সূক্ষ্ম প্রতীক কথকতা
শিরীনা ইয়াসমিন
প্রতীক, বসার ঘরে বসবে? তুমি বরং ভেতরে এসো ফ্রেশ হয়ে নাও। টাওয়েলটা নাও মুখটা মুছে ফেলো। কী দেখছো হা করে!
কিছু না। দেখতে মন চায় তবে সে আর হয়ে উঠে না।
প্রতীক, চা নাও। জার্নির ধকলটা চলে যাবে।
কেমন হলো?
তোমার চা বরাবরই ভালো।
যা ভাবো মনে মনে যদি পারো করে নাও সময় যে বয়ে যায়।
কী বললে প্রতীক?
কই, কিছু নাতো!
বেশ গরম পড়েছে সূক্ষ্ম, বাসটাও চলছিলো না। জ্যাম, ভাঙা রাস্তা।
খুব কষ্ট হয় তোমার না!
প্রতীক, দুপুরের খাবারটা সেরে নাও।
না সূক্ষ্ম, কাজ কিছুটা এগোই তারপর।
এতোকিছু কেন করেছ সূক্ষ্ম? বারবার বলেছি এদিনটায় তোমার বিশ্রাম দরকার ঝামেলা করো না।
কিছুতেই শুনবে না। দাও খেয়ে উদ্ধার করি তোমায়।
কী এমন রেঁধেছি বলো!
কোনটা বাদ রেখেছ?
এতো কথা বলো না তো খাও।
রূপচাঁদাটা দারুণ লাগছে। তুমি করেছ?
ওমা আমি ছাড়া কে করবে!
চিংড়িটা নাও।
আর একটাও না আমি নিয়েছি।
এটা তুমি খাও। প্রতীক, তুমি জানো না চিংড়িতে আমার এলার্জি।
একটা খেলে কিছু হবে না।
আমার খাওয়া শেষ। রেডি হও তাড়াতাড়ি।
আমি বসছি।
এই প্রতীক, এসো না একটু!
আবার কী হলো!
কোনটা পরবো?
যেটাতে কমফোর্টেবল।
বলো না।
হালকা নীলটাই পরো। এটা একটু পাতলা।
এবার যাও।
যেতে হবে! থাকলে কী হয়? নিষ্ঠুর তুমি।
প্রতীক, কী সব বলছো!
লজ্জা করে না বুঝি!
আমার কাছে, আমার কাছে কীসের লজ্জা!
এবার একটা লাগাবো, যাও।
সূক্ষ্ম, লেবুর শরবতটা খেতে ভুলো না।
হুম।
এভাবে কতক্ষণ থাকবে সূক্ষ্ম, মুখটা তোলো। চোখের দিকে তাকাও। মনে প্রশান্তি এলো! আর…
লজ্জায় মুখ ঢেকে পালালে কোথায়? এই সূক্ষ্ম।
এখনো মুখ ঢেকে বসে আছো?
আর দেরি করবো না সূক্ষ্ম। তুমি চোখ বন্ধ করে মোবাইলটা দূরে রেখে শুবে। ভালো একটা ঘুম হলে খুব ভালো হয়। আমি আসি।