বিশ্বরূপা
রেজাউদ্দিন স্টালিন
হলঙ নদীর সাথে কপোতাক্ষ ধীরে বয়ে যায়;
তেমন আশ্চর্য নয় তবু এই দুপুরের রোদে,
সূর্যকে দুভাগ করে দাঁড়িয়েছে তমাল ছায়ায়,
মনের অনেক কথা নিভে যায় বাতাসের ক্রোধে।
স্মৃতির বিমান থেকে প্যারাসুটে নেমে আসে সেতু,
সাগরদাঁড়ির সাথে যুক্ত হয় হৃদয় প্রান্তর;
মধুর বাড়ির কেউ আমন্ত্রণ জানাবে যেহেতু-
দেখবো এখানে বসে ঘুঘুদের ব্যথার প্রহর।
এতোটা বিভোর করে কোন নদী রেখেছে আমাকে,
পাঁচশো মাইল দূরে কপোতাক্ষ মুহূর্তে তাকালো-
আগামী সকাালে যাবো ডুয়ার্সের জঙ্গলের ডাকে,
বিমূর্ত বাঘের সাথে ময়ূরের মমি দেখা ভালো।
আবার দুপুর হবে গাছে গাছে বিদায়ের ডানা,
ফেরার আকুতি ঘোরে ফালাকাটা অচেনা জংশনে।
বিস্মৃতির জন্ম দিতে আর কোনো অশ্রু নেই জানা,
বিশ্বরূপা বসে আছে পৃথিবীর সব কটি কোনে।