১ ০ ০ লাইনের ছড়া
(যাঁদের আত্মত্যাগ এর বিনিময়ে পেলাম বাংলা ভাষা তাঁদেরকে নিবেদন করছি)
মাতৃভাষা বাংলা আমার
খোদার সেরা দান
এই ভাষাতে ব্যক্ত করি
জুড়াই নিজের প্রাণ।
গল্প লিখি কাব্য লিখি
লিখি মনের কথা
উজাড় করে লিখি সবই
জুড়াই মনের ব্যথা।
এই ভাষাতে ভাষণ দিয়ে
আনলো স্বাধীনতা
একাত্তরে পাক হানাদার
পেল অধীনতা।
এই ভাষাতে কথা বলেন
আমার প্রিয়জন
এই ভাষাতে কথা বলে
বিশ্ব বিজয়ী হন।
আন্তর্জাতিক ভাবে একে
স্বীকৃতি দেয় বিশ্ব
গর্বিত এক জাতি আমরা
নয়কো কভু নি:স্ব।
শিশুর মুখে বলতে শুনি
আধো আধো ভাষা
সবার মুখে সুখের হাসি
এবং গরিব চাষা।
পাকিস্তানি অসভ্যরা
ষড়যন্ত্র করে
উর্দুকে চেয়েছিল
চাপাতে অগচরে।
কিন্তু সেদিন গর্জে উঠে
আমার দামাল ছেলে
রফিক, শফিক, বরকতেরা
বুকটি দেয় মেলে।
রাজপথের আন্দোলনে
ভেসে যায় ওরা
বাঙালিরা করে না তো
থোড়াই কেয়ার থোড়া!
বাঙালিরাই অদম্য হয়
জানিয়ে দিল যখন
পাকিস্তান পিছু হটে
বুঝলো ওরা তখন!
ষড়যন্ত্র কম করেনি
নানান ভাবে ওরা
ওদের সাথে সখ্যতা আর
লাগবে না তো জোড়া!
স্বার্থবাদী মনোভাব
সকল সময় ছিল
বারেবারে বাঙালিদের
কলজে ছিঁড়ে নিলো।
যে কারণে বঙ্গবন্ধু
দিলেন ঘোষণা
সাফ ভাষায় জানিয়ে দেন
তোমরা এসো না!
একাত্তর আর বাহান্নতে
করলো জুলুমবাজি
ওদের বিচার করতে হবে
এবং তাহা আজি।
নইলে ক্ষমা চাইতে হবে
জাতির কাছে আজ
যদিও জানি নাইরে শরম
লাজ লজ্জা লাজ!
বাংলা ভাষা বিশ্ব মাঝে
খ্যাতির শীর্ষে আছে
উর্দু ভাষা নিয়ে থাকিস
বাংলা ভাষার পাছে।
বাংলা ভাষায় জাতিসংঘে
ভাষণ দেয়া যায়
এরচে’ সুখের খবর কি আর
ওদের মুখে হায়!
বাংলিশ আর ইংলিশ বলে
মানুষ ঠকাস না
কাউকে কেউ ঠকিয়ে দিলে
ভাগ্য থাকে না।
বিশ্ব মাঝে বাংলা ভাষা
সবাই এখন চিনে
চেনার কারণ কেউ ভুলো না
নয়কো শ্রম বিনে!
বুক উচিয়ে চলছি সবাই
আমরা মহান জাতি
ভয় করি না সাপ, বিচ্চু
বাঘ, সিংহ হাতি।
এবার তবে শপথ করি
এক হয়ে যাই সবে
ঝড় ঝাপটা বাধার পাহাড়
মাড়িয়ে সবে রবে।
আমরা কারো চোখ রাঙানী
সহ্য করি না
অসৎ ভাবে বললে কথা
ধারও ধারি না।
বাংলা ভাষার স্মরণে হয়
বইমেলা এক মাস
লাখে লাখে বই বিক্রি
দেখতে যদি চাস!
আর দেরি নয়
এসে পড়ুন বইমেলাতে
জমে উঠে আড্ডা,
মেলা বিকেল বেলাতে।
বিশ্ব জানে বৃহৎ মেলা
বাংলাদেশেই হয়
একে একে সব কিছুতেই
আনব আমরা জয়!
২১ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১ Comment
congratulations