দানে ছিলাম আজও আছি আজও সঠিক মনে করি কিন্তু যে তেজ উদ্দীপনা নিয়ে মাঠে ছিলাম মূলত এখন তা ভাটা পড়েছে এটা আমার আদর্শিকতার সমস্যা নয় এটা আমার সমস্যা প্রকৃতি প্রতিবেশ যেমন কল্যানময় মাঝেমাঝে নিষ্ঠুর নির্মমও হয় আজকের সময়ে প্রতিবেশে টিকে থাকা কষ্টকর যেথায় সংস্কৃতি চেতনা নিম্নগামী যেথায় সমাজ সংস্কৃতি অন্ধত্বের বেড়াজালে আবদ্ধ সেথায় গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি চেতনা নাই যেথায় রাজনীতিবিদ রাজনীতির নিয়ন্ত্রক নয় যেথায় অর্থনীতি লুটেরাদের নিয়ন্ত্রণে যেথায় সমাজ সংস্কৃতি মন্দদের দখলে সেথায় কি ভালো কিছু আশা করা যায়?
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
০১) নৌকা চাঁদ সন্ধ্যাকাশে নতুন সাজে নৌকা চাঁদের বাহার, দেখে মনে হয় তনয়ার গলার মুক্তা মণিহার। সুপ্রভাতে ধনী গরিব নতুন জামা গায়ে, এক সারিতে ঈদের নামাজ মগ্ন আদায়ে। ঈদ উৎযাপনে ধনী গরিব নেই কোন ভেদাভেদ, ঘরে ঘরে সেমাই বিরিয়ানি পুলাও খুশআমদেদ। ছোট-বড় সবার মনে আনন্দের নেই শেষ, সালাম দিলে বকশিস মিলে গুনতে লাগে বেশ। ০২) মেঘে ঢাকা চাঁদ সুনীল আকাশ টা ঢেকেছে, মেঘে মেঘে আজ। তারার নেই কো আনাগোনা, চাঁদের নেই সাজ। মেঘেরা ভাসছে লুকিয়ে গেছে, উজ্জ্বল বৃত্তকার চাঁদ। বিষাদের নীলে করছে তাঁরা, বুকফাটা করুণ আর্তনাদ। অঝোরে কাঁদছে তারা সেতারা, শিল্পীর নেই কারুকাজ। বিজলীর গর্জন ধ্বনি শুনে, অন্তরালে বেদনার ভাঁজ।…
১) সুরমা আমায় ডাকছে কাছে প্রাণে প্রবল টান লেগেছে, সুরমা আমায় ডাকছে কাছে অতীত যেন বাঁধনহীন টানছে আমায় পিছে ধ্যানমুগ্ধ মূর্চ্ছনা, বিরামহীন খেলায় মত্ত হয়েছে। পাতার বিড়িতে সুখটান দিয়ে কেউ বা বাড়ি ফিরছে উটের পিঠে সিনে-বিজ্ঞাপন, বাদ্য বাজনা বাজছে। ডিঙির স্থান ইন্জিন নাও সগৌরবে নিয়েছে দখলে সুরমার বুক বিদীর্ণ করে ছোটো ছোটো ঢেউ তুলে। নদীর বিবশ বিলাপ, অসহায় শীর্ণ চোখ মেলে— “চেয়ে দেখো, আমায় কেমন গতিহীন করেছে এতটা দিন আসোনি, আমায় ভালোবাসনি। সেই একাত্তরে এসেছিলে, আমার বুকে লুকিয়েছিলে। আশ্রয় দিয়েছি আমি, ভালোবেসে যতন করেছি। সব সত্য ভুলে গেছো, সবাই যেমন করে ভুলেছে”— নৈঃশব্দের আধারে কথাগুলো বিমূর্ত হলো অবচেতন মনে অব্যক্ত…
১) নিসর্গপুর ধূসর সময়ের দেয়াল হাতরে আমি খুঁজি আমার শৈশব, আমি খুঁজি দুপুরের আকাশ,বিকেলের ছায়া,সন্ধ্যার মেঘ খুঁজি ভীষণ করে আমার বাবার পদচ্ছাপ মায়ের আঁচল খুঁজি পুরোনোকে আজকের অচিন শহরে সবকিছুর বহরে। দু’চোখের লোনা অশ্রুর অস্ফুট আর্তনাদের ক্রন্দন বিলাপ আমার অতন্দ্র বূভূক্ষ হৃদয়ের সমস্ত উঠোন জুড়ে ঝরে প্রবাহিত ধমনির রন্ধ্রে রন্ধ্রে ভালোবাসার সানাই বাজে অন্তরের দু’পাট ঠেলে স্মৃতিরা ঝড় তোলে দুঃখ-ক্রোধে বিষাদ গীতির নীরব রোদন কেউ দেখেনা কেউ বুঝে না। ভাবতে ভাবতে আমি হারিয়ে যাই নির্ঝরের প্রস্রবনে সেখানে আনমনে খুঁজি অতীত থেকে অতীতের রূপ কল্পনায় দেখি সুদূর পরাহত কোন এক প্রতিমার মুখ সুনীল আকাশে দোলে অচেনা নারীর শাড়ীর আঁচল। সেখানে শিকড়ের…
কালের প্রতিবিম্ব (ম্যাগাজিন): কবি ইকবাল হাসান (বিশেষ সংখ্যা) লেখা আহ্বান: আসছে,,,,, দেশে-বিদেশে ব্যাপক জনপ্রিয় শিল্প-সাহিত্যের কাগজ, সাজানো হয়েছে নান্দনিক কিছু বিভাগ নিয়ে: নিয়মিত বিভাগসমূহ : কবিতা, প্রবন্ধ/নিবন্ধ, ভ্রমণ কাহিনি, ছোট গল্প, ছড়া, শিশুতোষ ছড়া-কবিতা/গল্প/অংকন, নারী জগৎ, প্রবাস জীবন, রম্য, ধর্ম ও দর্শন, ইতিহাস ও ঐতিহ্য ইত্যাদি। আপনার সেরা লেখাটি পাঠিয়ে দিতে পারেন আমাদের নিচের ঠিকানায়। লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ: ১০ মে ২০২৩ ____________________________ নিয়মিত লেখক: আসাদ চৌধুরী, নির্মলেন্দু গুণ, মুহম্মদ নূরুল হুদা, আসলাম সানী, রেজাউদ্দিন স্টালিন, হুমায়ূন কবীর ঢালী, তসলিমা হাসান, ইমরোজ সোহেল, রেজাউল করিম মুকুল’সহ আরো অনেকে। শুধুমাত্র বরেণ্য কবি ইকবাল হাসান-কে নিবেদিত লেখা পাঠাতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে…
শুধু তোমার প্রতিক্ষায় রওশন আরা ভালোবেসে একটু স্পর্শ করেই দেখো… মাইনাস জিরো ডিগ্রী ফারেনহাইটেও নায়াগ্রার জলপ্রপাত এর মতো ঘামতে থাকবো… ইচ্ছে করলেই মাঝে মাঝে আচমকা চলে আসতে পারো সামনে, তাহলে হার্টের পরীক্ষা করানোর জন্য ইসিজির পয়সা অন্তত বেচে যাবে। যদি কলমে দু-চারটে লাইন লিখ আমাকে উদ্দেশ্য করে; দেখো আমার মন বাগানে হাজার কোটি কবিতার জন্ম হবে। গভীর রাতে হঠাৎ যদি তোমার নাম্বার আমার মোবাইল স্কিনে ভেসে উঠে তবে নির্ঘুম রাতে তারা ভরা আকাশ বিলিয়ে দেব সমগ্র পৃথিবীকে। তুমি চাইলেই একটু ভালোবাসা দিতে পারো, যে ভালোবাসা হারিয়ে আমি বহুবছর এই মাটির পৃথিবীতে ফেরারী হয়ে বেঁচে আছি তুমি চাইলেই আমাকে আমার মাঝে…
তাহারে খুঁজি অনিতা দাস ঘাসের বুকে পা দিয়ে হেটে চলি পলি মাটির আল পথ ধরে দু চোখে খুঁজি তারে, চলে যাওয়া শালিকের দলে কাউনের দানা ঠুকরে খাওয়া কবুতরের পালকের ভেতরে, কাঁদা দিয়ে প্যাঁক প্যাঁক করে চলা হাঁসের পালে, না পেয়ে নিরাশ হয়ে ঘরে ফিরি। ভাতের থালায় বসে চোখ বেয়ে জল আসে এখানেও খুঁজি তারে প্রতিটি গ্রাসে গ্রাসে, ভীষম খেয়ে সম্বিত ফিরে। কল তলায় গিয়ে অসার দেহে ঝিম আসে ভেতরের যন্ত্রণা গুলি উগড়ে আসে দৌড়ে চোখে মুখে জলের ঝাপটা মারি, বুকের ভেতর ব্যথারা দলা পাকিয়ে ওঠে শূন্যে চোখ মেলে নিষ্পলক তাকিয়ে থাকি জীবনের শব্দ হীন দিন গুলি আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে। ট্রেনে…
গ্রাম পুলিশ সোহরাব হোসেন (শিক্ষক) চৌকিদার হরিপদ কোথায় যাও? আমাকে বলছেন বুঝি? তোমায় বলবো না তো! আর কাকে বলবো? রাস্তায় তো আর কেউ তোমার মত চৌকিদারি পোশাক পরে যাচ্ছে না! আচ্ছা চাচা—- আপনি আমাকে চৌকিদার বললেন? হ্যাঁ, চৌকিদার কে চৌকিদার বলবো না তো কি বলবো? ও ও আচ্ছা, তাহলে আমরা কি শুধুই চৌকিদার? আমাদের তো আরও একটা নাম পরিচিতি আছে, তা কি আপনি জানেন বা জানতে চেষ্টা করছেন কখনো? চাচা আপনি তো শিক্ষিত মানুষ, গ্রামের মাতবর, দেখুন তো আমার পোশাকের দুই কাঁধে কি লেখা আছে? ক্যা বারে কাঁধে গ্রাম পুলিশ লেখা থাকলেই কি তোমরা পুলিশ হয়ে গেলে? পুলিশেরা তো সরকারি…
ঈদের আনন্দ রাবেয়া আহমেদ চামিলি ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক। ঈদ মানে আনন্দ আশা, এখানে নেই কোন নিরাশা সবার মাঝে জন্মে বিশ্বাস ও ভালোবাসা। সবাই সবাইকে জানাচ্ছে ফুলেল শুভেচ্ছা। আনন্দের ধারার বহিঃপ্রকাশ যেন করছে সারা বিশ্ব। প্রজাপতির মত আনন্দে ঘুরে বেড়ায় মনুষ্য জাতি। কষ্টের সাধনার পর তাইতো মানুষ করছে আনন্দে মাতামাতি। থামছে না মানুষের চলার গতি। মনে ঠাঁই দিচ্ছে এক শান্তির স্বস্তি। আনন্দ সুখের ধারায় বসছে মেলা সময়টা পার করছে সুখের ভেলায়। সময়টা চলে যায় বেলায় বেলায়। এখানে নেই কোন ছোট বড় ভেদাভেদ, সবাই সবাইকে প্রকাশ করছে ভালোবাসার এক মিলন মেলা। আনন্দের যত বিগত স্মৃতি মনকে দোলায়। আজি আকাশে বাতাসে তাই…
ব্যথার অনুভূতি রাবেয়া আহমেদ চামেলী অনেকেই জানতে চায় ব্যথার সংজ্ঞা কি? ব্যথা শব্দটা এমন একটা শব্দ যা কষ্টের বহিঃপ্রকাশ করে নিস্তব্ধতায়। মানুষ জাতি মানুষকে শুধু আঘাত আর ব্যথা দিয়েই থাকে। ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা অনেকেরই থাকে না। নিঃশেষে কষ্টের পাহাড়ের এক বিশালতায় মনের ব্যথা শারীরিক ব্যথা কষ্টের ব্যথা সব যেন এক ত্রিত হয়ে প্রকাশ করতে পারে না সহিষ্ণুতায়। যন্ত্রণা কাতর মন নিয়ে এই ব্যথার অনুভূতি গুলো জানিয়ে দেয় সৃষ্টিকর্তায়। সুন্দর ব্যবহারের অন্তরালে কি বর্তায়? জীবনের পাতায় পাতায় জীবন যুদ্ধে থেকে যায় শূন্যতায়! কেন বলো তো মনের ভাবের উদারতার প্রকাশ নাই কেন বিশালতায়। সবাই যেন এক যন্ত্রনায় কাতরায়, প্রকাশ করা যায়…
