স্বাধীনতা
মোহাম্মদ সেলিমুজ্জামান।
পদ্মা, মেঘনা, যমুনার মিলিত শ্রোতধারায় জয়বাংলার মোহনায় বসে কাঁদে কে?
র্জীণশীর্ণ শরীরে,
ভয়ার্ত ও ভীত মন নিয়ে মুজিবের বাংলায় বসে কাঁদছো কেন বাবা,
কি হয়েছে তোমার?
কি নাম তোমার, কোথা থেকে এলে?
নাম আমার -‘স্বাধীনতা’,
এসেছি সৈয়দ সামছুল হকের আমার পরিচয় কবিতা থেকে।
এসেছি আমি ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত ও দু’লক্ষ নারীর সম্ভ্রমে,
অগুণিত মুক্তিযোদ্ধা ও মুজিবের তর্জনে।
সুধাও কেন এত কথা?
দেখছো না নয়ন খুলে,
মুজিবের বাংলায় কাঁদছে বসে মুক্তির সন্তান,
শহীদ সন্তানের চোখের জলে পদ্মা-মেঘনা-যমুনায় বইছে কত বান।
রক্তের দামে, সম্ভ্রমের দামে কিনেছো- ‘এ বাংলা’ বিশ্ব মানচিত্র থেকে,
লালা টিপ পড়ে এসেছিলাম এই সবুজের পানে,
নাম দিলে তোমরা ‘স্বাধীনতা’,
কোলেতে নিলে টেনে।
শরীরে ঢুকেছে, হাইব্রিড,
হেপাজত কত শত নামের পোকা
রাজনীতির নামে ব্যবসা হচ্ছে মানুষকে দিচ্ছে ধোকা
হ্নদপিণ্ডে হাতুরি চালায় ঘোষেটি ও মীরজাফরের দল
শহীদের রক্তের হিসাব কর্ষে বল তোরা এরা কারা -‘বল’?
মুক্তিাযোদ্ধারা এদেশেই – ‘সূর্য সন্তান’,
তাঁরই রক্তে জন্মেছে এই ‘স্বাধীনতার সন্তান’,
এদের নিয়ে চলছে দেখ কত শত ষড়যন্ত্র,
চেতনা এখন ধ্বংস করবে এই হলো- ‘মূলমন্ত্র’।
স্বাধীনতার মালিক ভিকারি হয়েছে,
কাঁদে বেজবুকে বসে
মসনদে বসে হট্টো হাসে, গালে তাপ্পর মারো কষে,
এরা কী চায় বাজেটের অংশ,
কী ক্ষমতার ভাগ বসায়?
সন্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চায়,
নাহি কোথায়ও হাত বাড়ায়…
চেতনায় বলে মুক্তিযুদ্ধ, হ্নদয়ে দেশপ্রেম,
এসব কথাই মঞ্চে এখন রাজনীতিরই গেম।
মুজিবের বাংলায় বইছে এখন উন্নয়নের ঢল,
চারিদিকে দেখ বসে আছে- ‘যত সব চাটার দল’।
ত্যাগী নেতা-কর্মী-সমর্থক সবার চোখে জল,
চিটার- বাটপাড় চালায় দেখি রাজনৈতিক সব দল।
জ্ঞানী-গুণী-মানীর মান সবই গেছে চলে,
ফকির ফাকরা টাকার মালিক জ্ঞানী এখন জেলে।
পদ্মা-মেঘনা-যমুনা ছিল বাংলার ঠিকানা,
এখন দেখি
এ সব কথা কিছুই বলা যায় না।
বিদেশে বসে করে ষড়যন্ত্র-“আমায় খাবলে খাবে”,
এমন যদি চলতে থাকে বাংলাদেশীই যাবে।
@ সেলিমুজ্জামান সেলিম
১ Comment
very good job; Congratulations.