স্মৃতির কিমচি
শিরীণ আক্তার
ফায়ারপ্লেসের আগুনটা উসকে দেবার মত করে শুকিয়ে আসা ক্ষতটাকে আবারো একটু খুঁচিয়ে দেই
যে ক্ষতগুলোকে আড়াল করে রাখে রক্তঝরা হৃদপিন্ড।
জ্বালা পোড়ায় চোখের পানি বেরিয়ে এলেই বেশ প্রশান্তি
বিছানায় মাথাটা এলিয়ে চলে যাই বহু বহুদিন পেছনে
খুঁজে খুঁজে মনে করার চেষ্টা করি কখন কী হয়েছিল,
ভালোই তো লাগে যখন দেখি সেসব দিনের অণু-পরমানু কিছুই ভুলিনি।
আয়নার প্রতিবিম্বের মত ঝকঝকে এক আমি এসে খুলে দেয় স্মৃতির সে ঝাঁপি
মৌচাকের মতো সেই কুঠুরীতে সুখ -দুঃখের বিভিন্ন স্মৃতির আলাদা বাস
সব স্মৃতি সুখ স্মৃতি হলেও শুধু তোমার কাছে এসেই কেন যেন থমকে যায় মন!
ছাতা পড়ে একটু ও যাতে নষ্ট না হয় সেভাবেই সঞ্চিত আছে তা
যতবারই ডালা খুলি ততবারই ভালো লাগার এক আবেশ নিয়ে নতুন করে মনে পড়ে সব —
সেই যে একদিন যাত্রা পথে পুরো এক নাটক শুনিয়েছিলে-মনে আছে?
বলেছিলে তোমার টুংটাং ক্ষুদে বার্তায় সাজগোজের ফাঁকে শাড়ির কুচি ঠিক করা এই আমি বিরক্ত না হয়ে যাই
কিন্তু বিরক্ত হবার আগেই যে কিছু না বলে চলে গেলে
এখনো অপেক্ষায় আছি সেই নাটকের শেষ পরিণতি দেখব বলে!
টুকরো টুকরো সে কথাগুলোই আমি মশলায় মাখিয়ে রোদে শুকিয়ে সিরকায় ভিজিয়ে কিমচি করে রেখেছি
অবহেলায় আমায় এমনই অপমান করে চলে যাওয়া তোমাকে আমি কোনোদিনই বলব না ফিরে এসো, তুমি দেখে নিও
আমি তো বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে রেখেছি -তোমার ইচ্ছে হলেই তুমি আসবে —
নয়ত অপেক্ষার অবসান হলে বুঝে নেব তুমি সত্যিই চলে গেছ …
কখনোই আর সাড়া দেবে না বন্ধুত্বের এই নীরব আহ্বানে!
১ Comment
congratulations: very good response.