কবি আসাদ বিন হাফিজ মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। রোববার (৩০ জুন) রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন ছোট ছেলে আহমদ শামিল। কবি আসাদ বিন হাফিজ ছিলেন, ইসলামী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক, ছড়াকার ও সাহিত্যিক, প্রকাশক। এর আগে অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। আসাদ বিন হাফিজ ১৯৫৮ সালের ১ জানুয়ারি গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানার অন্তর্গত বড়গাও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মুহাম্মদ হাফিজউদ্দীন মুন্সী এবং মা জুলেখা বেগম। বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক, গল্পকার এবং ছড়াকার হিসেবে পরিচিত। তিনি…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
একটি কবিতা ডাক্তার মমতাজ রহমান একটি কবিতা বদলে দেয় জীবনকে। একটি কবিতা বাঁচতে শেখায় মানুষকে। একটি কবিতা স্বপ্ন দেখতে শেখায় নতুন করে। একটি কবিতা আদর্শ শিখায় মানব জাতিকে। একটি কবিতা পথ দেখায় অমানুষকে মানুষ হবার। একটি কবিতা বদলে দেয় ভাগ্য নিমেষে। একটি কবিতা প্রশান্তি দেয় জীবনের শেষ বেলায়। একটি কবিতা উজ্জীবিত করে বিস্মৃত স্মৃতিকে। একটি কবিতা শেখায় পরিণত মানুষ হতে। একটি কবিতা শেখায় সুখের স্বপ্ন দেখতে। একটি কবিতা আলো দেয় কালো মেঘ সরিয়ে। একটি কবিতা প্রশান্তি দেয় সমুদ্রের গর্জনেও। একটি কবিতা আকড়ে রাখে মায়ের স্নেহে। একটি কবিতা পরাহত করে সব অপশক্তিকে। একটি কবিতা খুলে দেয় রুদ্ধ দ্বার জীবনের। একটি কবিতা…
আল্লাহ আমার পরম প্রভু আসাদ বিন হাফিজ আল্লাহ আমার পরম প্রভু রাসূল আমার নেতা তাঁর দেখানো পথে চললে যায়রে রণে জেতা। ভয় করো না দৈত্য দানো যদি তুমি আল্লাহ মানো বলে গেছেন নেতা আমার, মানা করে কে তা? জালিম যদি জুলুম করে থেকো না আর বসে ঘরে জুলুমের হাত ভেঙ্গে দাও, করো ফ্যাতা ফ্যাতা। আল্লাহ আমার মহান প্রভু রাসূল আমার নেতা তার মতো হও বীর বাহাদুর, হও না দৃঢ়চেতা। আল্লাহ হবেন সহায় তোমার কিসের তবে ডর নিকেশ করো যেথায় পাবে শয়তানের সব চর। আল্লাহ আমার পরম প্রভু যান না ছেড়ে তিনি কভু বান্দার সাথে থাকেন প্রভু সদা নিরন্তর।
সত্যি কি ভুল আমার ছিলো কলি চক্রবর্তী আমাকে ভুল বুঝতে হলে ভুল মানুষের কথা গুলো কানে নিও, অভিমানের তীক্ষ্ণ বাক্য বারে বারে ছুঁড়ে দিও। আমাকে ভুল বুঝতে হলে নিষ্পাপ হাসি দেখে, সন্দেহের জেরে প্রশ্ন রেখে ভুলকে ভুলে মিলিয়ে নিও। আমাকে ভুল বুঝতে হলে সকল কথার গ্যাড়াকলে শক্ত করে বেঁধে দিও। আমাকে ভুল বুঝতে হলে যাদের কথায় মন করো ভার? সেই ভারে হার জড়িয়ে নিও। চুল পরিমান ভুল সে পেলে আমায় মনে করিয়ে দিও।
প্রতিকার পদদলিত হয়ে থাকব না আর মানব না দুর্ব্যবহার, হৃদয় খুঁড়ে জাগানো ব্যথার হবেই আজ প্রতিকার। মোহমায়া জারুল, সোনালু আর কৃষ্ণচূড়া ফুল মাড়িয়ে এগিয়ে চলি আমি ধীর পায়ে। আহা! অপরূপ এই সবুজ শ্যামলিমা সন্ধ্যায় শুকতারারা চুমি দেয় গায়ে। মানুষ দূর্বল ভেবে হেয় করো না আর করো না অবহেলা, যাদের তুমি ঘৃণ্য ভাব, তারাও মানুষ, বুঝবে ওবেলা। অনুরাগ আকাশ কালো বাতাস কালো মনজুড়ে কালো মেঘের ছায়া সব হারিয়ে বিস্বাদ হলো আজ কাজলকালো চোখের মায়া।
আন্ধারের ঋণ কানিজ ফাতেমা আমাবইস্যা আন্ধার রাইতে মুলিবাঁশের ঝাপ সরাইয়া উঁকি মারে নাগর আমার পূর্ণিমার চাঁন্দের লাহান কইলজাডা চিলকাইয়া উডে পাছ বাড়ি যদি পায় আলাপ বসাইবো পঞ্চায়েত করো কী নাগর আমার ওগো ধলা চাঁদ তোমার হইলে কিছু কিবা বা কোন প্রকারে বাধিবো এ পরান? আহো আহো বহো দেহি ঝাপটা লাগাই উত্তরে মিয়া ভাই পূবে কেউ নাই পশ্চিম ধুধু খোলা কলইয়ের ক্ষেত পৈতাটা খুইল্লা রাখো যদি যায় জাত চাইয়া চাইয়া দেহো কি আমি রূপবান? কি আনিছো, চিড়া গুড় না ইরির চাইল? মুড়ির মোয়া, খই , হাড়ি পাতা দই? কয় প্রস্থ পাড়ি দেই খাতি কয়ডা ভাত কিগো চাঁন বোবা হইলা কতা কওনা…
বর্ষা সুন্দরী আষাঢ় লগনে ফরিদা ইয়াসমিন ষড়ঋতুর বাংলাদেশে আষাঢ়- শ্রাবণ মেঘের মাসে, অপরূপের দেশে রূপ সুষমায় বর্ষা সুন্দরী হাসে। ঝুমুর ঝুমুর বৃষ্টি তরঙ্গে বর্ষা খেলছে নব তারুণ্যে। মন ময়ূরীর উচ্ছ্বলতায় বর্ষা বিলাসী হৃদয় অরণ্যে। বর্ষা এলো প্রকৃতিতে জাগলো প্রাণের কোলাহল, নদ-নদীতে ঢেউ খেলে জল ছলাৎ ছলাৎ ছল। নদীর বুকে নৌকা ছুটে সাম্পান মাঝির গানের সুরে, ছুটছে নৌকা পাল তুলে রে অচিন বহুদূরে। বিজলী ছটায় বজ্র চমকে বর্ষা এলে বনে বনে, ময়ূর নাচে পেখম মেলে হৃদয়ের আমন্ত্রণে। চৌদিকেতে প্রাণের জোয়ারে ভাসে বর্ষা সুন্দরী! দু’চোখ জুড়ে রিমঝিম রিমঝিম আহা মরি মরি ! আষাঢ় এসেছে কদম ফুটেছে রঙ্গিন স্বপ্নে প্রাণ কদম সুবাসে উঠেছে…
সীমানা থেকে আর্শিনা ফেরদৌস একদিন সূর্যালোক ঘিরে রাখবে মেঘলা আকাশের উঁকি ঝুঁকি আঁধার-মিনারে ফিরে এসে অস্তিত্ব হিজল তলায়, এসে গেলে… অবাক চেয়ে দেখব একটি শালিকের ওড়াউড়ি চলে জলে দেখে পানকৌড়ি বা আরেকটি শালিক কোথাও কোন বোধ জন্ম দিতে, রয়ে যাবে… অনুভব নিয়ে কথা লিখে রাখি কোন স্বত্বায় এক কাকভোরে এক বুকে এক জনন রক্তমাংসের কত উপাদান সচলায়তন ঘিরে এক আষাঢ়, পৌষের গন্ধ স্মৃতি, আমি জেনেছি.. বাতাসে গন্ধ ভরে অবয়ব গড়া শুধু আড়ালের শালিকের বেশে ওড়াওড়িতে, আলোকের সময়ে তাড়া আগুন ভরে খোলা পায়ে হিসেবের ছায়া পথে এগিয়ে সময়, অসমতায় আমার চোখের পাতায়… দৃষ্টিতে দুটো সজীব হাত, ভেজা বাতাসের বিচরনশীল বিহ্বলতা জলের…
রৌদ্র ঝরা বিকেলে কে এম মানিক রৌদ্র ঝরা বিকেলে, এক পশলা বৃষ্টি রূপে। দেখা দিলে তুমি অবশেষে, আমার মনের বারান্দাতে। হাসি খুশি গোছালো আমি, হঠাৎ এলোমেলো করে দিলে সবই। শুধু তোমার হাসির কারণে, ভালোবাসার ফাঁস ঝড়াবো গলাতে। নতুন দিগন্তের হবে সূচনা, তোমায় কত ভালোবাসি তা বুঝ না। তোমার মূহমূহ ঘ্রাণ ছড়াল আমার, নয়নভরা আঁখি জলে। এই বিকেল হবে না শেষ, যেন হাজার বিকেল এলে। তুমি থেকে সারা জীবন, আমার দৃষ্টিতে তাকিয়ে।
হে প্রেম। সুলতানা বেগম। তোমাকে ভুলতে চেয়ে ঘুরেছি কত ঘাট-অঘাট, তোমাকে ভুলতে চেয়ে বদলে ফেলেছি জীবনের পাঠ। তবুও যেদিকে তাকাই- তোমার চেহারাটাই দেয়ালের মতো দাঁড়িয়ে থাকে,মোড় ঘুরিয়ে যদি যাই নাম ধরে ডাকে যেন ভুলভুলাইয়া যত! হে প্রেম, তোমার ছলনায় পা দেবো না বলে পালিয়েছি পুরোটা জীবন; ছাপোষা জীবন আমার তোমাকে ছাড়াও চলে! তুমি নও তো কারো আপন; তোমার সর্বহারা স্বভাব জানা আছে আমার, সবকিছু ভেঙেচুরে দিয়ে লুকিয়ে পড়বে জীবনেরই অতলান্তে। পড়ন্ত বেলায় এইসব ভাঙচুর সইবে না আর। হে প্রেম, স্বর্গ থেকে এসে তুৃমি স্বর্গে যাও চলে, বিধাতাকে খবর দিও আমি ভুলিনি তোমার মিস্টি বোলে! তুমি আারাধ্য সকলের যদিও আমাকে? -…
