গীতিকারঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল সুরকারঃ সুবল দাস ছায়াছবিঃ দর্পচূর্ণ মূল শিল্পীঃ মাহমুদুন্নবী ও সাবিনা ইয়াসমিন —————————— তুমি যে আমার কবিতা আমার বাঁশীর রাগিনী আমার স্বপন আধ-জাগরণ চিরদিন তোমারে চিনি।। আমি কে তোমার যদি জানতে তবে কি আমায় কাছে টানতে হয়ত সুদূরে যেতে গো সরে না, না নয়নের নীলে তুমি যে ছিলে।। চিরদিন তোমারে চিনি।। তুমি এলে তাই স্বপ্ন এলো ইন্দ্রধনুর লগ্ন এলো। এ মধুর প্রহর হোক না অমর ওগো মোর পল্লবীনি।। যদি এ লগন আঁধারে ঢাকে যদি নেভে দ্বীপ পথের বাঁকে তুমি যে আমার বলব আবার চিরদিন তোমারে চিনি।।
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্ন – হুমায়ূন আহমেদ দুঃস্বপ্ন নিয়ে লেখা সাইকোলজির একটা বই পড়ছিলাম, Nightmare You Hate. মানুষ কী কী দুঃস্বপ্ন দেখে, কেন দেখে–তা-ই ব্যাখ্যা করে লেখা। আমি আমার দুঃস্বপ্নগুলি বইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে চাচ্ছিলাম। বই পড়ে জানলাম, মানুষ সবচেয়ে বেশি যে দুঃস্বপ্ন দেখে তা হচ্ছে উঁচু জায়গা থেকে পতন। এই পতনের শেষ নেই। একসময় সে আতঙ্কে জেগে ওঠে। এই বিশেষ দুঃস্বপ্ন আমি যৌবনকালে দেখতাম। এখন আর দেখি না। বইয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে–এই দুঃস্বপ্ন অসহায়ত্বের প্রতীক। কেউ যদি অসহায় বোধ করে তখনই এই দুঃস্বপ্ন দেখে। হয়তো যৌবনে আমি অসহায় বোধ করতাম। দ্বিতীয় দুঃস্বপ্ন যা মানুষ প্রায়ই দেখে তা হচ্ছে, জনসমাবেশে নিজেকে…
প্রেম জড়ানো সুখ ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ ভালোবাসার পঙক্তি ওড়ে হদয়-বনের ছায়ায় স্বপ্নগুলো সবুজ হল ভালোবাসার মায়ায় প্রেম দুয়ারে কাজল কালো আঁখি বসত গড়ে হলদে মায়ার পাখি পাখির চোখে শাপলা ফোটা ঝিল পদ্মপাতার সাথেও ভীষণ মিল ঝিলের সাথে মিলের সাথে রাতের তারা হাসে শিউলি ভোরের আভাস দেখি শরৎফোটার মাসে মেঘ মাখানো আকাশটাকে রাখবো বুকে মাঝে পিউ পাপিয়া ডাকবো দুজন সকাল দুপুর সাঝে বুকের সাথে মিলাও তোমার মুখ মাখবো মজায় প্রেম জড়ানো সুখ।
দার্জিলিং কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত। || দার্জিলিং থেকে খান আখতার হোসেন || আজ ২৩/৯/২৩ বিকেলে দার্জিলিং ম্যালে বাঙালি কৃষ্টি ও সংস্কৃতি কেন্দ্র ঢাকা ও জাতীয় কবিতা পরিষদ কলকাতা আয়োজিত দার্জিলিং কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারতীয় কবি অরুণ কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ সুপার মিজান শেলী। চারদেশীয় জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হয় সম্মেলন। অনুষ্ঠানে ভুটান থেকে অতিথি ছিলেন ড. ভগত ভাণ্ডারী, নেপাল থেকে বিশ্ব উৎপ্রিতি, ভারত থেকে শাকিল আহমেদ ও বাংলাদেশ থেকে লুৎফর চৌধুরী। সম্মেলনে ভারতীয় কবি অরুণ চক্রবর্তী সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের কবি রহমান শেলী। সম্মেলনে অংশ নেন অধ্যক্ষ খান আখতার হোসেন, ড.শাহনাজ পারভীন, মঈন…
মুক্তিমালা হারুনুর রশীদ সুর তুলেছে অসুর অট্টহাস্য ভরা! ভদ্র বেশে পাশে ঘেঁষে গেয়ে স্মৃতিগীতি জনমনে অনুক্ষণে ছড়ায়েছে ভীতি! কর্মচারি, ধর্মাচারি যেন প্রাণে মরা! বুদ্ধিজীবীর মগজে আজি মরুখরা! মতাদর্শ ভুলে সাজে পা চাটা কুকুর! স্বার্থ জয়ে কতিপয়ে চালাচ্ছে মুগুর বিরোধী জনতা পানে; ধরে পরম্পরা! আগ্রাসী, বিনাশী কার্যে যবে লবেজান ক্রুদ্ধজন রুদ্ধশ্বাসে পরিত্রাণ মাঁগে৷ কোথায় হে দেশপ্রেমী নিবেদিত প্রাণ সংগ্রামী কর্মীবাহিনী? জাগো আগেভাগে। জাগাও জনতাহৃদে দ্রোহানল জ্বালা৷ ত্যাজিয়া তবে অর্জিয়া পরো মুক্তিমালা৷
দাওনি সুখের জল মো. নূরুল হক কণ্ঠে তোমার মোহনসুরের-রোমাঞ্চ-ঝংকার, কল্পনাতে পরতে গলায় প্রেমের-অলংকার। আমার আবেগ, ভালোবাসার কম ছিল কি দ্রুতি? ভাঙলে কেন তোমার দেওয়া সকল প্রতিশ্রুতি? তোমার মনে বসত গড়ে হাজার অভিমান, বেদনার রঙ নীল করে কী বিষ করালে পান! একতরফা ভালোবাসা সব কি আমার পাপ? কোন্ কারণে পেলাম এত চরম অভিশাপ? ভালোবাসার-বৃন্তটা কি নরম ছিল এত? ঝরে যাওয়ার মানস ছিল তোমার অভিপ্রেত ভেবেছিলাম তোমার সকল ভুলগুলোকে ‘ফুল’, তবু্ও কেন হলাম তোমার এমন চোখেরশূল? কালোমেঘে ঢাকা তোমার কুণ্ঠাভরা মন, হচ্ছে শুধু আশাহত-দুখের বিপণন। কষ্টেভরা-চোখেরজলে বুক ভেসে থইথই, এত আশার, ভালোবাসার মূল্য পেলাম কই? ব্যর্থ হল আমার দেওয়া নিখাদ ভালোবাসা, আমার…
ঠকেছো তুমি নাকি আমি। শিহাব রিফাত আলম। ঠকেছো তুমি যে গল্পটা বারবার তুমি আমাকে বল কেঁদেছো তুমিই যে গল্পটা তুমি বারংবার-ই বলো মনে হয় তোমার ঠকে যাওয়ার গল্পটাই পৃথিবী সেরা মনে হয় তোমার ঠকে যাওয়ার কাহিনি অনেক বেশি ভারী! হয়তো একটু বেশিই ভারী কিন্তু… তুমি কি কখনো জানতে চেয়েছো? আমার কান্নার গল্প আমার ঠকে যাওয়ার গল্প আমারও কান্নার গল্প আছে কিন্তু কখনোই তোমাকে বলিনি। এখন প্রশ্ন করবে নিশ্চই কেন তোমাকে বলিনি? বহুরাত আমি কেঁদেছি তাও তোমাকে বলিনি ঠকে যাওয়ার গল্প আর কান্নার গল্প বলেই বা কি লাভ? তুমি তো জানো “সময় এবং স্রোত কখনো কারো জন্য অপেক্ষা করে না” ঠকে…
ঢেউয়ের জীবন মাহাতাব উদ্দিন আমি যখন সাগর পাড়ে বসে থাকি একা ঢেউগুলো আছড়ে পড়ে দু’চোখ ভরে দেখা। একবার যে যায় চলে তার হয় না কভু ফেরা ঢেউয়ের জীবন বেদনা আর শুধুই স্মৃতি ভরা। পাড়ের সাথে মাটির বাঁকে ঢেউরা করে খেলা অপলক দৃষ্টে চেয়ে চেয়ে কেটে গেল বেলা। ঢেউ বলে কেউ নেয় না খবর জীবম্মৃতের দাম সৃষ্টেই পিষ্ট গড়াগড়ি তাই ঢেউ হল তার নাম। সাগর জলের গভীর তলে ইলিশ মাছের ঝাঁক সূর্যালোকে ঢেউয়ের নাচে খোঁজে জলের ফাঁক। ঢেউয়ের তলে জট পাকিয়ে লক্ষ্য মাছের পোনা গাঙচিন আর তিমির দলে দেয় যে সেথায় হানা। দূরন্ত সব মাছ শিকারী ওই ঢেউয়ের বাঁকে বাঁকে মাছের…
প্রয়াত দীপ মুখোপাধ্যায়ের স্মরণে শোকসভা অনুষ্ঠিত: নিজস্ব প্রতিনিধি: পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতিমান শিশুসাহিত্যিক দীপ মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে বাংলাদেশ শিশুসাহিত্যিক ফোরামের উদ্যোগে শাহবাগ পাঠক সমাবেশ কেন্দ্রে এক শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রথামাফিক কোনো সভাপতি, প্রধান অতিথি কিংবা বিশেষ অতিথি ছিলেন না। বাংলাদেশ শিশুসাহিত্যিক ফোরামের সভাপতি শিশুসাহিত্যিক হুমায়ূন কবীর ঢালীর পরিচালনায় শোকসভায় বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের কবি-সাহিত্যিকগণ দীপ মুখোপাধ্যায়কে স্মরণ এবং তাঁর লেখক জীবনের নানা স্মৃতি তুলে ধরে আলোচনা, ছড়া ও কবিতা পাঠ করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন– ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান মৃধা বেনু, কবি ও চলচ্চিত্রকার দিলদার হোসেন, পশ্চিমবঙ্গের লেখক সুতপন চট্টোপাধ্যায়, বাচিক শিল্পী অনিন্দিতা চট্টোপাধ্যায়, কবি ও শিশুসাহিত্যিক আসলাম সানী, কবি মানিক…
চলে গেলেন নৃত্যশিল্পী জিনাত বরকতউল্লাহ বেশ কয়েক মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী জিনাত বরকতউল্লাহ। অসুস্থতায় একাধিকবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তিও করানো হয়। মা জিনাত বরকতউল্লাহকে নিয়ে অভিনয়শিল্পী ও নৃত্যশিল্পী মেয়ে বিজরী বরকতউল্লাহ হাসপাতালে ব্যস্ত সময় পার করেন। বাসা-হাসপাতাল আর বাসা—এভাবেই চলছিল। আজ বুধবার বিকেলে ধানমন্ডির বাসায় ছিলেন। দুপুরের খাবারের সময় তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়েন। এরপর দ্রুত তাঁকে বাসা থেকে গ্রিন রোডের একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। প্রথম আলোকে জিনাত বরকতউল্লাহর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই মেয়ে বিজরী বরকতউল্লাহ। বিজরী জানালেন, ‘মা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর…
