প্রতি উত্তর
আয়শা সাথী
সময়কে কে যেন একদা,
স্রোতের উপমায় সাজিয়েছিলো।
আমার তখন অজানা ছিল-
সময় তরঙ্গের ন্যায় কেবল প্রবহমানই না,
সাবিত্রীর ন্যায় ধুয়ে-মুছে সাফ করে
নিয়ে যায় স্বপ্ন সকল দেখা-অদেখা !
শৈশবে প্রিয় রঙ্গন গাছেটাতে-
“ফুল আসতে দেরি হচ্ছে কেন?”
জিজ্ঞেস করেছিলাম দাদুমনিকে,
হেসে বলেছিলো, “তুই বড় ধৈর্যহীনা”।
সতের বছর ধরে-
প্রতিনিয়তই তো নীলকান্তের ন্যায়
অবয়বে নীলাভ আলো জ্বেলে রেখেছি,
দাদু,আমি কি পরাম্পরায় ধৈর্যকে
আজ ধরে রাখতে পেরেছি?
পুতুল বিয়ে ভেঙে দিয়েছিল বলে,
তিনদিন রুপার মুখ দেখিনি।
সেদিন রুপু বলেছিল “তুই বড্ড অভিমানী।”
রুপু দেখ,
আজ আমি আবেগের বুদবুদে
নিত্যই আঁশটে-পৃষ্ঠে লেপটে অভিমানী।
কৈ, কেউ কোনদিন তোর মতো
কভু অভিযোগ তো করেনি?
একবার সুমনের প্রিয় ঝরণা কলমটা
ভেঙে ফেলায় খুব করে কান মলেছিল,
ব্যথায় কান্না জুড়লে মাথায় হাত বুলিয়ে
আমার নাম দিয়েছিল “ছিচকাদুনী”।
আজ শত ব্যথা বুকে ধারন করে
নিজেকে এক দুর্গম গিরি-সিন্ধু গড়েছি,
কৈ, বোবাকান্নার অস্ফুট আওয়াজে
একটিবারও কারো অন্তর স্পর্শ কি করেছি?
প্রতিত্তোর চাই না,
আজ আমি নিশ্চুপ, আমি মলিন,
আমি বিধ্বস্ত, আমি রংহীন;
আমি দ্বায়ভারে ভারাক্রান্ত সীমাহীন ।
উপমা সকল উপছিয়ে আজ আমি দুর্নিবার।
যা কিছু মঙ্গলময়,
তা না হয় তোমাদেরই থাক,
আমি সারথী না হয় চির অমঙ্গল যাত্রার!
১ Comment
অসাধারণ।
সেই সাথে কবির,আংশিক কয়েকটি কাবোক্তি;
“ফুল আসতে দেরী হচ্ছে কেন”
“…আমি দ্বায়ভারে ভারাক্রান্ত সীমাহীন”
চমৎকার।শুধুইমুগ্ধতা! এক কথায় পুরো কবিতা।ধন্যবাদ কবিকে।