Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ

কবি আসাদ চৌধুরী স্মরণে কবিতা: তুমি ধ্রুবতারা তসলিমা হাসান তুমি ধ্রুবতারা, ওই সীমাহীন আকাশে তোমার বিচরণ তেমনি সর্বদা প্রফুল্লচিত্তে। তুমি রয়ে যাও হৃদয় গভীরে ভালোবাসা আর নিরব প্রেমে, আজি সপি যত আকুলতা তোমার পদতলে। এই ধরনী সেদিন সার্থক হয়েছিল গোপনে যেদিন তুমি এসেছিলে নিজের পরিচয় হাতে লয়ে, আজ তেমনি গোপনে অশ্রুসিক্ত বসুন্ধরা তোমার চলে যাওয়া সয়ে না তার বক্ষে। ওহে কবি তুমি দিয়েছ আমাদের যত জ্ঞান, রেখে গেছ মানব অন্তরে রোপিত ভালোবাসা সবই অমর রবে আজীবনের তরে মানুষের অন্তরে। ___________________ কবি আসাদ চৌধুরী স্মরণে তসলিমা হাসান টরেন্টো।

আরো পড়ুন

খুলনা প্রতিনিধি: আজ ৬/১০/২৩ বিকেলে খুলনায় জব কোচিং সেন্টার মিলনায়তনে গাঙচিল খুলনা বিভাগীয় কমিটি সদ্য প্রয়াত কবি আসাদ চৌধুরী স্মরণে আলোচনা অনুষ্ঠান ও সাহিত্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কবি শেখ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন গাঙচিলের ফুলতলা শাখা সভাপতি কবি রহিমা খানম। অনুষ্ঠানে আলোচনা ও কবিতা পাঠ করেন এস এম আবদুর রহমান, সেবাব্রত সিংহ, কামরুল হাসান মৃধা, কাজী রুমিসা রুমু, তারিকুল ইসলাম সুমন, আজাদুল হক আজাদ, এম এম নজরুল ইসলাম, খান সাব্বির হাসান, রনজিৎ কুমার মণ্ডল, মফিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ খান আখতার হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রয়াত কবি আসাদ চৌধুরীর জীবনালেখ্য আলোচনা করেন গাঙচিল খুলনা মহানগর শাখা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মফিদুল ইসলাম…

আরো পড়ুন

তখন সত্যি মানুষ ছিলাম আসাদ চৌধুরী নদীর জলে আগুন ছিলো আগুন ছিলো বৃষ্টিতে আগুন ছিলো বীরাঙ্গনার উদাস-করা দৃষ্টিতে। আগুন ছিলো গানের সুরে আগুন ছিলো কাব্যে, মরার চোখে আগুন ছিলো এ-কথা কে ভাববে? কুকুর-বেড়াল থাবা হাঁকায় ফোসে সাপের ফণা শিং কৈ মাছ রুখে দাঁড়ায় জ্বলে বালির কণা। আগুন ছিলো মুক্তি সেনার স্বপ্ন-ঢলের বন্যায়- প্রতিবাদের প্রবল ঝড়ে কাঁপছিলো সব-অন্যায়। এখন এ-সব স্বপ্নকথা দূরের শোনা গল্প, তখন সত্যি মানুষ ছিলাম এখন আছি অল্প।

আরো পড়ুন

কবি আসাদ চৌধুরী আর নেই। কানাডার টরন্টোর একটি হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। কবি আসাদ চৌধুরীর ছোট ছেলে জারিফ চৌধুরী এ খবর নিশ্চিত করেছেন। জারিফ চৌধুরী টরন্টো থেকে প্রথম আলোকে হোয়াটসঅ্যাপে বলেন, ‘টরন্টোর আসোয়া লেকরিচ হাসপাতালে আব্বার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার দিবাগত রাত তিনটায় তিনি মারা যান।’ কবি আসাদ চৌধুরীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তাঁরা সবাই এখন টরন্টোয় আছেন বলে জানান জারিফ চৌধুরী। প্রথম কবিতার বই ‘তবক দেওয়া পান’–এ পরিচিতি পান কবি আসাদ চৌধুরী। ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান তিনি। ২০১৩ সালে পান একুশে পদক। আসাদ চৌধুরী ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি…

আরো পড়ুন

প্রেমপত্র হারুনুর রশীদ এ পত্রে আমি কী আর লিখবো? হৃদয়ের মণিকোঠায় যখন লিখেছি একটি নাম “জোলায়খা”। কী আর লিখবো? ভাবছি নতুন করে। বসে নিরালায় কাল কেটে যায় ভাবনার তরে। কল্পনাদেশে নিমগ্ন এই মন। রুপালি আশায় করি বিচরণ। স্মৃতির তুলিতে আঁকা। হৃদয়ের মণিকোঠায় একটি নাম “জোলায়খা”। মনের মাধুরী মেখে লিখে যাই একে একে। কাগজ-কলম ফুরায়! চিন্তায় মাথা ঘুরায়! ভাবি বসে শুধু একা! হৃদয়ের মণিকোঠায় একটি নাম “জোলায়খা”। বিরহের যাতনায় যদি মোর প্রাণ যায় মুছবে না তাও লেখা। পেয়ে আমার পত্তর, জবাব দিয়ো সত্ত্বর হোক বা না হোক দেখা! হৃদয়ের মণিকোঠায় একটি নাম “জোলায়খা”। তোমার পায়ের ছন্দ, কেশের কুসুম গন্ধ, নয়নের শর…

আরো পড়ুন

মন শায়লা মোস্তারী রুমানা নিজেকে খুঁজে বেড়াই কতশত চেনা মানুষের ভিড়ে! আমার আমিটাও আজ বড্ড অচেনা! দিগ্বিদিক শূন্য হয়ে, নিজের কাছেই আসি ফিরে। একা লাগে ভীষণ ফিরে আয় মন। করিসনে এতো জ্বালাতন! তোকে সত্যিই দারুণ প্রয়োজন।

আরো পড়ুন

ব‌্যস্ততা শাওন খন্দকার তোমার শহ‌র ব্যস্ততায় ভরা- আমার পাড়া নিঝুম, তোমার কথা ভে‌বে ভে‌বে আহা- রাত কা‌টে নির্ঘুম। তোমার শহ‌রে লাল-নীল বা‌তি ইট-পাথ‌রের প্রা‌চীর, আমার গ্রা‌মে‌তে জোনাক পোকা মধুর সুর বাঁ‌শির। শহ‌রের ব‌্যস্ততা ফে‌লে চ‌লো বাঁধি ঘর, আমার পাড়া‌য় এসো ফে‌লে ওই শহর। _________________________________ শাহবাজপুর, কামারখন্দ, সিরাজগঞ্জ

আরো পড়ুন

তুমি বরং শেখ মনিরুজ্জামান শাওন। তুমি বরং আমার মতো করে, আমাকে ভালোবাসি বলে “হ্যাঁ” বলে দাও। তাহলে তোমার হৃদয়েও, আমার মতো করে সুখ অনুভব হবে। শরতের আকাশে সাদা মেঘের ভেলায়, আমার মতো করে উড়ে উড়ে ঘুরতে পারবে। রাক্ষুসে গিলে খাওয়া চন্দ্রালোকে, মায়ার ফাঁদে নিমজ্জিত হয়ে, কফির কাঁপে চুমুক দিতে দিতে পার করে দিতে পারবে অনায়াসে অযুত বিবর্ণ রাত। গুন্মলতার মতো অট্টালিকা বেয়ে বেয়ে বাড়তে থাকবে, অন্যরকম ইচ্ছেগুলো। হ্যামিলিনের বাঁশিওয়ালার মতো বাজাতে পারবে, মহিনী সুর- তোমার গহিনে। তুমি বরং আমার মতো করে আমাকে ভালোবাসি বলে “হ্যাঁ” বলে দাও। তাহলে সরীসৃপের মতো খোলস বদলাতে হবে না আর… দেয়ালের প্লাষ্টারের মতো একটু একটু…

আরো পড়ুন

সে আমাকে ভুলে থাক। সুরমা খন্দকার। সে আমাকে ভুলে থাক শেষ বিকেলের আলোর বিষাদ নিয়ে সে আমাকে আর না দেখুক হৃদয় তমসা কৃষ্ণবিবর ছুঁয়ে। সাইবেরিয়ার শীতল বরফ হোক মন ভিসুভিয়াস না হোক শরীরে দেহে, থেমে যাক অগ্নুৎপাত ক্ষণ। সে আমায় স্পর্শ আর না করুক বৃষ্টি বিরল হোক সাহারা, দার্জিলিংয়ের মেঘেদের মতো নিজ ইচ্ছায় খেলা করুক অভিমান। শুধু অন্দর বাহির ব্যাকুল তিয়াস হোক। সে আমাকে না দেখুক লীলায়িত হেলা ভরে ও চোখে, বোবা জোনাকিরা খোঁজ নেক রোজ আমার ব্যথায় নুজ্ব্য থাকুক জমে বুকে না দেখার শোকে। আষাঢ় ফিরে আসুক বারে বারে পথ ভুলে রবে সে সকাল সন্ধ্যা কেঁদে যাক বিরহী চাতক…

আরো পড়ুন

ডিঙি নৌকায় জীবন তুলে ভাসিয়ে দাও শিরীনা ইয়াসমিন আকাশ ভেঙে জোছনা ঝরে কেন মেঘের মাঝে ডুবে আছ আঁধার জোছনায় ভাসিয়ে দিয়ে জোছনার স্রোতে আলো ছোঁও আলোয় আলোয় জীবন ভরো। মাটিতে স্বপ্ন পোঁত খেয়ে নিবে মৃত্যুর পর দেহ খাবে এখন না হয় স্বপ্নই খাক। বিভ্রান্ত সিমান্তে আবেগশূন্য যে, তাকে ছাড়ো হিজল তমাল ডালে সুখের দোলায় দোল। বিভ্রমে অপথে হারিয়ে নিরেট জল কোথায় পাবে? অবেলায় ঘোলা জলে মন ভেজাও! সুধা হীন কথা ভরবে না মন। পত্রের শব্দে শব্দে জল পাঠাও শব্দ বড় অকেজো এখন। নীল আলোয় জীবন হাসে তোমার জীবন ধূসব বড়। সরল দেহ ভাঁজ নেই ঢেউয়ে ঢেউয়ে ছন্দ নেই জীবনের বাঁক…

আরো পড়ুন