01) অসীমের শেষ কোথায়
নিলুফার হাসিনা
অসীমের পানে বিস্মিত নেত্রে তাকিয়ে থেকে
কিশোর, যুবক বা বৃদ্ধের মতো
আমার মনে ও আজ প্রশ্ন জাগে,
অসীমের শেষ কোথায়?
কোথায়ই-বা তার শুরু?
সমাপ্তিতেই বা কি আছে?
কেমন তার রূপ, সৌন্দর্য?
অসীম কি অবিশ্বাস্য, অলৌকিক?
দর্শন, বিজ্ঞান, চিন্তা বুদ্ধি কিংবা কল্পনার অতীত
এই মন বার বার ফিরে যায়
অসীমের খোঁজে।
সূর্য, গ্রহ, উপগ্রহ ছাড়িয়ে
নক্ষত্র থেকে নক্ষত্রে,
ছায়াপথ থেকে ছায়াপথে,
যেখানে অগনিত ছায়াপথ
ছুটে চলেছে দূর থেকে দূরে
কোন দূর অসীমের পানে,
আলোর গতির বেগে।
অবশেষে এই মন পায় তার খোঁজ সসীমের মাঝে।
স্রস্টার সৃষ্টি যা কিছু তা সকলই সসীম।
আর স্রস্টা যে সসীমের
তিনি ই তো চিরসত্য, নিত্য, পবিত্র ও অনন্ত অসীম।
যিনি জ্ঞানময়,অলৌকিক।
যাকে যায় না বোঝা, যায় না জানা
উপলব্ধি ও কল্পনার অতীত।
শুধুই অনুভবে রয়ে যায় সসীমের মাঝে।
02) এমন কেন হয়
নিলুফার হাসিনা
এমন কেন হয়?
স্বার্থের টানে প্রিয়জন কেন দূরে সরে চলে যায়।
ধরণীতে থাকি পাশাপাশি,
তবুও কেহ যেন কাহারো নয়।
এমন কেন হয়?
সংসার নামক সাজানো বাগানটা
কেন হঠাৎ ঝড়ে তছনছ হয়ে যায়।
এমন কেন হয়?
যে কলিগুলো ছিল
ফুল হয়ে ফোঁটার অপেক্ষায়,
তা হঠাৎ ঝড়ে
লুটিয়ে পড়ে পথের ধূলায়।
অথবা প্রষ্ফুটিত ফুল গুলো
বিবর্ণ হয়ে তার সৌরভ হারায়।
এমন কেন হয়?
যে খরস্রোতা নদী বইছিল বেশ
যৌবন জল তরঙ্গের শব্দ তুলে,
আজ তা কালের স্রোতে
চলার পথে তার গতি বদলায়।
যেন আজ সে বিগতযৌবনা
কোনো এক নারী অসহায়।
এমন কেন হয়?
কেন পথিক চলার পথে
তার পথ হারায়, ধরে ভুল পথ।
কেন সময় বুঝে বন্ধুরা মুখোশ বদলায়?
কেন হঠাৎ ঝড়ের ঝাপটায়,
সজীব এ মন আমার
নিস্তেজ হয়ে পড়ে,
উজ্জ্বলতা হারিয়ে হয়ে পড়ে
যেন বিবর্ণ কোনো প্রোট্রেট।
মহাকালের কাছে এ প্রশ্ন আমার আজ।