উৎসর্জন
হাসান ওয়াহিদ
৫ অক্টোবর ২০২১
এক ফালি মেঘ অঙ্গের বসন করে আকাশ যখন দাঁড়িয়ে
তখন সকালের দোয়েল ছোট ছোট ছুরি হয়ে
কেটে দেয় অন্ধকার।
আমার চিন্তনে কোনো পরাভব না-রেখে নিজের শরীরকে দু’হাতে আলিঙ্গন করে
আয়নার সামনে দাঁড়াই অভিবাদনের ভঙ্গিমায়।
আবারও দেখিে — মধ্যবিত্ত অন্ধকার ছাপিয়ে
পৃথিবীর আলোর বিভোর সম্প্রীতি।
ভাবি,পৃথিবীতে বহুবারই রোদ তীব্র হলো
সে রোদ কি শুষে নেয় যাবতীয় স্মৃতি-কোপানো
অশ্রুজল, নমনীয় নদী আর নতুন বৃষ্টি?
দিনশেষে টুকরো রাত মুখে নিয়ে পাই
চন্দ্র বিনা রজনীর তপ্ত স্মৃতির স্বাদ —
আকাশের দিকে তাকালে মনে হয়
প্রতিটি তারার ওপরে দাঁড়িয়ে
একটি করে বাকহীন দেবদূত।
স্মৃতিচিহ্নে ছায়া-ছায়া দাগ মেখে
শুষে নেয়া অশ্রুজলে
সারা অঙ্গে শব্দ-তরঙ্গ-মৃন্ময়ের জানালা খোলা রেখে
স্ফটিকের স্বচ্ছতায় হাত রেখে বলি —
‘জীবন, হে প্রিয় জীবন।
নিভন্ত ছাইয়ের থেকে অদ্ভুত উপায়ে গা ঝেড়ে
উঠে দাঁড়িয়ে-এর চেয়ে সৌহার্দ্যমাখা কোনো শব্দ
নিজেকে উৎসর্জন করার মতো নেই প্রিয়তম।