দাবি আদায়ের মৌসুম বনাম পুলিশ আনসার গ্রাম পুলিশ ও রিক্সাওয়ালা।
অথই নূরুল আমিন
সদ্য ছাত্র জনতার অপ্রতিরোধ্য তুমুল আন্দোলনের মুখে পরাজিত হয়ে। ৫ আগষ্ট একটি পরিপূর্ণ সরকার কাঠামো ভেঙ্গে পরে। যার ফলে ৮ আগষ্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় । এর মধ্যে এখনো পুলিশ প্রশাসন ঢেলে সাজানো সম্ভব হয়নি। আমাদের দেশের পুলিশেরা দুই যুগ ধরেই সমাজে তারা বির্তকিত আছে। জন সাধারণের কাছে তারা না হতে পেরেছে বিশ্বাসী। না অর্জন করতে পেরেছে খ্যাতি। দেশের মাদক বিক্রি থেকে শুরু করে। এহেন মন্ধ কাজ নেই যে তারা করেনি। গত দুই যুগের বেশি সময় ধরে আমাদের দেশের রাজনৈতিক সরকার গুলো বিশেষ করে এই পুলিশ বাহিনীকে তাদের লাঠিয়াল হিসাবে ব্যবহার করেছে। যার জন্য পুলিশ প্রধানের কাছে এসপি ওসি অথবা এস আইদের বিরুদ্ধে নালিশ করেও অনেকেই ন্যায় বিচার পায়নি। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের আমলে গত ষোল বছরে পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো কথাই বলতে পারেনি জনগণ ।
এক অ প্রতিরোধ্য বাহিনী হিসাবে গত আওয়ামী লীগের আমলে পুলিশ বাহিনী জনগণের সম্পূর্ণ রুপে শত্রুতে পরিণত। এই পুলিশ বাহিনী জনগণকে এমন ভাবে শোষণ করেছে। বাদি বিবাদী উভয় পক্ষ থেকে ঘুষ খাওয়া থেকে শুরু করে রাস্তার হকার এমনকি পুলিশের কাছ থেকে মুক্তি পায়নি।বিধবা নারী, বয়স্ক পুরুষ সহ ভিক্ষুক পযর্ন্ত তাদেরকে টাকা দিতেই হয়েছে। দেশের সিংহভাগ পুলিশের চরিত্র ছিল খুবই হিংস্র। যার ফলে পুলিশের বড়ো একটি অংশ দেশের জনগণকে লুঠপাট করে শত শত কোটি টাকার মালিক বনেছে অনেকেই। তাই বতর্মান সরকারের কাছে দাবি। দেশের যেসকল পুলিশ সদস্যরা অবৈধভাবে টাকা আয় করেছে। তাদেরকে চাকরিচ্যুত করে বিচারের আওতায় আনা হোক। এবং নতুন করে পুলিশ বাহিনী নিয়োগ না দিয়ে। ট্রেনিং প্রাপ্ত দক্ষ দেখে আনসার বাহিনী থেকে পাঁচ লক্ষ আনসারকে পুলিশের বিভিন্ন পদে যেমন এ এস আই বা সিপাহী বা দারোগা বা টহল পুলিশ পদে যোগদান করা যেতে পারে। এদিকে ৪৭ হাজার গ্রাম পুলিশ রয়েছে। তাদের চাকরি জাতীয়করণ সহ প্রমোশন হিসাবে নিজ এলাকার থানাগুলোতে হাফ সময় ডিউটি করতে হবে মর্মে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে।
সবশেষ সংবাদটি হলো পায়ে চালিত রিক্সাওয়ালাদের দাবি দুই দিকেই সঠিক। বিশেষ করে অটোরিকশা গুলো যেভাবে ঢাকা শহরের ভিতরে বর্তমানে অবাদে চলাচল করছে। যার কারণে শহরের ভিতরে প্রচুর যানজট দেখা দিয়েছে । তীব্র যানজটের কারণে সরকারি অফিস আদালত স্কুল কলেজে যেতে অনেকের প্রচুর সময় লাগছে। অন্য দিকে ব্যবসায়ীগণ এই যানজটে সময় বেশি লাগার ফলে লোকসানী হচ্ছেন। আর এদিকে পায়ে টানা রিক্সাওয়ালারা তাদের যাত্রী পেতে কষ্ট হচ্ছে। তারাও আজকে লোকসানী হয়ে যাচ্ছে দিনদিন । কথা থাকে যে প্রতিনিয়ত সারাদেশ জুড়ে অটোরিকশা তৈরী হচ্ছে অগণিত ভাবে। তা এখনই নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে একসময় এই অটোরিকশা সমগ্র জাতির জন্য গলার কাটা সমান হতে পারে। এবং দিনদিন ধরে হোন্ডাও বাড়ছে গণহারে। তাদের জন্যও আজকে কঠোর বা কঠিন বিধি প্রণয়ন জরুরি। অথই
নূরুল আমিন কবি কলামিষ্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী
২৭/০৮/২০২৪