“আত্মার আত্মহুতি”
[মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম]
গণিমতের মালভেবে ইয়াতিমের ইজ্জত দুর্জনে লুটেখায়
হৃদয়ের ক্ষত চিরকাল বয়ে বেড়ায় মুছা কি তারে যায়?
অবহেলায় অসহায়ের মত সত্য মার খায় পরমপরায়,
কেউ কি নেবে তার দায় কোন কালে হায়
কত দিন আর ঢাকবে মুখ ঔ মুখোশটায়।
কলঙ্কের দাগ ছোপ ছোপ লেগে আছে কলিজায়।
সখি তারে কি এত সহজে এমনি করে ভুলা যায়!
কবে কোথায় যবে এ সবে নিরবে নষ্টরা স্পষ্ট হবে,
সজনী পোহালো রজনী নিজ দেহে প্রাণ পাবে?
কি ভাবে প্রমাণ দেবে সতীত্ব তবে ঈশ্বরের চরণে,
বাসি আলতায় পা ভিজিয়ে সত্য বিনীত নিবেদনে,
নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে নয়নে দেবতার মন হরণে,
বিষের পেয়ালা চুমে প্রত্যহ যেনো দিন গনে মরণে!
জীবননামে রেলগাড়ীটা হঠাৎ যদি থামে কোন স্টেশনে।
নিঃসঙ্গতায় এ কোন নিরবতা বেহুদা অলস দিন যাপনে,
সিদ্ধিলাভের বুদ্ধি করে পুড়ছে মন মনোস্তাপের আগুনে,
প্রতিদিন প্রাণের মৃত্যু হয় অবিচারে হৃদয়ের রক্ত ক্ষরণে,
চাটুকার,চোগোলখোর,জানোয়ার করে নিত্য অত্যাচার
কত ইচ্ছার সমাধি হয় ধরাধামে এই অসময়ে নির্বিচার।
মরে গেছ সেই কবে মরমে আত্মারা একান্ত সংগোপনে।
মিছেপুজো অর্চণার মন্ডব সাজায় নির্জনে নিজের মনে।
খাসনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাংলাদেশ।
১ Comment
congratulations