নারী তোমাকে
সুমিত সাহা
কাল পর্যন্ত শরীরের অধিকার ভাগ করনি তুমি।
অটুট ছিলে নিজে নিজের ঘেরাটোপে একান্তে।
কোন হাত তোমাকে স্পর্শ করতে চায়নি কখনও।
তুমি নিজের পবিত্রতাকে ধরে রেখেছ প্রাণভরে।
ভালবাসতে সবাইকে, সবাই তোমায় ভালবাসতো।
প্রতিটি মানুষের নিঃশ্বাসকে প্রাণভরে বিশ্বাস করেছ।
তখনো কারো নিঃশ্বাসের ফণায় কোন বিষ ছিল না।
সময়ের সাথে তুমি যতোই হয়ে উঠেছ স্বয়ম্ভরা।
তোমার যৌবন তিলে তিলে হয়ে উঠেছে ভরপুর।
তুমি চাওয়ার অলক্ষ্যে বেড়ে উঠেছে মৌমাছির দল!
অনুভব করতে শিখলে প্রথম শরীরের বিপন্নতা।
প্রতি মূহুর্ত অনেকে তোমাকে ভাগ করে নিতে চায়।
চন্দ্রিমা রাত ভাগ করার জন্য অনেক মৌমাছি।
নিজের বিশ্বাস ভাঙল যেদিন কাউকে দেখলাম।
মধ্যবিত্তের বাথরুমের দরজায় তৃষ্ণার্ত চোখজোড়া।
ক্রমে নিজের ঘর, রাস্তা, কলেজ সর্বত্র সেই চোখ!
শরীরটা ক্রমশঃ যেন টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে ।
আদম আর ইভ
সুমিত সাহা
দুটো কাক!
তাদের কোন চয়েস নেই।
তারা কালো, শুধুই কালো
তাদের ভালোবাসা শুধু ঠোঁটে
তাদের নেই কোন সৃষ্টির বুনিয়াদ।
মানুষ ইডেনের অরণ্যে তাদের রাস্তা হারায়।
স্বর্গের বাগানে শুধু আদম আর ইভ!
পৃথিবীর প্রথম পুরুষ ও স্ত্রী একা উলঙ্গ।
তারা রোমাঞ্চে ভরপুর, অধীর অপেক্ষায়।
যৌবনের রাস্তা হারিয়ে ফেলে উন্মাদনায়।
ভগবান একে একে তৈরী করল ইভের স্তন, যোনী, নিতম্ব।
আদমের কামধ্বজা!
পৃথিবীর সর্বোতকৃষ্ট জীব।
দুজনার শরীরে প্রবাহিত কামস্রোত।
আদম ইভের হাতে তুলে দেয় নিষিদ্ধ আপেল।
ইভ ফলটি খেয়ে আবিষ্কার করে, সে উলঙ্গ।
সমস্ত লজ্জার স্থান ডুমুর গাছের পাতায় ঢাকে।
মানুষের সৃষ্টির রূপকার দুটি যৌবন রসে আপ্লুত।
প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আজ উদ্ভাসিত যেন
পৃথিবীর প্রথম মধুচন্দ্রিমার চরম মূহুর্তে।
________________________
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।