আমি চাই কুলসুম আক্তার সুমী আমি পাখাহীন উড়ে যাই প্রেমে জ্বলে পুড়ে যাই, মেঘদলে ভেসে যাই অকারণে হেসে যাই। প্রজাপতির পাখা চাই রোদে মাখামাখি চাই, আকাশের নীল চাই গহীনের মিল চাই। ফিরে কভু পাব তাই ভালোবাসা দিয়ে যাই, জলে জঙ্গলে তাই হারিয়ে যেতে চাই। ১৩ জুলাই, ২০২৩
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
Solace Saroar Imran Mahmood (Major, Retired) I am but a fleeting moment Wrapped with a bundle of energy Bounded by time and space Coded by synergy. I am but a drifting soul Whose journey never ends Sojourning from space to space Destined to pay some rents. I am light and dark as well I take hues of color and shades I am epitome of life and death In you Oh my Lord I find my solace.
আষাঢ়ের বর্ষা চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু বৃষ্টি আসে আষাঢ় মাসে বৃষ্টি শুধু পড়ে, আকাশ বুঝি ফুটো হয়ে ঝমঝমিয়ে ঝরে । বৃষ্টি ঝরে বৃষ্টি ঝরে খাল বিল থই থই, পুতুল খেলায় ব্যস্ত খুকু তার ঘিরে সব সই। বৃষ্টি এলে ঘ্যাংয়র ঘ্যাংয়র সোনা ব্যাঙের গান, ঝরা পাতা গাছগুলো সব ফিরে তো পাই প্রাণ। বর্ষা এলে নদীর বুকে নৌকা ছুটে চলে, দাদু তখন ইচ্ছে মত হাজার গল্প বলে। _________ বড় বাজার, চুয়াডাঙ্গা
বিচিত্র আগন্তুক নাবিল পৃথিবী যতটা বিচিত্র, তার চেয়েও বিচিত্র পৃথিবীর মানুষ। একথা অবশ্য সকলেরই জানা।তবে কজনই বা মানুষের মাঝে বিচিত্রতা খোঁজে আর কজনই বা তার খোঁজ পায়।তবে কিছু দিন আগে বিচিত্রতার খোঁজে বের হলে, তার খোঁজও পেলাম। আমার অনুমানে তার বয়স ২৫ থেকে ৩০ এর মধ্যেই। চেহারার গড়ন হালকা ফর্সা, বাদামি আভাস।স্বাস্থ্য স্বাভাবিক। দেখতে সাধারণ হলেও কথা বার্তায় কিছুটা অনন্যতা ছিল। ঠিকানা জানতে চাওয়ার মধ্য দিয়েই কথোপকথন শুরু।এক সময় আমি বলে বসলাম আপনি কি করেন, এদিকে কোথায় যাওয়া হচ্ছে? উত্তরে যা পেলাম তা ছিল অবাক করার মতো। তিনি বললেন, এমনিতে কোনো ঠিকানায় বের হইনি।তবে যেখানে মন চায় সেখানে যেতে পারি।…
এক মোহনা আরজু আরা দেখা হলো এক মোহনায় তোমার আমার সনে। ভালোবাসার ডিঙ্গি সাজিয়ে ভাসিয়ে দিলে জোয়ার জলে। পশ্চিমা আকাশে কাজল রঙে ছেয়ে গেছে ঢাকলো মেঘে, ঝড় তুফানে এপার ওপার জলোচ্ছ্বাসে ভালোবাসা বুঝি, গেলো হারিয়ে। চোখ ধাঁধানো বিজলি চমক হয়ে গেলে, চোখের আড়াল। ডিঙি ভরলো জলে ডুবলো মাঝ দরিয়াতে। চেয়ে থাকি অসার হয়ে এপার ওপার দুই পারই মিলবে তো একই মোহনায়ে। নোনা জলে সিক্ত নয়নে আমি আজও এক মোহনাতে।।
সনেট (পেত্রার্কীয় রীতি) কৃশ নহে সেব আত্মা মো: ইসহাক মিয়া ভবে যত মায়া নহে কিছুই কায়ায়, পাপ পুণ্য ফল তাও নাহি সে ভোগিবে। কিসের লাগিয়া এত যত্ন করো তবে? হৃদে ভেবে দেখো মিছে ডুবছো মায়ায়। তনুর কদর করে পাপ দরিয়ায়, মন মনোয়ারা তোর যাইতেছে ডুবে। কৃশ নহে কিছু এই জরাজীর্ণ ভবে, জ্ঞানে বুঝে সেব আত্মা এই দুনিয়ায়। পঞ্চ ইন্দ্রিয় রাখিয়া সদায় সজাগ, আল্লাহর ইবাদতে থাকো মগ্ন তুমি। দম তব ষষ্ঠ রিপু লোভ হিংসা রাগ, অনুক্ষণ পড়ো কল্বে জিকির না থামি। ফুটাও ফুল শাখার নব অগ্রভাগ পুষ্ট করো আত্মা করে খুশি অন্তর্যামী।
সময়ের প্লাবন রাবেয়া আহমেদ চামেলী সময় কি জীবনের সঙ্গী? আমার মনে হয় জড়িয়ে আছে অঙ্গাঅঙ্গি। জীবনের গতিকে আমরা ধরে রাখতে পারি? মন পাবনের নৌকা যেন দিচ্ছে পাড়ি। মনের যত চিন্তা ধারা ঘুরছে সারি সারি নিজের পথে চলো,কোরেনা বাড়াবাড়ি। মনের প্রশান্তির জন্য প্রয়োজন হয় না বাড়ি গাড়ি। সময় বলে দেয় জীবনের নিঃসঙ্গতার গতি, ভালবাসার মানুষ কে মনের অনুভবে রেখেছো সত্যি? তাতে কিন্তু কার মুছে যায় না ভাবমূর্তি। প্রিয় মানুষকে হারিয়ে অনেকেরই জীবনের শুরু হয় দুর্গতি। তখনই চলে যায় মনের শান্তি। কারো শূন্যতায় হয় জীবনের ক্ষতি। মনে তখন ঠাই পায় না আলোর গতি। গতি বিহীন জীবনে ক্লান্ত হয়েপরি সত্যি তবুও থেমে যায়না…
বিদায় কবি আফতাব আহমদ, আফতাব আহমদকে নিয়ে যা লিখলেন নুহাশ হুমায়ূন: কবি আফতাব আহমদ মারা গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন নবীন–প্রবীণ অনেক কবি–সাহিত্যিক। তাঁকে নিয়ে মর্মস্পর্শী স্ট্যাটাস দিয়েছেন নুহাশ হুমায়ূন। কবি আফতাব আহমদ মারা গেছেন। ৩ জুলাই সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে রাজধানীর বনানীর একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। ৪ জুলাই মঙ্গলবার তাঁকে সমাহিত করা হয়। তিন মাস ধরে আফতাব আহমদ হৃদ্রোগ ও কিডনিজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনি ছিলেন অভিনেত্রী আয়েশা আখতারের ছেলে। আফতাব আহমদ ২০১৯ সালে হুমায়ূন আহমেদের সাবেক স্ত্রী গুলতেকিন খানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর মৃত্যুতে কবি–সাহিত্যিকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁকে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ…
বাঙালির দেশ বিক্রি হয়ে গেছে মননে মগজে। ।।শেখর সিরাজ।। ফেসবুকে কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে, আয় করা যাবে। ফেসবুকে শুধু লেখা যাবে না, ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক বিষোদগার করা যাবে, শুধু তাঁর প্রতিবাদ করা যাবে না। ফেসবুকে পৃথিবীর তাবৎ অপকর্ম করা যাবে। শুধু সুস্থ প্রগতিশীল মনন মেধার অসাম্প্রদায়িক সুন্দরের চর্চা করা যাবে না। বারণ, নিষেধ, নিষিদ্ধের সীমারেখা টানতে টানতে বাঙালি তরুণ প্রজম্ম এখন কানা, বধির, খোঁড়া প্রজন্ম। কানা, বধির, খোঁড়া প্রজন্মের কাজ নাই তো খই ভাঁজ। কাজ তো কিছু করে, গরুর মতো সারাদিন ধর্মান্ধের জাবর কাটে। কেন বলছি? বলছি এ কারণে- বাংলাদেশের সরকারী উচ্চ পদ পদবীতে কোনো ভিন্নমতাবলম্বী সম্প্রদায়ের লোকজন পদায়ন…
লিফট ফারজানা করিম নিরুপায় হয়ে অবশেষে লিফটে। একটা লিফট হয়ে উঠতে পারে চুম্বনের একমাত্র স্বর্গীয় স্থান কে জানতো? কে জানতো ওই চারটে চুমু আমার দু’চোখ, ঠোঁট এবং কপাল-কে চিরজীবনের জন্য তৃষিত করে দেবে? কে জানতো? লিফট ফুঁড়ে আকাশের সাথে দেখা হয়ে যেত যদি কাল আমি ঠিক মেঘের গায়ে একটা বাড়ি বাঁধতাম। ________________________ কবি পরিচিতি: জন্ম: কবি ফারজানা করিম ১৩ জুলাই ১৯৭৪ সালে চট্টগ্রাম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব, কৈশোর বেড়ে ওঠা একই শহরে। পড়াশুনা: ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। ফ্লিম এন্ড মিডিয়া বিষয়ে স্নাতকোত্তর। পেশা: সিনিয়র আঙ্কোর হিসেবে একাত্তর টিভি-তে দায়িত্ব পালন। প্রকাশিত গ্রন্থ: পাখিপৃথিবী -কাব্যগ্রন্হ রূদ্মীলার চিঠি-উপন্যাস ভালোবাসার আড়ালে -কাব্যগ্রন্হ জলকণা-অণুকাব্য শেষ…
