সোহেল আকন নবাব-এর আত্মজীবনীমূলক আত্মকথা:
পর্ব ৩
কোথায় গেল ঊমী । ডাকতে ডাকতে ছাদে গেলাম। গলা ছেড়ে ডাকলাম ঊমী ঊমী । বাড়ির পিছনে বাগানবাড়ি থেকে কন্ঠ ভেসে এলো। ও কেন দিগে বুঝতে পারলাম । নীচে নেমে দারোয়ান কাকা কে বললাম দৌড়ে বাগানে । ডাকছি ঊমী ঊমী যত ডাকছি ততবার টি টি করছে । এটা হবার কারণ স্কুলে থেকে ফিরে ওকে ডাকতাম ঊমী ঊমী, পাখিরা কন্ঠ চেনে। আমি ডাকতে থাকলাম। কাকা গাছে উঠে ধরে আনলো । মনে হল আমার প্রান ফিরে পেলাম। ইচ্ছে হল ওকে মারি মার দিয়েছিলাম । বাসায় ঢুকে পাখিটা খাঁচা রাখলাম। বোন বললেন পাখিটার প্রতি মায়া করিস না। পরে অনেক কান্দ বি । কেন কান্দবো । শোন যদি পাখিটার গলায় মালা উঠে তবে মারা যাবে। ছেড়ে দে ওরা মুও বিহঙ্গ মত আকাশে দল বেঁধে উড়বে ।
একদিন বিকেলে দেখলাম টিয়ে পাখি র দল শারি শারি উয়ে যায়। ছোট বেলা, থেকে পাখি, প্রকূতিকে ভালোবাসা ছিল ।তাই পাখীর খামার করেছিলাম লাভ বার্ড , কাকা তুয়া, জাভা, ফিণস, কোয়েল, বাডজিকা, ময়ুরী, সিরাজী, ঢাকার কাঁটা বন থেকে এনেছিলাম। পাখি থেকে পাখি হয়েছিল । দুর দূরান্ত থেকে লোক আসতো দেখতে ছিডর সময় সব উয়ে নিয়ে গেল ১০০পাখী। সব চেয়ে খারাপ লাগলো অনেক হাড়িতে পাখি বাচ্চা ছিল। আজকের বন্যা, করোনা মারামারি, সভ্য দেশের অসভ্য আচরণ, জীবাণু অস্ত্র, মিসাইল, পারমাণবিক অস্ত্র, তৈরি করে আবহাওয়া করছে দূষণ, আমাদের গরিব দেশের মানুষগুলো অনাহারে মারা যাবে এর দায়িত্ব নিবে কে।
চলবে…
২ Comments
পাখির প্রতি ভালোবাসা আমার আজন্ম। পাখিদের ভালোবাসার গল্প, ফেলে আসা গল্প ,আত্মকথন চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছে লেখক। লেখক কে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। লিখতে থাকুন আপনার পাখির প্রেমের গল্প,ফেলে আসা গল্প।
congratulations