পৃথিবীর সেরা পানি জমজম, কোরবানি ও হজ্জ প্রসঙ্গ:
— সালাম সেতারা (কবি ও সম্পাদক)
মুসলিম বিশ্বের দ্বারে ঈদুল আজহা অত্যাসন্ন। তাই আসুন বন্ধুরা এই সম্পর্কিত কিছু কথা জেনে নেয়া যাক।
পৃথিবীর সেরা পানি জমজম, কোরবানি ও হজ্জ।
এ তিনটি বিষয় যেন একি সূত্রে গাঁথা পড়েছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা পানির উৎস ‘জমজম’ কূপ:
নির্বাসিতা পিপাসা কাতর হন বিবি হাজেরা ( নবী ইব্রাহীম আঃ এর দ্বতীয় স্ত্রী) সাফা ওমারওয়া পাহাড় সায়ী (দৌড়) করার সপ্তম বারে, শুইয়ে রেখে যাওয়া শিশু ইসমাঈলে পায়ের গোড়ালি মেরে মেরে কান্নার এক পর্যায়ে,পায়ের নীচ থেকে উৎসারিত হোলো পানির ফোয়ারা।
যার নাম হোলো আব এ জমজম। বিবি হাজেরা অবাক হয়ে আল্লাহর শোকর আদায় করে আঁজলা ভরে সে পানি শিশু ইসমাঈলকে পান করালেন নিজেও পান করলেন।
বিবি হাজেরার এই কষ্টের স্মরণে সাফা – মারওয়া পাহাড় সায়ী করা হজ্জের নিয়মের অম্তর্ভুক্ত হোলো।
তারপর কয়েক শ’বৎসর কেটে যায়।
কালক্রমে জমজমের উৎসমুখ মাটির চাপায় বন্দ হয়ে যায়।
কারও মতে জমজম কুপের সংলগ্ন এলাকার বসবাসকারী জুরহাম গোত্রের লোকেরা জমজম৷ ধ্বংসের জন্য দায়ী ছিলো।
অনেক বছর পর নবীজী সঃ এর পিতামহ আবদুল মোত্তালিব স্বপ্নে জমজম পুনরুদ্ধারের নির্দেশ পান।
আল্লাহপাক অবাক এক স্বপ্ন দেখালেন পরপর তিনদিন।
একটা দিক নির্দেশ করে বললেন ওখানে গিয়ে দেখবে বালির উপর সদ্য জবেহকৃত পশুর রক্ত পড়ে আছে আর একটি সাদা কাক তা ঠুকরে খাচ্ছে, সেখানেই খনন করে পাবে জমজম কুপ।
যথারীতি তাই হোলো আবদুল মোত্তালিবের প্রচেষ্টায় আবার জমজম পানিতে ভরে গেল।
আবদুল মোত্তালিব হজ্জযাত্রীদেরকে উটের দুধে কিসমিস মিশিয়ে সেই পানি পান করাতেন।
আবে জমজমকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে ডাকা ডেকেছে।
তারমধ্যে ৪৪ টি নাম রয়েছে। কয়েকটি নাম——
হাজমুত- উল- জিবরাঈল, লা-তাদুম, লা- শারক, বুশরা, মুফদা, তাহিরা, মুনেসা, আফিয়া, বারাকা, সিফাওয়া সকদ্, কাইফিয়া,সিফায়ে সাকম, হজরত- উল- ইসমাঈল, সরাব- উল- আরবার, তাম, ই তাম, মায়মুনা, সাঈয়েদিনা কাবা।
সূত্র: ইসলামি পাতা ইনকিলাব।
আল্লাহপাক ” সূরাতুল হজ্জ” এ
বলছেন**প্রত্যেক জাতির জন্য আমি পশু কোরবানির নিয়ম করে দিয়েছি। যাতে করে তারা এগুলোর উপর আলাহর নাম নেয়,
কেননা তোমাদের মালিক একজন আল্লাহ।
এই পশুগুলির থেকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তোমরা বিভিন্ন উপকার নেবার পর, এগুলি উৎসর্গ করার জায়গা এ কাবাঘর।
তোমরা এই গুলিকে কোরবানি করার আগে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে, আল্লাহর নাম নাও।
তারপর পশুগুলি যখন পড়ে যাবে তখন এগুলির গোশত খাও বিলি করো।
—সূরাতুল হজ্জ।