হেমন্ত কন্যার সুখ
ড.এস.এ.তালুকদার
১১/১২/২১
হেমন্তের শিশির ভেজা শীতে
শিরশির বাতাস মৃদুমন্দ স্রোতে
পরিযায়ী পাখি আনন্দ খোঁজে।
আবালবৃদ্ধবনিতা যেমন রোদে বসে
মুড়ি ক্ষীরের স্বাদ পেতে।
রৌদ্রোজ্জ্বল বিস্তৃত কৃষি মাঠে
ধানের শীষে সোনা ঝরে
কৃষকের মনে স্বপ্ন ফলে
শুকনো ঠোঁটে হাসি ফোঁটে।
থোকা থোকা শিম ফুলে
ভ্রমর বিহার করে গুণগুণিয়ে
কৃষক বধূর নাকের নোলক
লকলকে লাউ শাকের ডগায়
শিশির বিন্দুর মতো দোলে।
পেঁয়াজ গাছের তীক্ষ্ণ ডগায়
সূর্য হাসে শিশির ফোঁটায়
এক শাড়িতে প্যাঁচানো শরীরে
উদ্ভিন্নযৌবনা রূপসী কৃষক বধূ
সাত সকালে সবজি ক্ষেতে
সুখানুভবে মনোমুগ্ধকর চিত্র আঁকে।
গোবরে লেপা তৈরী চাতালে
প্রত্যুষে সিদ্ধ ধান বিছিয়ে
লাউ দিয়ে শোল মাছ
পিঠা পায়েস পুরি বানায়
নবান্নের দিন খাওয়াবে বলে।
শ্রান্তিহীন শরীর নেই অবসর
সকল কাজ গুছিয়ে দিনশেষে
কপালে জোটে অন্ন জল।
বাংলার চিরচেনা নারী রূপ
নাই চাহিদা নাই দুঃখ
সংসারই হেমন্ত কন্যার সুখ।
১ Comment
very good job; Congratulations.