এবার দাসত্ব মোছ। –সাদ্দাম বিশ্বাস। খিল খিলয়ে হেস না! তোমার সর্বাঙ্গে কিসের চিহ্ন? আদিগন্ত পথ দাসত্বকে সঁপে দিয়ে কী লাভ বসে থেকে নবারুণের প্রতিক্ষায়! মনে ভেব,পাথর দেখে পাথর কাঁদে লাশ দেখে কাঁদে মানুষ! তুমি হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে পড়ে যাবে মানচিত্র! তুমি দিকভ্রান্ত হয়ে বসে গেলে থেমে যাবে মানচিত্র! তুমি হাঁটলে! হাঁটবে মানচিত্রের মাটি নবীন কাণ্ডারী তুমি পথ দেখালে ফুরোবে মানচিত্রের গন্তব্য। তোমার হাতের আলোর কণা বিলিয়ে দাও সকল হাতে দেখবে ঝলমল করে উঠেছে মানচিত্রের প্রতিটি কোণা।
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
০১) অবশিষ্টাংশ একটা পরিপুষ্ট দাঁড়কাক পাশের বাড়ির জানালার কার্নিশে বসে থেকে থেকে ডাকছে অনবরত, এত সুমধুর কাকের ডাক এর আগে আমি শুনিনি কখনো। কাক’টি আমার বিশ্বাসে বিশুদ্ধতা ঢেলে দিতে লাগলো! আমার অন্তঃসত্ত্বা কষ্ট গুলোকে মাথায় হাত বুলিয়ে আমি কাকের গান শোনাই। সিথানের পাশে দীর্ঘতম রাত্রি আমার, যেনো এক বিশালদেহী কুচকুচে বিশ্বস্ত পাহারাদার! বসন্তের কোকিল নিয়ে অনেক তো হলো কবিতার চর্চা, এই ফাল্গুনে, এবার না-হয়- পরিপুষ্ট,সুরেলা দাঁড়কাক আর ভবঘুরে ঘুমের কাছে, ঘরকন্নার আর কিছু গল্প শোনাই। ০২) অনিচ্ছা এতো বৃষ্টি তবু তোমাকে অমন শুকনো খড়খড়ে দেখাচ্ছে কেন? এ-কি বৃষ্টির দোষ না-কি তোমার ভিজতে না জানার অপারগতা! এতো আর্দ্রতা বাতাসের শরীরজুড়ে তবু…
বাংলা মা আমার আশিস সরকার বাংলাদেশের সকল মানুষ আমার অতি প্রিয়, মাগো আগামীতে জন্ম আমার বাংলাদেশে দিও। মাগো তোমার কোলে জনম আমার তোমার স্নেহের আচল মায়ায়, বাঙালী হয়েই জন্মি যেন সবুজ শ্যামল ছায়ায়। মন্দিরেতে বাজুক শঙ্খ কাঁসর ঘন্টা উলুধ্বনি, নামাজ আজান এক সুরে সুর সব বাঙালির জয় ধ্বনি। ভাগাভাগি ভাঙা-ভাঙি রক্ত গঙ্গা কেন ? তুমি আমি এক রক্তের এক ভাষারই জেনো। ধর্ম থাকুক ধর্মের সাথে নিঃশ্বাস গেলে – শব, চিতায় কিম্বা গোরস্থানে এমন কেন কলরব! খিদের জ্বালা শিক্ষা স্বাস্থ্য সবার যদি এক, কোথায় ছিলি কোথায় এলি চোখটি মেলে দ্যাখ। এক রক্ত বইছে শিরায় সবার রক্ত লাল, তবুও কেন আজ ভেদা-ভেদ!…
নিত্য পণ্যে আগুন মিতা পোদ্দার আগুন লেগেছে নিত্য পণ্যে ফর্দের কাটাকাটি, দামটা শোনে অবাক হবেন জিনিস নয়তো খাঁটি। কর্তাবাবু থলে হাতে নিয়ে গিন্নির কাছে যায়, ঘরে পিঁয়াজ ফুরিয়েছে হবে কী এখন উপায়? পেঁয়াজের দাম ‘শ”তে গিয়ে লঙ্কার সে কি হাসি, লঙ্কা পেঁয়াজ ছাড়া গেলে গিন্নি দিবে ফাঁসি। আলুটাও টপকে বেড়ে সত্তরে হয় সাবাড়, মাংসে আলু দিতে হবে গিন্নি বলেছে বারবার। পাঁচতলা বাড়িওয়ালা কাঁচকলা খাক না, দামে তারও গজিয়েছে মহা এক পাখনা। বরবটি আর টমেটোতে ভাব জমেছে বেশ, ঢেঁড়সের জারিজুরি বর্ষায় হল শেষ। বাজার আজ যেমন তেমন দামে দরে পাক্কা, ব্যাগ নিয়ে ঘুরি শুধু গিন্নির খাই ধাক্কা।
অপেক্ষা ড. নাঈমা খানম ভালোবাসা বড় একরোখা, কঠিন অভিমানী, রাতজাগা, শব্দহীন নিথরতা বুকে বেঁধে একা আমি বয়ে বেড়াই সে যাতনা – অপেক্ষারা বড় বেরসিক, ক্রমাগত কষ্ট দিতে থাকে! স্তব্ধতা ভেদ করে কোথায় যেন সুর শুনতে পাই, স্পষ্ট, ক্রমশ গভীরে -আমার বুকের ভেতর কেমন মুচড়ে উঠে! তুমি আসো আমার আঙিনায় প্রতি রাতে চাঁদ যখন নিখোঁজ হতে হতে পাটে উঠে – তুমি হাসো ভরাট কণ্ঠে , আমার পৃথিবী সগৌরবে লুটোপুটি খায় নীলস্নানে স্নাত হয় মুগ্ধ জ্যোৎস্নারাত তুমি বাঁধো গান হেসে আর খেলে- কোমরে বিছাও হাত, আমি দুলি তার তালে তাল,লয় নিয়ে স্বপ্নেরা হয় বিভোর। ভোলাও তুমি কি দিয়ে সখা, আমারে ভোলাও? মান-অভিমান,…
মুক্ত আকাশ সেলিনা পারভীন ডানা মেলে উড়বো দুজন, মুক্ত আকাশ মুক্ত বিহন। দূর অজানায় থাকবে মন, ভাববে তখন মুক্ত মন। নীল ঘামে চিঠি ভরে, ছেড়ে দিবে আকাশ পানে। উড়ে যাবে মন পাবোনে, নায়ের মাঝি খুলবে চিঠি, লিখা আছে ভালোবাসি। হাসবে তখন চিঠি পড়ে, নায়ের মাঝি খিল খিলিয়ে। মুক্ত বাতাসে মন মাতিয়ে, গাইবে গান তালে তালে। তাই না দেখে দলে দলে, নাচবে সবাই বাঁশির সুরে, মন মাতিয়ে, মন মাতিয়ে।
কেমনে আলো দিবে তাছলিমা আক্তার মুক্তা ঝলঝল করা চাঁদটার আজকে আলো গেছে নিবে, আকাশ থেকে দূরে থাকলে কেমনে আলো দিবে? চাঁদের বুঝি জ্বর হয়েছে শুয়ে কাঁটায় বিছানায়, আলো ছাড়া জোছনার চাঁদ কেমনে তারে মানায়। ডাক্তার এসে চাঁদের বুঝি জ্বর সারিয়ে তুলবে, জোছনা ছড়িয়ে গোল চাঁদটা হেসে কথা বলবে। চাঁদের কিরণ গায়ে মেখে বন্ধু হবো তার, জীবনটাকে আলোকিত করবে চাঁদ বন্ধু আমার ।
আক্ষেপ আয়েশা আহমদ জাহান আঁখি জীবনটা যদি আবার নতুন করে শুরু করতে পারতাম, তবে নিজেকে নিজের জীবনকে শুধরিয়ে নিতাম, শুধু সবাইকে ভালোবেসেছি, আদর, মায়ায় বেঁধেছি। মাঝে মধ্যে একটু শাসন জরুরি ছিল, শক্তভাবে কিছু সিদ্ধান্ত নিজে নিতে হতো, তাহলে জীবনে কষ্ট, দুঃখটা কম হতো। ভালোবাসায় ভিজে নয়, সুবিন্যস্ত সঠিক মতই প্রকাশ করতে হয়। কিছুটা আবেগ কমিয়ে বিবেককে জাগ্রত করতে হতো, তবে জীবনের আনন্দ ছন্দ স্থায়ী হতো, হৃদয়টা টালমটাল হতো না, একতরফা ভালোবেসে নিজেই কষ্টটা কুড়াতে হতো না, অপর প্রান্তের মানুষের মন ও একটু হলে ও সিক্ত হতো, ভালোবাসার মায়ায় জড়িয়ে বেঁধে রাখতো হৃদয়ের আদর সুন্দর সুখী একটা স্বপ্নের নীড়ে বাস করতাম,…
১) স্মৃতিগুলো আজও জীবন্ত স্মৃতিগুলো আজও জীবন্ত কড়া নাড়া দেয় হৃদ সাগরে তাইতো __ বক্ষে দাহবোধ নিয়ে বাচি হাসিমুখে। আঁখি মেলে দেখি যবে প্রতি মুহূর্তে তোমার বদলে যাওয়ার দেখি রূপ তবু নাহি হতাশ হই বারংবার আঁখি জলে ভরে আড়ালে মুছে ফেলি দু আঁখির জল। এ রংহীন জীবনে কোন এক গোধূলী লগ্নে যদি দেখা হয়ে যায় সেদিন কথা বলবে অভিমান আর নীরবতা। আমার নীরব কান্না কেউ বোঝেনি আঘাত জমিয়ে জমিয়ে গড়েছি জলাশয় অভিমানের পাহাড় জমেছে হৃদয়ে কেউ অনুভব করেনি। সবকিছুর ইতি হয় যদি স্মৃতি তবে স্মৃতি থাকে চিরস্থায়ী মধুর স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যবে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয় তবে সুখ নাহি দিতে পারিলে…
কত দূর আছো জানি না রাহনামা শাব্বির চৌধুরী কতদূর আছ জানি না তবু কেন এত কাছে মনে হয় আকাশের সীমানা ভেঙে পৃথিবীর বুকে কি আসতে পারো? ধূসর পৃথিবীর মায়াময় রং বনে বসবো দুজনে নিরব আঁধার ছিড়ে মালা গেঁথে গেঁথে কইবো কথা যার যে ইচ্ছে বলুক সুহাস্য বদনে। গন্ডির রেখাপাত ধুয়ে মুছে যাক ছিঁড়ে ফেলে দিতে চাই পুরনো যত বন্ধন নতুন সাজে সাজাবো আমাদের প্রিয় ঘর। ঘামঝরা মৌন মিছিলের আদলে জোয়ারের টানে, ফুঁসবে নদী, মেঘ ঢেকে দিবে চাঁদ বসুধার তটে একাকী দাঁড়িয়ে। আমি আছি তুমি কি আসবে অন্ধকারছন্ন অমাবস্যা পেরিয়ে শুধু আমারই কাছে।
