মৈত্রী মনোহর
(রওশন হাসান)
শুনতে পাচ্ছি, দূর থেকে ভেসে আসা
অস্পষ্ট থৈ শব্দ, সবুজ শেকড় টান
দৃশ্য হতে অপর দৃশ্য, দৃশ্যকাব্যের দৃশ্যলোক
কাকে তুমি জাগ্রত করো, কাকে মুমূর্ষুমান?
আলোর প্লাবন, আঁধার-গন্তব্যের অন্তর্গত আমি,
আমাদের ভ্রমণপথ আগলে দাঁড়িয়ে একটি প্রফুল্ল আদ্র দিন, অপার মহিমা
স্ট্রিট থেকে এভিনিউ পল্লবহীন ভ্রুভঙ্গির বৃক্ষসারি
নিশ্চিত জেনেছি সময় নিমগ্ন স্বাগতিক বারতার দিকে
মৃত্যু, বিভীষিকা, ব্যাধির স্রোত পশ্চাতে ফেলে
সমুখের জল ব’য়ে যায় নৈসর্গিক চক্রে
ভেতরে মগ্নলোক কি ভীষণ যতিহীন!
আদিম আকাশের উদাসীনতা!
মানুষের মাঝে এক টুকরো অসীম মানুষ !
কবিতার জন্ম, সৌগন্ধ্যে এক ভবিষ্যের আহবান
বিচ্ছেদে দূরত্ব, নবশিশুর জন্মে সংশ্লেষ
স্কন্ধে স্কন্ধে রিষ, অন্তর্দাহ অনসূয়া অমা
প্রীতি, নেহ, সম্মান, বোধের ঋজুরেখ থেমে থাকে না
স্বপ্নশিয়রে খসে পড়া শুকনো বীজ মাটির পৃথিবীর
রোদ-বৃষ্টি-মেঘে কালের তরবারি
রোমে রোমে জমে থাকা বিষন্ন শতাব্দী
আবারও গর্ভবতী হবে সূর্য, চাঁদ, সুনীল ঢেউ
প্রজাপতির অভিধানে একতার শপথ নেবে বিভেদী মানুষেরা
সকল ধ্বনিতে জীবনাচার পাবে দুয়ারী আস্বাদ
পাখির পালকে গীতস্নানে জানাই অভিবাদন
মৌসুমের পুষ্পে ফুটুক ওষ্ঠের বসন্ত, ব্যপ্ত বৈশাখ, ঘ্রাণের কোলাহল
হে নতুন বর্ষ, মার্কিনী আকাশে অরোরা উঁকির নৈবেদ্য সহচর!
লেখক : রওশন হাসান, নিউইয়র্ক প্রবাসী।
ডিসেম্বর ২৫, ২০২১