Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ

ময়ফুলির বসন্তবরণ –জেসমিন জাহান সাভারের জিরাবো থেকে বাসে উঠেছি, গন্তব্য বকশীবাজার ঢাকা শিক্ষাবোর্ড। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সামনে নামলে একটু সামনে এগিয়ে গেলেই হলো, রিক্সায় পাঁচ মিনিটের পথ। এস এস সি পরীক্ষার খাতা আনতে যাচ্ছি। মিটিং দিয়েছে দুপুর ২ টায়। তারপর খাতা হাতে পেতে তিনটা বেজে যাবে। তাই স্টাডি ট্যু্রে যাওয়াটা মিস করতে ইচ্ছে করলো না। সকাল ছয়টায় বাসা থেকে বের হয়েছি। স্টুডেন্ট টিচার সব মিলে দশটাবড় বড় বাস। খাবারের সরঞ্জামসহ লোকজন গতকালকে বিকেলেই চলে গেছে। সকালের নাস্তা , দুপুরের খাবার আর বিকেলের হালকা খাবারের ব্যবস্থা। কচ্ছপ গতিতে এগুচ্ছে গাড়ি। বাইরে বাতাস থাকলেও ভেতরটা সবাই মিলে গরম করে রেখেছে, হৈ হল্লা করছে।…

আরো পড়ুন

বিশ্ব চলে বাণিজ্যে — অভ্র ওয়াসিম বিশ্ব চলে বাণিজ্যে মূল্যবোধে নই শাসক বোঝ অর্থ কড়ি আর কিছুতে নই। যখন চাই বিলাসী মন সত্য মিথ্যা বালাই নাই। স্রষ্টার ধারণা দুর্বলের ধন শাসকের তা ভাবতে নাই। ভাগ্য বদল শাসকের কর্ম বিশ্বাসে পাও ধন দৌলত। ঝড়ের আভাস দেখলে শাসক পুড়িয়ে কাবাব ভিন্ন মত। মিথ্যা বলা উন্নয়ন বেশ শাসক বলে সত্য ভাষণ। বুঝতে হবে মানুষ সকল শাসক মনে দরদ ভীষণ। জনমত চাও অনর্থক সব কথা বলেতে সময় নাই। শাসক বোঝে মনের কথা মানতে হবে শান্তি চাই। বিশ্ব চলে বাণিজ্যে মূল্যবোধে নই। শাসক বোঝে অর্থ কড়ি আর কিছুতে নই।

আরো পড়ুন

নদীর মতো রমণী, নাকি রমণীর মতো নদী — সজীম শাইন নদীর মতো বয়ে যাচ্ছে রমণীরা, সমুদ্র নীলায় রমণীর মতো নদী, নাকি নদীর মতো রমণী? এই তর্কের মীমাংসার দায়িত্ব নেবে অগ্রজ কবি, কিন্তু কবিতাও চুরি হয়। পুরুষদেরও দেখি যৌবনের প্ল্যাটফর্ম থেকে ভাঙ্গা গলায় স্লোগান তুলে রাজপথে। দুষ্ট রমণীরা বীজতলা ভরে জীবাণুতে পলিমাটি যুক্ত এই বহতা নদীতে। কবি জানে উত্তোলন রীতি পতিত পাবন। ঘোলাটে সমাজ শোকবার্তা শোনায় বোবা নদীর মতো নাস্তিক রমণীর গলায়।

আরো পড়ুন

সবই তোমার জানা –আব্দুল অদুদ চৌধুরী (সৌদি আরব, মক্কাহ) কী হালেতে আছি-রে বন্ধু সবই তোমার জানা। আর কতোদিন ভাসিবো আমি দেও একটু সাত্বনা। দিবানিশি শান্তি নাইরে দেখি সব অন্ধকার দুঃখ আর বলিবো কারে দরদী ভবে পাই না। কাঁন্দি বসে রোজ নিশিতে সবই তুমি পারো দেখিতে আমার বাড়ি আসিতে করো এতো বাহানা। আব্দুল অদুদ কপাল দোষে পড়ে আছি দূর প্রবাসে কপালে মোর কী বা আছে ভাবিলে কুল পাই না।

আরো পড়ুন

সময়ের অতিথিরা –ভানিয়া অ্যাঞ্জেলোভা (বুলগেরিয়া) Vanya Angelova (Bulgaria) মোমবাতিতে দুটি সিলুয়েট বেড়ে ওঠে। আমরা শেষ দিনে থেমে যাব তোমার সাথে রাতে জ্বলজ্বলে তারায়- অনন্ত সময়ের অতিথি। একজন পুরুষের প্রতিচ্ছবিতে এবং একজন নারীর মুখে, সোনালী কনট্যুরের একটি গুঁড়ো মধ্যে আলোতে তীরের আলো ধোয়া। তারা আমুরি ডার্টসকে ছেড়ে দিয়েছে। মাস একই পথে চলে, যেন পৃথিবী চুমু খাচ্ছে। গোধূলি লগ্নে একটি উদ্ধারকারী জাহাজের কথা মনে করিয়ে দেয়, যা এক মুহূর্তের মধ্যে উদিত হবে। রাতে ফিসফিস করে বলা ছায়া আমরা। অন্ধকারে, কিছুই পরোয়া করে না। মোমবাতিতে দুটি সিলুয়েট পড়ে- অনন্ত সময়ের অতিথি।

আরো পড়ুন

মিস করার একটি অশ্রু — Flori Gombos (Romania) এক মুঠো ফুলের সাথে বেদী বানাচ্ছি তোমার সমাধি, আমি তাদের আকাঙ্ক্ষার একটি অশ্রু দিয়ে শুই… এটার মূল্য কত? আমরা আপনাকে আচ্ছাদিত করেছি আনুগত্যের, পবিত্রতায় পরিপূর্ণ, আমি রাখবো তোমার সোনার আংটি, কিন্তু, আমি চোখের পানি মেরে ফেলবো এক এক করে, অবিরাম ভালোবাসায় তোমার জন্য আমি কবিতাটি সাজাবো বর ছাড়া কনের মত, ঘাড়ে, আমি বসবো একটি শব্দের মালা, তারপর, মধ্যরাতে, স্বপ্ন আমার চোখ থেকে বের হয়ে যাবে এবং সকাল আমি ঘুম থেকে উঠেছি সাদা ফুলের বিছানায়, জীবনের গন্ধের সাথে, সবুজ পতন

আরো পড়ুন

সম্পর্কে সহবাস ক্লেদাক্ত সময়ে –খাতুনে জান্নাত ব্যথাদায়ক শব্দ ভেঙে তৈরি হোক মায়া তারপর ছড়িয়ে যাক আকাশগঙ্গায় চোখের নদী বেয়ে ফসলের হাসি জোড়া হোক ছিঁড়ে যাওয়া সম্পর্কের গুন ভেঙে যাওয়া পাতিহাঁস প্রহর জোড়া দিতে দিতে তালি বাড়ে সম্পর্ক থেকে টুটে যায় নূপুর ভাঙা নূপুরের ক্রন্দন এধারে ওধারে চকমকে পোশাক পরে কারা হেঁটে যায়! তুই কী শুনতে পাস প্রথম নগর লিরিক তুই কী পড়তে পারিস ভাঙা বাক্সের গান! অবহেলিত পথের কুকুর ভয় পেয়ে দৌড়ে পিষ্ট হয় পৌরাণিক দানবের ঘায়ে চারপাশে দম্ভ ভরে যারা পা ফেলে পায়ের তলায় পড়ে থাকে নরম মানুষ… তুই হাসির ইমুজি দিয়ে দিয়ে প্রাণ কেড়ে নিস! তুই কী এখনো…

আরো পড়ুন

পুড়ে যাচ্ছে –হাসান ওয়াহিদ সবাই পুড়ে যাচ্ছে আমি তাদের ধোঁয়ার গন্ধ পাচ্ছি ঘুম নেমেছে তীব্র অথচ মশারি পুড়ে যাচ্ছে যুবকের ভালোবাসায় যুবতীর কামনার শরীর পুড়ে যাচ্ছে। ইমারতের আগুন নেভানোর আগেই পুড়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের লাল গাড়ি, মূল্যবোধ পুড়ে যাচ্ছে গনগনে আগুনে পুড়ে যাচ্ছে জনকের টাঙানো বিশাল ছবি। আমাকে আকড়ে থাকা শিশুসদনের শেষ প্রার্থনা পুড়ে যাচ্ছে গলির মুখ থেকে বিশেষ বাহিনীর তাড়া খেয়ে আমি ছুটছি অসুস্থ শহরের গলি, হাইওয়ে আমাকে ঠাঁই দিতে না পেরে পুড়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত মুনাফার লোভে পুড়ে যাচ্ছে ঘৃণ্য ব্যবসায়ীর জিভ। আমাদের সাহসের মাংস ফালি ফালি করে দেবে বলে পুড়ে যাচ্ছে রাজনীতির ছুরি আতশবাজির কারখানা পুড়ে যাচ্ছে ক্ষুধায়…

আরো পড়ুন

আগামীকাল ০৬ জুলাই ২০২১ তারিখে সমাজ পরিবর্তনে কবিতা গ্রুপের ১১ বছরে পদার্পণ। এই বিষয়ে গ্রুপের সকল সদ্যস্য/মডারেটর/অ্যাডমিন ও সম্মানীত উপদেষ্টাদের প্রতি এক বাণী দিয়েছেন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আবুল খায়ের স্যার; বাণীতে তিনি বলেন: দেখতে দেখতে কেটে গেলো ১০টি বছর। অনেকগুলো পথ অতিক্রম করে… আজ আমরা এই অবস্থানে। সেটা অনেক কষ্টের যেমন ছিল, ছিল আনন্দেরও। অনেক কবি/লেখক এই গ্রুপ থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেরাই এখন প্রতিষ্ঠিত এবং দেশ বিদেশে পরিচিতও বটে । করোনার কারণে গত বছরেও হল বুকিং করেও অনুষ্ঠান করা যায়নি। এবারও তাই ঘটেছে। আমরা আশা করি, করোনা মহামারী কাটিয়ে একটা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবো আমরা অচিরেই, ইনশাআল্লাহ। গ্রুপের চলার পথে…

আরো পড়ুন

করোনাকালের দিনগুলি –কবির কাঞ্চন রমজান মাসের শেষের দিকে, করোনাভাইরাস আতঙ্কের মাঝেও শপিংমলগুলোতে চলছে লোকজনের উপচে পড়া ভীড়। পছন্দমতো ঈদের কেনাকাটা করে তুহিনও বাবামায়ের সাথে বাসায় ফিরেছে। সে একদৌড়ে রাতুলদের বাসায় চলে আসে। রাতুলকে কাঁদতে দেখে তুহিন আস্তে করে বলল, : আন্টি, ও কাঁদছে কেন? : না বাবা, এমনিতেই। ওকে নিয়ে যাও। তুহিন রাতুলের হাত ধরে টেনে টেনে বাইরে নিয়ে আসে। এরপর রাতুলকে উদ্দেশ্য করে বলল : এই রাতুল, এভাবে কাঁদছিলি কেন? আন্টি কী তোকে মেরেছেন? রাতুল দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, : না, ক’দিন পরই ঈদ। এখনও আমার ঈদের কেনাকাটা হয়নি। এতোদিন বলেছেন কিনবেন। আজ আম্মু সরাসরি না করে দিয়েছেন। এ মাসে…

আরো পড়ুন