শব্দ-বোধিনী (প্রচলিত শব্দ-জিজ্ঞাসা) হৃৎপিণ্ড/হৃদপিণ্ড: ‘হৃদপিণ্ড’ একটি অতিব্যবহৃত ভুল শব্দ। এ-ক্ষেত্রে ব্যাকরণসম্মতরূপে শুদ্ধ শব্দটি হলো : হৃৎপিণ্ড (হৃদ্+পিণ্ড )। ব্যঞ্জন সন্ধির নিয়মানুযায়ী পূর্বপদের শেষ বর্ণটি যদি ‘দ্’ হয় এবং পরপদের প্রথম বর্ণ ক-বর্গ বা প-বর্গের প্রথম দুটো বর্ণের একটি কিংবা ‘স’ হয়, তবে ‘দ্’ স্থানে‘ ’ৎ’ হবে। একই নিয়মে গঠিত আরও কিছু শব্দ : হৃৎকমল, হৃৎকম্প, হৃৎপীড়া, হৃৎস্পন্দন। সর্বজনীন / সার্বজনীন ‘সর্বজনীন’ অর্থ হলো ‘সর্বসাধারণের জন্য অনুষ্ঠিত’ বা ‘বারোয়ারি’; যেমন : সর্বজনীন অনুষ্ঠান। অপর দিকে, ‘সার্বজনীন’ অর্থ সকলের মধ্যে প্রবীণ’ বা ‘সর্বশ্রেষ্ঠ’; যেমন : সার্বজনীন ব্যক্তিত্ব। কিন্তু প্রায়শ ‘সর্বসাধারণের জন্য অনুষ্ঠিত’ অর্থে ’সার্বজনীন’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়, যা ঠিক নয়। খ্-জাত…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের ৭০তম জন্মদিন : ন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের ৬৯তম জন্মদিন আজ। ১৯৫০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বড় ক্যানভাসে গতিশীল ও পেশিবহুল মানুষের ছবি আঁকতে ভীষণ পছন্দ তার। তার চিত্রকর্মে বিচ্ছুরিত হয় রমণীর অলৌকিক ও অসীম শক্তি। বরেণ্য চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ শুধু শিল্পীই নন, একাত্তরে হাতে তুলে নিয়েছিলেন অস্ত্র। প্লাটুন কমান্ডার হিসেবে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন স্বাধীনতাযুদ্ধে। তাঁর ক্যানভাসজুড়েও মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ। বিশ্বজুড়ে খ্যাতিমান এই চিত্রকরের জন্মদিন আজ। শিল্পী জীবনের প্রতিটি ক্ষণ তিনি উপভোগ করেন সৃষ্টিশীল কাজের মধ্য দিয়ে। তাঁর শৈল্পিক অভিব্যক্তি কেবল শিল্পের ভূবনকে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করেনি, পৌঁছে গিয়েছে গণমানুষের কাছে। সমসাময়িক মানুষ ও সময়ের…
মা-কে পড়ে মনে এবিএম সোহেল রশিদ। পড়ন্ত বিকেলে, পশ্চিমাকাশে আগুন জ্বলে মেঘপুঞ্জ রক্তাক্ত হয়ে যায় বিদায়ের কান্নায় নীড়ে ফেরা পাখি, অবহেলায় ডানা ঝাপটায় ঢেউয়ের ফণায় সূর্য ডুবে, তিতাসের জলে। . পাথর চোখে বৃষ্টি, আঁচল জড়ানো স্মৃতিচারণে মা-কে পড়ে মনে আমার, মা-কে পড়ে মনে। . দুঃসময়ে একতারা, সুরের দংশনে রক্ত ঝরায় আশ্রয়ের মুখখানি, মুঠো মুঠে মায়া উড়ায় মায়ের হাসির ঝিলিক, সোনা ঝরা রোদ্দুর বুকে তুলে ঝড়, এ যেন স্নেহভরা সমুদ্দুর। . হারিয়েছে মা, ঐ নভোমণ্ডলের তারায় তারায় বলে না আর কেউ ‘আয় খোকা, খাবি আয়!’ মা, রেখে গেছে হাজারো স্মৃতি, অমৃত মধুর আমি আসবো মা, বল তুমি কতদূর, কতদূর। . কষ্ট…
আমার অতিপ্রিয় এক ছড়াকবির নাম রফিকুল হক। পঞ্চাশের দশকে তার লেখালেখির সূচনা। দীর্ঘজীবন তিনি ছড়ার সঙ্গে যুক্ত। তার রক্তে ছড়ার সুর প্রবহমান। তিনি ছড়ার ছন্দে কথা বলেন। তিনি ছড়ার মতোই জীবনযাপন করেন। রাজসিক এবং বর্ণাঢ্য তার জীবন। লৌকিক ঐতিহ্যের সুরে রং মিশিয়ে তিনি আধুনিক ছড়া রূপায়িত করেন। মূল ধারার প্রকৃত ছড়াকবি তিনি। তিনি আজীবন সৎ ছড়া লিখেছেন। কখনো ভেজাল ছড়া লেখেননি। বিপুল বিস্তারিত তার ছড়ার পৃথিবী। অজস্র লিখেছেন। লিখেছেন বলা ঠিক হবে না। তিনি ছড়া বানিয়ে তোলেন। মায়ের হৃদয়ের আকুতি তার ছড়ার ছত্রে ছত্রে। ভালোবাসার গন্ধ পাওয়া যায় রফিকুল হক দাদুভাইয়ের ছড়ায়। আশ্চর্য রকমের মৌলিক তার ছড়া। কখনো মনে হয়…
একটি শরৎ ভোর বেগম ফিরোজা খান শরৎ ভোরের আগমন প্রাণে নব ঝঙ্কারে ছুটছে মানুষ অগণন। চারিদিকে পাখির কলরব; যেন মুখরিত সব। আকাশটা মেঘলা মেদুর মনটা বেদনায় বিধুর; একাল সেকাল উচ্চাভিলাসীরা, নাক উঁচিয়ে হাসে নিতান্ত; হাজারো দরিদ্র ও সহজ সরল মানুষের, সব সময়’ই করুণ জীবন বৃত্তান্ত। কে যেন গাইছে গান, রাখালিয়া মেঠো সুরে মিষ্টি ভারী; প্রভাত সূর্যের আগমনে মনটা যেন সুরেলা হোলো পরশে তা’রি। সব শিশুর’ই জীবনে আসুক সোনালি সবুজ চেতনার দিন । সকল পুরাতন জ্বরাজীর্ণ নাশি, ক্রমে যেন হয় বিলীন। রাতের অন্ধকারকে প্রভাত সূর্য দিয়েছে মুক্তি সব ঝিনুকেই থাকে না সুক্তি; বিলের মাঝে পদ্ম পাতায় ভরা ভিড় করেছে বিলের ধারে…
দুঃখ এলে শিমুল পারভীন দুঃখ এলে আমিও খুব বসতে দেই কাছে। অভিমান বা রাগ করি না। বলি- থাক যে কদিন ইচ্ছে। যখন ইচ্ছে যাস। কোথা থেকে আসে, কারা যে পাঠায় রোজ রোজ? গোপন রাখে সব। আচ্ছা থাক না হয় ওর গন্তব্য অজানাই। কি এসে যায় থাকলো না হয় নোনা জলের স্বাদ নিয়ে বদ্ধ ঘরের খাটে। আলাদা করে ওর জন্য আজকাল আর পাতিনাতো আসন, ওর জন্য নেইও কোন বাড়তি আয়োজন। জানি তো ও নিত্য আসবে। নিত্যই যাতায়াত। চিনে গেছে যে সব পথঘাট ঠিক ঠাক। অনেক জায়গা ঘুরে ঘুরে অনেকের সুখ কেড়ে নিয়ে ক্লান্ত হয়ে ও আসে। পুরোনো দুঃখ যেন নতুন রূপে।…
তৃষিত প্রাণের ঢেউ কানিজ ফাতেমা মাত্রাবৃত্ত (৬+৬+৬+২) নভঃ নীল সাজ দেখে আপ্লুত তৃষিত প্রাণের ঢেউ স্বর্গীয় প্রেমে কঠিন বেদনা পীড়িত হয়না কেউ ছায়া-ঘেরা চেনা স্রোতস্বতীর কলকল সুর বাজে তিমির প্রহরে হতাশা চাদর ঢাকে দীপালোক মাঝে কামিনী-স্বপ্ন প্রেম সন্তাপ গায়ে বেয়ে ধসে পড়ে শুভ ভাবনারা ঠাঁই খুঁজে চলে করুণাশীলের তরে পাবক শিখায় নিয়ত পোড়ায় দুঃখও তত বাড়ে সুর-নিস্বন অমল হৃদয় থেকে চলে যায় দূরে মৌবনে ফোঁটা প্রসূন কলিরা সহসা লুটিয়ে পড়ে যামিনীর স্মিত নিয়ন আলোয় কোমল প্রণয় গড়ে নীলাভ আকাশ প্রশান্ত মনে জলের শরীরে ভাসে শৈল চূড়ায় নিষ্পাপ আলো উদারচিত্তে হাসে। কক্সবাজার ০৯/০৯/২০২১
তৈষী সাহা’র গুচ্ছকবিতা: অচেনা ভুবন অদেখা ছায়ার পেছনে ছুটে চলে এ মন, তবু হয় না’কো কভু ক্লান্ত, আপন ছায়পথ জুঁড়েও যে আছে কত ভুল-ভ্রান্ত! জীবন যে এক বিভ্রান্ত বিভীষিকাময়, আজ এ মন ভীষণ শ্রান্ত। আকাশ পানে চেয়ে বসে থাকা, শূন্য ক্লান্ত আজ সব চিন্তা কল্পনা, এখন রাত যেন শুধুই মরীচিকা। রাতের আকাশে তারা গুলোও যেন অচেনা! তবু অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে আছি; চেনা তারার খোঁজে। আমার আমিকে খুঁজে পেতে,চেনা তারার মাঝে;আপন মনেতে। বিবাদ নিষ্পন্ন চেতনা কঙ্কাল জীবাশ্মে রূপ নেয়। মৃত্যু রূপ নেয় শুকনো গোলাপের ঝরে পড়া পাপড়ির ন্যায়! হীনমন্যতায় আকৃষ্ট মন গুলো নিকৃষ্ট আবেগে আবদ্ধ। মন বদ্ধতার কারিগরের শৃঙ্খলার করিডোরে…
বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের দ্বাদশ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৯ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন লোকগানের এই কিংবদন্তি শিল্পী। ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের ভাটি অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। দারিদ্র্যের সঙ্গে আজন্ম যুদ্ধ ছিল তার। কৃষি কাজের পাশাপাশি রচনা করেন কালজয়ী সব লোকগান। সমাজের নানা কুসংস্কার, সাম্প্রদায়িকতা, অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সুরে সুরেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন আজীবন। শাহ আবদুল করিম জীবনভর তার গানে অবহেলিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির কথা বলে গেছেন। তার গানে যেমন প্রেম-বিরহ ছিল, তেমনি ছিল খেটে খাওয়া মানুষের কথা। একই সঙ্গে আধ্যাত্মিক ভাবনাও রয়েছে তার সৃষ্টিকর্মের বিশাল অংশজুড়ে। অভাব-অনটন, দুঃখ-দারিদ্র্যে বেড়ে ওঠা বাউল করিমের বয়স যখন ১২, তখন রাখালের কাজ ছেড়ে…
কালের প্রতিবিম্ব, ঈদুল ফিতর সংখ্যা: কালের প্রতিবিম্ব, ঈদুল ফিতর সংখ্যা-২০২১-এর ব্যাপক সাফল্যের পরে এবং পাঠক চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে ঈদুল আজহা সংখ্যার কাজ হাতে নেয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ঈদুল আজহা সংখ্যার-২০২১ বের করার কাজ শেষ করে পাঠকের হাতে তুলে দেয়ার প্রাণান্ত চেষ্টার এক সফল প্রয়াস কালের প্রতিবিম্ব, ‘ঈদুল আজহা সংখ্যা’ এখন বাজারে… সকলের কাছে দোআ ও সহযোগিতা কামনা.
