গুচ্ছকবিতাঃ
সন্ধ্যা মালতী
ভালোবাসার পংক্তি গুলো
প্রকৃতির ছায়ায় যেন বাঁচে।
স্বরবে উর্ধ্বশ্বাসে ছুটে চলে
মহা মানবীর বেশে।
কোকিলের কহু তানে বরষার
কদম তলে, বিছিয়ে ভালোবাসা
প্রকৃতির জালে, সবটুকু দিবানিশি
যেন উজার করে।
নিত্যকার তারাহুড়ো ছেড়ে মোহন
জালে, খোলা বুনো ফুলের দলে।
ফিস ফিসিয়ে সুখ কথা বলে।
নেই কোন বারণ অটুট মুক্ত
সুরে রাখালিয়া বাঁশি জুড়ে!
উচ্ছল জীবনের ঘাটে,
অবসর টুকু যেন বাটে।
সন্ধ্যা মালতীর সাথে,
সহসা হাতটি ধরে হাতে!
প্রতিবিম্ব
তোমার কাব্যের মুগ্ধ আঁচড়ে
চিক চিক বালুচরে যেন আছড়ে
পড়ি,স্বচ্ছ কাঁচের গুড়ো হয়ে!
কন্ঠের তিলকে ভেসে যাই ওই
শিশির ভেজা পদ্মের আবেশে,
ছুঁতেই ভিজে গেল,মখমল মনটি।
তোমার উদার মন ইশারাতে বলে,
তুমি হলে এক আকাশ মুগ্ধতার নাম!
কল্প পুরি মায়া জালের আবিষ্টতা।
তোমার কথার মালা সারাদিনে তাপিত করে তাপদাহে
জড়ায়।সুখের স্পন্দনে ঝঙ্কারিত করে,এই আমায় মোহিত করে!
তোমার ব্ন্ধুত্ব শক্ত করোটির মত ছুঁয়ে থাকে দুবাহু।হেসো না
রিম ঝিম বৃষ্টিরা দোলায়িত করবে আবার আমায়।
জানি, খুনসুটি হবে না, তোমার নিষ্পাপ গোলাপের পাপড়ি ঝরা ওষ্ঠের হাসি যেন বাগ,
বাগ্যিতা জানে না,সব সময় ঝরে পড়ে স্বপ্ন ঝরার মত।
চোখের মায়াবী রাতের গভীরে
ময়ুরী নিত্য করে। সব পঙ্কিলতার
বাইরে অবয়বে কেন জানি হারাই
বারবার।
জীবন কত পৃষ্টা
কত পৃষ্ঠা জীবন গল্প?
হয়তো আর কিছু অল্প!
পূর্ণতায় ভরা ছিল দু-চার পৃষ্ঠা
সাহিদা সুলতানা রীমা
রাজবাড়ী (প্রবাসী)
১ Comment
very good job.