ভূতের সাথে কোলাকুলি
দেবদাস হালদার
পর্ব: ০১
বাছপাট তিনজন মিলে মাথায় করে হাটে আনে সন্ধ্যার একটু আগে।
তারপর তা এক চোখ কানা পরান কাকুর পাটের চাটাইর পাশে মাটিতে রাখে।জাঁদরেল ফরিয়া পরান কাকু।পাটের গাট্টি না খুলেই আঁশের ভিতরে বাম হাতের আঙুল ঢুকিয়ে দিয়ে পরীক্ষা করে পাট ভিজা কিনা বা পাটে পানি মারা হয়েছে কিনা?
–কি দাদা? কিচু পাইলা?প্রশ্ন করে
কেদার মোল্লা। পাটের মালিক।
একটু মিনমিন করে জবাব দেয়
পরান কাকু,
— না, তেমুন হুকনা মনে অয় না।
যাইকগা, যা আচে আচে।তা কত কইরা মুন দিমু মুল্লা বাই?
–বাজারে যে দর আছে তাই দিবা?
সোজা জবাব কেদার মোল্লার।
–মুল্লা বাই তুমি কও।আইজ তেমুন
চাহিদা নাই বাছপাটের।তয় আঠার
ট্যাহা মুন পাইবা।যদি অয় তাইলে
কয়ালরে উটাইতে কই।
–না দাদা। এতো কমে দিমু না।ঐ
চাটাই-এর খলিল মিয়া আহনের
সুময় দাম কইচে বাইশ ট্যাহা মুন।
তুমি আমারে আট আনা কম দিও।
— মুল্লা বাই, এতো দিতে পারুম না।
আর এক ট্যাহা বাড়িয়া দিমুনি।
–না দাদা।আমারে ঠকাইও না।আর
এক ট্যাহা কমাইয়া একুশ ট্যাহা
কইরা দিও।
— মুল্লা বাই কুড়ি ট্যাহার বেশী আমি দিবার পারুম না।যুদি বুজে অয় দেও। না অইলে বাদ দেও।
কেদার মোল্লা চিন্তায় পড়ে যায়। কিছুক্ষণ এদিক ওদিক হাঁটাহাঁটি করে পাটের ফরিয়া খুঁজে। কিন্তু কোন ফরিয়াই কুড়ি টাকার বেশী দিতে চায় না।তাও কিনা বাকীতে? শেষে কেদার মোল্লা বিশ টাকায়
রাজি হয়।পাট আনুমানিক তিন
মনের মতো হলেও মাপে পাওয়া
যায় আড়াই মন।কি আর করার?মোট পঞ্চাশ টাকা নগদ পেয়ে কেদার মোল্লা সরাসরি মাইছা হাটে
চলে যায়।তারপর কয়েক দোকান
ঘুরে মাছের ঘাড় পেট টিপাটিপি করে বড়ো সাইজের দুইটা ইলিশ মাছ ষোল টাকা দিয়ে কিনে এবং
পাটের সুতলি দিয়ে দুই ইলিশের
কানশায় বেঁধে ফেলে। তারপর তা
ভাঙা ছাতার বাটে ঝুলিয়ে নিজেই নিজের বাম কাঁধে তুলে নেয়।আর অন্যান্য বাজার সদাই যেমন, বড়কচূ,
লবন,কিরিচতেল,দিয়াশলাই,পান,
সুপারি, খয়ের,চুন,�