১)মায়ের আশাবাদ।
ঐ যে দেখা যায় চাঁদ মামা!
বিকিরণ করে নীলাভ আলোর রেখা।
চাঁদ হাসে!তারা হাসে! রজনী হাসে সাথে সাথে।
সেই হাসির সমারোহে ধরার মাঝে পুষ্প ফোঁটে।
মাগো যখন ললাট কোণে নীল চাঁদোয়ার ছবি আঁকে,
কাজলাঙ্কিত কপালটা তখন ভরে ওঠে
অপার আলোর আতিশয্যে।
মেঘে যখন ঢাকে চাঁদ,
সকল আলোর হয় যে নাশ।
আঁধারে বেষ্টিত ধুম্রজালের ধরা আজ,
ভুলন্ঠিত হবে সকল জরা পরবে খোকা মাথায় তাজ।
আজ তুমি শিশু কাল হবে বড়,
গড়বে মনন আত্মার শান্তিতে,অ’সুখ সব হবে সঢ়।
তোমার ঠোঁটের স্বলাজ হাসির দীপ্তিতে,
আঁধার রুপী কালো ছায়া পালাবে সব নিভৃতে।
সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন মা জননী,
খোদার নিকটে সারা দিবস রজনী।
২) মহারাণী’র সমীপে চাওয়া
আমি চাহি সতত শোন হে প্রিয়া!
শূণ্য করিব মোর গগণ যাহাতে
থাকিতে পার তব লুটায়ে অবাধে হেথা।
হররোজ প্রভাত-সাঝে মোরে করিবে শাসন
গভীর অনুরাগে আমারই কিঞ্চিত ভুলে।
আমিত সখা করিতেছি প্রতীক্ষা,
এই তুমি ডাকিলে বলে!
ক্ষুধা মিটাইব সুগভীর আমোদে,আহ্লাদে
মেহেদী রাঙা তোমার হস্তের কোমল পরশে।
লাল শাড়ি নীল টিপে থাকিবে
তুমি অনিন্দ্য সুন্দর সাজে মোহনীয় আবেশে।
গোধূলি লগনের বিদায়ী রাঙা আভায়
হইবে তুমি আরো অপ্সরী থাকিবে মহারাণীর বেশে!!
অধম আমি দাড়াইয়া অপেক্ষামাণ থাকিব
তোমারই ময়ূর সিংহাসনের নিচে!!
অযোগ্য আমি থাকিতে চাই তাহার সহিত
আজীবনের তরে-এটাই আমার
একমাত্র চাওয়া “মহারাণী’র সমীপে!