বরেণ্য সাংবাদিক, কবি ও প্রাবন্ধিক মাইন উদ্দিন আহমেদ আমাদের মাঝে আর নেই:
বাংলাদেশের ইংরেজি দৈনিক ডেইলি এশিয়ান এজের সাবেক এডিটর মাইন উদ্দিন আহমেদ গত ১লা জানুয়ারিতে ২০২৩ এ আমেরিকার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহে…. রাজেউন।
আমেরিকার মনিজা রহমান এর ফেইসবুক স্টেটাস থেকে জানতে পারলাম:
আমাদের ‘সমাজ পরিবর্তনে কবিতা গ্রুপে’র সম্মানিত উপদেষ্টা, কালের প্রতিবিম্ব ম্যাগাজিন এবং প্রতিবিম্ব প্রকাশ অনলাইন-এর সম্মানিত উপদেষ্টা, সাংবাদিক ও কবি মাইন উদ্দিন আহমেদ না ফেরার দেশে!
উল্লেখ্য, ০১ জানুয়ারি ২০২২ রোববার দিবাগত রাত ১১টা ২৯ মিনিটে নিউইয়র্কের জ্যামাইকা মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ( ৬৯ বছর বয়সে ) শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।
তিনি যখন অসুস্থ অবস্থায় ছিলেন, দুই-একদিন কথা হয়েছিলো আমার সাথে ফোনে। শিশুসাহিত্যিক ঢালী ভাইকে নিয়ে ম্যাগাজিনের একটি সংখ্যার জন্যে লেখা দিয়েছেন। হুমায়ূন কবীর ঢালী ভাই এবং কিরণ ভাই সহ তাঁর একটি ছবিও দিয়েছিলেন, যেটা ঢালী ভাই আমেরিকার, নিউইয়র্কে বই মেলা-২০২২ তে আড্ডা দেয়ার সময় তুলেছিলেন। ছবিটি ঢালী ভাইকে একটা surprise দিবেন বলে তাকে যেন না জানাই, এমনি বলেছিলেন আমাকে। আসলে তিনি বন্ধুদের সাথে মজা করতেও পছন্দ করতেন।
‘কথার কতকথা’ নামে একটা সিরিয়াল লিখতেন। আমাদের অনলাইনে এবং ম্যাগাজিনে নিয়মিত প্রবন্ধ লিখতেন। কবিতাও অনেক ছেপেছি আমি। এইবার বই মেলায় একটা বই করারও ইচ্ছে ছিলো। পাণ্ডুলিপি রেডি হলে আমাকে জানাবেন বলেছিলেন।
এরই মাঝে আমার ফেইসবুক আইডি (Abul Khair) এবং ওই আইডির (messenger) ব্যবহার করতে না পারার কারণে আমার সাথে আর যোগাযোগ হয়নি তাঁর। উনি আমাকে কোনো এস এম এস / টেক্সট করেছিলেন কিনা, সর্বশেষ! জানি না। যেহেতু আমি আমার মূল আইডি তে ঢুকতে পারি না…
জানতেও পারলাম না। কি যে হলো ! আমি উনাকে স্যার বলতাম। আমাকে অনেক উপদেশ দিতেন। সাবধানে থাকতে বলতেন এবং নিজের প্রতি যত্ন নিতে বলতেন সব সময় স্যার আমাকে। তিনি আমার একজন ভালো গাইড ছিলেন।
আজকে ফেসবুকের কারণে জানতে পারলাম। তার চলে যাওয়ার খবর…
এই মুহূর্তে আমার মনের অবস্থা বুঝাতে পারবো না। আল্লাহ স্যার কে বেহেস্তের মাকাম দান করুন। আমিন।
যতদূর জানি তিনি ডেইলি এশিয়ান এইজ পত্রিকায় কাজ করেছেন বহুদিন। অবসর নিয়ে আমেরিকায় বসবাস শুরু করেন। সেইখানেও বিভিন্ন বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকায় লিখতেন নিয়মিত। সাহিত্য বিষয়ে মুক্ত গদ্য, রম্য এবং কবিতা লিখে পত্রিকায় ও ফেসবুকে পোস্ট দিতেন।
তাঁর পৈত্রিক নিবাস নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা ভীমপুর গ্রামে। পেশাগত জীবনে ডেইলি নিউনেশন, বাংলাদেশ অবজারভার ও ডেইলি ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকায় কাজ করেছেন। তিনি নিয়মিত কবিতা ও ছড়া লিখতেন। তাঁর উল্লেখ্যযোগ্য প্রকাশনা : পদভারে জাগ্রত সিঁড়ি, গোমর ওইলো হাক, অন্যত্র চলো, পরাবাস্তবতা এবং কবিতার সিঁড়ি প্রভৃতি।
স্যার এর ছবি দিয়ে আমার ম্যাগাজিনের কভার করেছিলাম। আরো কাজ করার ইচ্ছে ছিলো। স্যার এর সঠিক মূল্যায়ন পাননি তাঁর জীবনে। আমরা তাঁর কাজের মূল্যায়ন করতে পারলে তাঁর আত্মার শান্তি পেতো।