আজ কবি নির্মলেন্দু গুণের ৮০তম জন্মদিন। কবির জন্ম ১৯৪৫ সালের ২১ জুন তিনি নেত্রকোণার বারহাট্টায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সুখেন্দুপ্রকাশ গুণ এবং মা বীণাপাণি। পুরো নাম নির্মলেন্দু প্রকাশ গুণ চৌধুরী। কবি নির্মলেন্দু গুণ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় কবিদের মধ্যে একজন। তিনি ১৯৪৫ সালে নেত্রকোণার বারহাট্টার কাশবন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ছেলেবেলা কাটে নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার কাশবনে। তার পিতার নাম সুখেন্দু প্রকাশ গুণ এবং মাতা বীণাপাণি। সুখেন্দু ও বীণাপাণির তিন মেয়ে এবং দুই ছেলের মধ্যে নির্মলেন্দু ছোট। চার বছর বয়সে মাতার মৃত্যুর পর তার পিতা চারুবালাকে বিয়ে করেন। নতুন মায়ের কাছেই নির্মলেন্দুর শিক্ষা শুরু হয়। বারহাট্টার করোনেশন কৃষ্ণপ্রসাদ ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৬২ সালে…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
১) রাতের গল্প জ্যোৎস্না বিহীন আঁধার রাতে জোনাকির স্নিগ্ধ আলো বড় অস্থির লাগে, নিষ্প্রভ বিষাদময় ৷ রাতের এক্সপ্রেস ট্রেনটা বিকট শব্দে রাতের নিরবতা ভেঙে মিলিয়ে গেল আঁধারের বুকে ৷ মাঝেমধ্যে রাতের আঁধারে অতীত স্মৃতিগুলো কালো প্রেতের মতো চেপে ধরে কণ্ঠনালী….. রাজ্যের তৃষ্ণা, যেন মরুভূমির রুক্ষতা ৷ ইচ্ছে করে চৈতন্যের সব কটা জানালা খুলে বন্ধ চোখে নিশ্বাস নেই প্রকৃতির বিশুদ্ধ বাতাসে ৷ জানালার গ্রীলের ফাঁক গলিয়ে সূর্যের নরম আলোয় ঘুমটা ভাঙলো যখন.. মনের আয়নায় কার মুখোচ্ছবি… স্বপ্নের ভেতরে আকাশের সিঁড়ি বেয়ে সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে বেড়ানো মহুয়ার গন্ধে মাতাল চারপাশ ৷ শুধু কল্পনাতে ছুঁয়ে গেল মন… বাস্তবতা বড়ই কঠিন! নিশ্চয়ই আঁধারের…
চলে গেলেন কবি অসীম সাহা: বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করা এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি অসীম সাহা আর নেই। ১৮ জুন ২০২৪ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। কবি অসীম সাহার জন্ম ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৯, নেত্রকোনা শহরের মামাবাড়িতে। তার বাবা প্রয়াত অখিল বন্ধু সাহা, মা প্রয়াত প্রভা রানী সাহা। ছয় ভাই-বােনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তাঁর পিতপুরুষের ভিটে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার তেওতা গ্রামে। তবে দার্শনিক পিতার চাকরির সূত্রে মাদারীপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু। সেখানেই বিদ্যালয়, উচ্চবিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়ের পড়াশুনা শেষ করে ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর…
বৃষ্টির ছড়া নজরুল ইসলাম খান আষাঢ় এলো সারা বাংলায়, বৃষ্টি কোথায়? বৃষ্টি কোথায়? বৃষ্টি পড়ুক টাপুর টুপুর, বৃষ্টি নামুক আমার মাথায়। দীর্ঘ দিনের তাপদাহে, শরীর আমার ঝলসে গেছে। বৃষ্টি নামুক অঝোর ধারায়, ঠাণ্ডা করুক আমায় এসে। বৃষ্টি এলে ভিজবো আমি, ঘরের ছাদে, ফাঁকা মাঠে। তুমি যদি থাকো সাথে, অনেক মজা পাবে তাতে। দোলনচাঁপা- কদম্বফুল, ফুটে থাকে রাতে-প্রাতে। চাইলে তুমি দিতে পারি, তুলে এনে তোমার হাতে। বৃষ্টি হলে ডোবা নালা, পুকুরের ঘাট জলে ভাসে। বৃষ্টি এলে অবিশ্রান্ত, ডাহুক ডাকে মাঠের পাশে। বিলে ঝিলে শাপলা শালুক ফোটে যেন চাঁদের হাসি। বৃষ্টি নামুক মুসলধারে, বৃষ্টি আমি ভালোবাসি।
আমার কিছু স্বপ্ন ছিল নির্মলেন্দু গুণ l আমার কিছু স্বপ্ন ছিল ,আমার কিছু প্রাপ্য ছিল, একখানা ঘর সবার মতো আপন করে পাবার, একখানা ঘর বিবাহিত ,স্বপ্ন ছিল রোজ সকালে একমুঠো ভাত লঙ্কা মেখে খাবার l সামনে বাগান, উঠোন চাইনি, চেয়েছিলাম একজোড়া হাঁস, একজোড়া চোখ অপেক্ষমাণ l এই তো আমি চেয়েছিলাম l স্বপ্ন ছিল স্বাধীনতার, আর কিছু নয়, তোমাকে শুধু অনঙ্গ বউ ডাকার l চেয়েছিলাম একখানি মুখ আলিঙ্গনে রাখার l অনঙ্গ বউ, অনঙ্গ বউ, এক জোড়া হাঁস, এক জোড়া চোখ, কোথায়? তুমি কোথায়?
বিশ্বের বেকুব এশিয়ানরা ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম। ভারত বিশ্বের প্রচুর খাদ্য শস্য সরবরাহ করে, তুলা ও তারা শীর্ষে, বিশেষ করে আফ্রিকার ৪০% খাবার ভারতের সরবরাহ। রাশিয়া গম রপ্তানিতে বিশ্বের শীর্ষে, বিশ্বের ৪২% সূর্যমুখী বীজ তেল রাশিয়া সরবরাহ করে, “সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম” শুধু মাত্র রাশিয়া তৈরি করে, জাপান ও রাশিয়া থেকে ট্রাউট ফিশ আমদানি করে! চায়নার জিডিপি আমেরিকার পরেই। যুক্তি প্রযুক্তি অস্ত্র ‘পরমাণু সাবমেরিন’, ‘পরমাণু বাহী মিশাইলে’ এশিয়া, N A T O থেকে সমৃদ্ধ! তেল-গ্যাসে রাশিয়া নির্ভর পুরা ইউরোপ! প্রথম সারির তিন সুপার পাওয়ার রাশিয়া চায়না ভারত পাশাপাশি এশিয়া মহাদেশে, সূদুর সাতসমুদ্র তের নদী পাড়ি দিয়ে এসে মার্কিন ছড়ি ঘুরায় এশিয়ার উপর…
দিনগুলো খসে পড়ে দেবিকা রানী হালদার। জীবন থেকে দিনগুলো কখন চলে যায় মানুষগুলো বুঝতে পারে জীবন শেষ বেলায়! তখন আর থাকে না ফেরার সময় স্বার্থপর আপনজনের মুখোশ খুলে যায়! বৃষ্টির বুদ বুদের মতো দিনগুলো হয় গত স্মৃতি জেগে রয় শুধু দিনগুলো হারায়, যত শোক কষ্ট দীর্ঘশ্বাস নয়ন জল হয়ে ঝরে মূল্য ও হারায় তখন তিল তিল করে! একদিন যে ছিল প্রাণাধিক আপন সেও তার তাচ্ছিল্য রাখে না গোপন! সিঁথিতে সিঁদুর পরে ঘুরতো যে বারেবারে আজ ডেকেও যায় না পাওয়া তাকে মম দ্বারে! সবার বোঝা একদিন করেছি বহন সহ্য করেছি তাদের সহস্র দহন! আজ আমি অপাংতেয় রোগ-বালাই শোক কাউকে দিতে যাই…
বাবা দিবস ওয়াহিদুজ্জামান বকুল॥ ফারদিন, তুমি আমার প্রথম আলোর ঝিলিক, ফাইজিন, তুমি আমার ছোট্ট প্রিয়মণি, অজস্র সুখের ঢেউ লাগে প্রতিদিন, তোমরাই আমার জীবন॥ তোমাদের স্বপ্নে বুনেছি আমার স্বপ্ন, তোমাদের সাফল্যে পেয়েছি আমার প্রাপ্তি, জীবনের প্রতিটি মোড়ে আছি তোমাদের সাথে, প্রকাশে পারি না কিন্তু অনুভব করি গভীরে॥ ফারদিন, তুমি আমার সূর্যের আলো, ফাইজিন, তুমি চাঁদের মায়াবী ছায়া। তোমরা বড় হয়েছো, তবু আমার কাছে শিশু, হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দনে তোমাদের নাম, আমার প্রিয় দুই রত্ন, ফারদিন ও ফাইজিন। মোর ভালোবাসা, কখনো হবে না সরা, তোমাদের প্রতি ভালবাসা আমার অসীম॥
শরৎ মাহবুবা রহমান শরৎ এসেছে নীল আকাশে সাদা চাদর বিছিয়ে, শ্বেতশুভ্র শিউলি ফুলের কাকন গলিয়ে, নিস্তব্ধ রাএির দেহ জুড়ে, শরৎ এসেছে কাশবনের কেশদুলানো, ঢেউখেলানো দীঘল কালো কেশরাজির মাঝে, ছন্দ দুলানো, স্পন্দিত আবেগের সুরে, শরৎ এসেছে বিমোহিত চঞ্চলা বালিকার বেশে, ছুটে চলে অন্য রংয়ে, ভিন্ন সুরে।
তুমি এলে আল আমিন সরদার তুমি এলে বৃষ্টি নামে পাখিরা গান গায়। তুমি এলে নববধু আনন্দে দিন কাটায় । ফুলগুলোও অভিমানী করছে সঙ্গে আড়ি। না পেলে তোমার ছোঁয়া ফুটবে না যে কলি। মেঘমালা নীল আকাশে ঘুরছে দেখ বেশ। তুমি এলে বৃষ্টি নামবে শান্ত হবে দেশ। কৃষকেরা মাঠে আছে তীব্রতাপ দ্রাহ। তোমার হাসিতে ক্লান্তি দুর অন্তিম শান্তি রুহ। ঘর কন্য মেয়ে তুমি রূপের ঝংকার। ওই হাসিতে পদ্ম ফুটে আছে অলংকার। তোমার রূপে প্রজাপতি লাজে ঢাকে মুখ। তোমার দেখা একটু পেলে হৃদয়ে নামে সুখ। গুণবতী কন্যা তুমি দূর দেশেতে থাকো। আবার তুমি আসবে কবে অপেক্ষাতে রাখো। এই হৃদয়ে তোমার কথা নিত্য রোজী…
