একজন কবি।
সুরমা খন্দকার।
কবির মুখ থেকে নিঃসৃত বাণী কোনো আত্মকথা নয়।
কবি হলো সমাজের চোখ,
অবরুদ্ধতার মুক্তি,
বাকহীনতার সবাক।
কবি হলো বিস্তর একা
বিশ্ব চরাচর সর্বস্বটায় বুক জমিনে আঁকা।
কথারা প্রিয় ছন্দ হয়ে সকাল সাঁঝে কবির বুকে।
কবির ক্ষমতা জুড়োনো,শূন্যস্থান পূর্ণ করা
আর শূন্যতাতে অবগাহন করা।
কবির লালিত জন্মভূমিতে আজন্ম দুঃখ নিবাস।
শিকড় বাঁকলে ঘেরা বিষাদ বৃক্ষ।
এক জীবন্ত দহন ঘর করে
কবির বুক জুড়ে।
ছন্দের আচ্ছাদনে কবি লুকিয়ে রাখে ফাঁসিকাঠ শিকলের মোহচ্ছব।
কবি রাতের কান্না দেখে,
বাতাসের বাজনা শুনে।
নিবিড় আঁধারে কবি আলোর দ্যূতি পায়।
নিজেকে খুঁজে কবি দীন হীনে তৃণে
মনে হয় মিশে রয়
পথের ধুলোয়।।