স্মৃতির বনের গন্ধে ভাসি
সুরভি জাহাঙ্গীর
কেন রে মন—
অমন করে কেন কাঁদিস
বকুল ফুলের গন্ধে ভাসিস
শিউলি ফুলের গল্প লিখিস?
মিছেই কেন
বিসর্জনের
ঘাটে ঘাটে
পানসী বাঁধিস?
অধর দিয়ে
মন পিয়ালের পরশ খুঁজিস!
দুঃখের কাছে–
সুখের ছবি
জারুল ফুলের মালা গাঁথিস?
মিছেই কেন
স্মৃতির বনে
কৃষ্ণচূড়ার
চোখের তারায় —
বাবুই পাখির স্বপ্ন বুনিস?
কেনরে মন
অমন করে কেঁদে মরিস?
মিছে ই কেন
ভাবনা দিয়ে
মিথ্যা করে
সূর্যমূখীর গল্প বলিস?
নিজের কাছেই
উপহাসের পত্র লিখিস
মরুর বুকে,
জলের ডাকে–
চোরাবালির অন্ধ কূপে… ডুবে মরিস!
মিছেই কেন
মিথ্যা করে
মন পরাণের
ফুলের বনের পরী সাজিস?
মিছের ডাকে
কাঁটার বনে বকুল খুঁজিস!
মিথ্যা করে
কদম ফুলের
মায়ার বনে- সোনার হরিণ খুঁজে ফিরিস!
ভালোবাসার ফাঁসি পরিস
জলের বুকে
মাছের চোখে
জীবন শোকের দুঃখ খুঁজিস?
পথ হারা
তুই পথিক হয়ে,
মিছেই
কেন
বারেবারে
ঘরে ফেরার স্বপ্ন দেখিস?
অমন করে বিলাপ করে
কোন সুবাসের
দুঃখ ফুলের
দুপুর মণি মালা গাঁথিস?
আপন
পরের
মায়ার জালে জড়িয়ে পড়িস!
ব্যথার বিলে
পদ্ম হয়ে
রূপ বিলিয়ে
কাদার পাঁকে ডুবে মরিস !
মিছেই
কেন ডুবে গিয়ে
বাঁচার কাছে
আশা নিয়ে
পানকৌড়ি
ডুব সাঁতার ভেসে উঠিস?
অমন করে
কেমন ভাবে
ছাতিম বুকের
লাটিম হয়ে
মেঘে ঢাকা
আকাশটাকে
আলোক বনে
চন্দ্র প্রভা
ডুকরে কাঁদিস?
মেঘ আকাশে…
তারার বনের
ইন্দ্র পুরীর
ইন্দ্রধনুর
বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পরিস
পাখির ডানায়
মিছে মায়ায়
ঝড়ের পানে ছুটে ফিরিস?
মিছে ই কেন
বৃদ্ধ বটের
ঝরা পাতায়
ছায়া’ খুঁজিস!
বটের বুকে..
বাবার কাছে..
ত্যাজ্য মেয়ের পত্র লিখিস!
মিছেই কেন
ফুল তোলা ঐ বুকের ভেতর
ত্যাজ্য মেয়ের নষ্ট মনের
ভ্রষ্ট হওয়ার কষ্ট লিখিস?
মিছে ই কেন —
স্মৃতির বনের গন্ধে ভাসিস!?