আমায় খুঁজো না তসলিমা হাসান কিসের মুগ্ধতা? কি সেই মন্ত্র? ঘুরেফিরে কেন ওখানেই এতো টান? একি রক্তের বন্ধন, নাকি নিছক মায়ার বাঁধন? রং তুলির ছবিতে, স্বপ্নীল কল্পনাটা কখন যে ক্ষুধার্ত মনকে আরও লোভী করে তুলেছে বেলা শেষে রং বদলানোরও উপায় নেই … থেমে যাই ওখানে! কালো রং ভর্ৎসনা করে বলে বলেছিলাম আমি আমায় বেছেনে! আমি নিজেকে বদলাই না, অন্যকে বদলিয়ে দেই! আমার উপর যতই রং দিস না কেন আমি বদলাবো না, ছেড়ে যাবো না আমার অস্তিত্বকে রঙিন কল্পনাটাও এখন তির্যক হাসি দিয়ে বলে আমিতো তোমারি তৈরি, আমায় কেন দোষ দাও? রং ও তুলিটা ছিল তোমার হাতে সাজিয়েছো আমায় তোমার মতো…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
২০২৪ জুলাই মাস মোঃ মিজানুর রহমান জুলাই মাসে ফিরে এল ঐ বায়ান্ন’র মত ডাক যেন মুহূর্তে রাস্তা কোণ ভরাট ছাত্র-জনতা লাখো- লাখ।। কা’র মুখে নেই হাসি, তবে মুক্তির শ্লোগান মুখরিত ওরা সবি সত্যের জয় হোক যদি যাক তাজা প্রাণ।। আজি নেই কোন বাঁধা মানিবার পথ তোরা সবি চলি গোটা শহর গেড়াও ভরাট মিছিলে ঐক্য’র এক বুলি।। ছাএ-জনতা বৈষম্য র আধিপত্য না’ক চায় আর একি জনতা বহর বাড়ল প্রবল জোয়ার।। জুলাই-আগস্ট মাস ভয়ংকর চব্বিশ সাল বৈষম্য র মুক্তি সরকার পতন আজি ছাত্র- জনতা উওাল।। কঠোর হুশিয়ারি এই বার হরতালে কোন ভেদাভেদ নেই নামিছে জনতা সবে মিলে।। জুলাই এর পর আগস্ট আবারো…
প্রকাশিত হলো কবি জান্নাতুল ফেরদৌসী’র সাড়া জাগানো কাব্যগ্রন্থ: আমিত্ব বইটি অর্ডার করতে রকমারিসহ দেশের সকল অভিজাত বইয়ের বিপণিতে যোগাযোগ করতে পারেন। কল করতে পারেন: ০১৭১৫৩৬৩০৭৯ (হোয়াটসআপ)
জীবন কী আরজু আরা শেষপ্রান্ত বললে কথার হিসেবি বজায় থাকে না। তবুও হয়নি বলা থেকে যায় অসমাপ্তি চলার এই রাস্তা। চৌক দার দিয়ে কিংবা ছবির ফ্রেমের মত বেঁধে চলে না। একই কথার রেশ থেকে যায় অবিচল। গতির ধারা ধরে বেঁচে থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু,,,,,হুম, কিন্তু এভাবে বহন করাটা অসম্ভব। তবুও বহনকারী হয়ে খাঁচার ভিতর যতক্ষণ নিশ্বাস হয় না বিনাশ। সেই আশাতেই হয়ত কিছু নিরাপদ, বাহনের তালিকায় নিজেকে একটু আস্বস্ত খুঁজে পাই। ___________ বরিশাল।
সুযোগ সন্ধানী। জাকিয়া সুলতানা শিল্পী। জয়নাল খান একজন প্রযুক্তি নির্ভর সফল কৃষক।জমি চাষাবাদে তিনি সর্বদাই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। ফসল চাষের ক্ষেত্রে সর্বত্র তিনি উন্নত কৃষি ব্যবস্থাপনার নিয়ম-কানুনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করেন।মাটির পুষ্টি উপাদান থেকে শুরু করে সমস্ত ফসল চাষ পদ্ধতির নিয়ম-কানুনের সবটা পর্যায়ক্রমে সচেতনতা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে প্রতিটি পদক্ষেপে ভেবে কাজে লাগিয়ে কৃষি প্রজেক্টের কার্যাবলীতে যথাযথ ভুমিকা পালন করে চলছেন। সময়োপযোগী কৃষি ব্যবস্থা বিবেচনা করে তিনি উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ ( উফশী ) ব্যবহার করেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি তার বাড়ি সংলগ্ন চারটি উঁচু জায়গা বেছে নিয়েছেন সব্জি চাষাবাদ করবার জন্য। যেহেতু তিনি সচেতন, তাই তিনি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং…
এখন আর সহজেই অবাক হই না আমি আজিজুর রহমান এখন আর সহজেই অবাক হই না আমি স্পষ্টভাষী মানুষের কিংবা কিংবদন্তি লেখকের মিথ্যাচার আমাকে আর পীড়িত করে না; আমি আজ বুঝে গিয়েছি এই পাহাড়সম মম বেদনার যাতনায় বিদীর্ণ যে জীবন, সেখানে বসে কল্পনার শহরের পিজ্জা সন্ধ্যা কিংবা সোডিয়াম বাতির আলোয় জ্বলজ্বল করে জ্বলতে থাকা; কোনো মধ্যবিত্তের বেঁচে থাকার স্বপ্ন, একটা পঁচা তেলাপিয়া মাছের চোখের মতই ঝাঁপসা। অথচ প্রত্যাশা ছিল আমাদের রৌদ্দকরোজ্জ্বল দিন; আর পৌষের শেষ রাতে শিশিরের ঝলকের ন্যায় উৎফুল্লতা। এখন আর সহজেই অবাক হই না আমি স্পষ্টভাষী মানুষের কিংবা কিংবদন্তি লেখকের মিথ্যাচার; আমাকে আর পীড়িত করে না। আমি বহুবার শ্রাবণের…
পুরনো পথে মানুষ সাঈদা আজিজ চৌধুরী নির্বাক কিটো নগরীর পরাবাস্তব গল্পেরা মুখর দীর্ঘ শেকল চূর্ণ করে ইচ্ছের স্বপ্নেরা স্বাধীনতাস্তম্ভের ভেতর। দিগন্তের পথে সূর্যের সাথে চিরযৌবনা স্বপ্নের অধিবাস জীবন্ত মানুষের ফসিল থেকে তীব্র প্রতিবাদ প্রতিভাস। মহাকালের পুত্রকন্যাদের নামের অক্ষর,প্রজ্ঞা অক্ষয় সাদাকালো প্রচ্ছদে ক্যানভাসের পাতায় পাতায়। মারিয়ানা ট্রেঞ্চে তলিয়ে যাওয়া উড়োজাহাজ কিংবা কৃষ্ণ গহ্বরে সহস্র নক্ষত্র অলখের ভাঁজ। বোধিরা বিস্মৃত কোনও বিদর্ভ নগর আকাশ মৌন মিছিলে ঘোরলাগা সত্যের সন্ন্যাস। স্থাণুর শব্দগুলো দিকভ্রান্ত মোটরের ভঙ্গুর তলদেশ পুঁজিবাদের ল্যান্ডস্কেপে বঞ্চনার রক্তিম ইতিহাস। হিটলার মুসোলিনীর সাম্রাজ্যবাদের কালো হাত হেলেনের রূপ যৌবন ছলাৎ ছলাৎ আনারকলির ঘুঙরো বাজে ঝনাৎ ঝনাৎ মানুষের সাঁকো ভেঙে পড়ে, ধ্বসে পড়ে বাঁধের…
রক্তাক্ত বাংলাদেশ — ওয়াহিদুজ্জামান বকুল রক্তাক্ত মাটি, রক্তাক্ত দেশ, বাংলার বুকে আজ উঠেছে বিষাদ, লাল-সবুজের স্বপ্নে বাঁধা দেশ, কেন আজ এত রক্তের আসর সাজায়? কোথায় সে মুক্তির গান, কোথায় সে স্বাধীনতার বাণী? শুধু কান্নার আওয়াজ, আছে চারিদিকে রক্তের চিহ্ন। মায়ের চোখে জল, পিতার বুকে হাহাকার, ভাইয়ের চোখে আগুন, বোনের মুখে নীরবতার ভার। নিধন হলো ছাত্র-জনতা স্বপ্নে বোনা তরুণ প্রাণ, তাদের রক্তে ভিজে গেছে মাটি, স্বাধীনতার কি এই পরিচয়? তাদের স্বপ্ন ছিল উঁচু, তাদের চোখে ছিল আগামীর আশা, কিন্তু নির্মমতা নিয়ে এসেছে, তাদের জীবনে গভীর অন্ধকার। ক্যাম্পাসের প্রান্তরে, ঝরে গেছে কত বীরের প্রাণ, তবু রক্তাক্ত বাংলাদেশের এই বুকে, একদিন ফিরবে শান্তির…
এবার দাসত্ব মোছ। –সাদ্দাম বিশ্বাস। খিল খিলয়ে হেস না! তোমার সর্বাঙ্গে কিসের চিহ্ন? আদিগন্ত পথ দাসত্বকে সঁপে দিয়ে কী লাভ বসে থেকে নবারুণের প্রতিক্ষায়! মনে ভেব,পাথর দেখে পাথর কাঁদে লাশ দেখে কাঁদে মানুষ! তুমি হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে পড়ে যাবে মানচিত্র! তুমি দিকভ্রান্ত হয়ে বসে গেলে থেমে যাবে মানচিত্র! তুমি হাঁটলে! হাঁটবে মানচিত্রের মাটি নবীন কাণ্ডারী তুমি পথ দেখালে ফুরোবে মানচিত্রের গন্তব্য। তোমার হাতের আলোর কণা বিলিয়ে দাও সকল হাতে দেখবে ঝলমল করে উঠেছে মানচিত্রের প্রতিটি কোণা।
০১) অবশিষ্টাংশ একটা পরিপুষ্ট দাঁড়কাক পাশের বাড়ির জানালার কার্নিশে বসে থেকে থেকে ডাকছে অনবরত, এত সুমধুর কাকের ডাক এর আগে আমি শুনিনি কখনো। কাক’টি আমার বিশ্বাসে বিশুদ্ধতা ঢেলে দিতে লাগলো! আমার অন্তঃসত্ত্বা কষ্ট গুলোকে মাথায় হাত বুলিয়ে আমি কাকের গান শোনাই। সিথানের পাশে দীর্ঘতম রাত্রি আমার, যেনো এক বিশালদেহী কুচকুচে বিশ্বস্ত পাহারাদার! বসন্তের কোকিল নিয়ে অনেক তো হলো কবিতার চর্চা, এই ফাল্গুনে, এবার না-হয়- পরিপুষ্ট,সুরেলা দাঁড়কাক আর ভবঘুরে ঘুমের কাছে, ঘরকন্নার আর কিছু গল্প শোনাই। ০২) অনিচ্ছা এতো বৃষ্টি তবু তোমাকে অমন শুকনো খড়খড়ে দেখাচ্ছে কেন? এ-কি বৃষ্টির দোষ না-কি তোমার ভিজতে না জানার অপারগতা! এতো আর্দ্রতা বাতাসের শরীরজুড়ে তবু…
