“ব্যুৎপত্তির আগমন”
জেবুন্নেছা সুইটি
গ্রীষ্মের তপ্ততা মিটিয়ে ব্যুৎপত্তি আগমনে
এই মন লঘু।
আষাঢ়-শ্রাবণ মিলে আমরা দু’জন।
নদী-নালা, খাল-বিল পানিতে থৈ থৈ জলে রূপান্তর।
কালবৈশাখীর গুরুগর্জনে প্রাণ চঞ্চল তুমি-আমি।
নিজেরই পিপাসিত ঠোঁটে বিচিত্র প্রকাশে যৌন তৃপ্তির নেশায় বৈচিত্র্যময় ইন্দ্রজাল।
পল্লীর মাঠ-ঘাট, জলে ভরপুর, নদীর দু’কুল ঘেঁষে ছলাৎ ছলাৎ।
কাশ ফুলের আগমনে কদম-কেয়ার বনে, বাবুই পাখিরা বুনেছে ঘর উঁচু তালগাছটায়।
দুলছে ঘর, বৈশাখী ঝড়ে, বাবুই পাখিরাও দুলছে ডরে।
কত আষাঢ় এল গেলো! বর্যাকে ছুঁয়েছিলাম
কিন্ত ছুঁইনি কদম ফুল।
দু’চোখ ভিজেছে নোনা জলে বৃষ্টি ভেজায় দু’কূল!
তুমি বলেছিলে একদিন, কদম ফুলের রেণুতে পূর্ণ সুভাষ মাখা,
ছোঁওনা তাকে, পাবে সে বুকে ব্যথা।
যদি পারো দিও খানিন ব্যুৎপত্তি জল। সঞ্জীবনী সুধায় তৃষ্ণা মিটাবে বাবুইপাখি।
উদাসী হাওয়া উড়ে এসে বললো কেন তুমি আনমনা?
কী করে বোঝাই খুঁজে ফিরি তাকে ধু-ধু এই মনোভূমিতে।
যেদিকে তাকাই দেখা নাই তার কোথায় লুকিয় তুমি!
আকাশ-বাতাস খুঁজি এই মন দিয়েছি যাকে।
উদাসীন মন তাই ভাসানো নীলাদ্রিতে!
কেউ নেই কিছু নেই! হাহাকার শুধু তটিণী-র হিল্লোল তুলে কল্লোলে।
কীসের আকুতি! কিসে বিলাপ! যাতনাতেই বিচরণ।
কেবলি চলো হারায়, এ-কথা, সে-কথা তব চিত্তে আমি শুনতে পাই একা।
১ Comment
অসাধারণ কথার গাঁথুনি।মুগ্ধ হলাম।