শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
রেজাউল করিম মুকুল।
১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর চুড়ান্ত আইনীরুপ পেলো বঙ্গভঙ্গ আইন। কোচবিহার, আসাম, ত্রিপুরা, মালদহ, জলপাইগুড়ি সহ ২টি দেশীয় রাজ্য ও ১৪টি জেলা নিয়ে পূর্ববঙ্গের রাজধানী হলো ঢাকা যার আয়তন ১,০৬,৫৪০ বর্গমাইল, লোকসংখ্যা ১ কোটি ১৮ লক্ষ মুসলমান এবং ১ কোটি ১২ লক্ষ হিন্দু। অপরদিকে যশোর ও কুষ্টিয়াসহ ১,৪১,০০০ বর্গমাইলের ৫ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষের পশ্চিমবঙ্গের তথা গোটা ভারতবর্ষের রাজধানী থেকে গেলো কোলকাতা। এ বিভাজন কোলকাতার বুদ্ধিজীবী মহলের বাবুদের পছন্দ ছিলো না। ঢাকায় নুতন হাইকোর্ট হওয়ায় কোলকাতার আইনজীবীরা মক্কেল হারাতে লাগলো, সংবাদপত্রের কাটতি কমলো । কৃষি প্রধান অঞ্চল পূর্ববঙ্গে উৎপাদিত পাট, চা, চামড়া, নিলসহ কাচামাল দ্রুত পরিবহনের প্রয়োজনে তৈরি হোয়েছিলো তিস্তা ব্রিজ, হার্ডিন্জ ব্রিজ। চট্টগ্রাম বন্দর সচল হওয়ায় কোলকাতার ব্যবসায়ীরা চিন্তায় পড়লো। শুরু হলো তুমুল আন্দোলন; বঙ্গভঙ্গ রদ করতেই হবে। সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠায় কোলকাতায় যুগান্তর এবং ঢাকায় অণুশীলন গোষ্টী গুপ্তহত্যায় নেমে পড়লো। সেই সাথে ইংরেজ খেদাও আন্দোলন। বঙ্গভঙ্গ রদ আন্দোলন সন্ত্রাসে রুপ নিয়েছিলো। হিন্দু জমিনদাররা ছিলো এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক। কারণ তাদের জমিদারিগুলো ছিলো পূর্ববঙ্গে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৯১ দিন এ আন্দোলনে যুক্ত থেকে সরে দাড়ালেন। তিনি জমিদারির মায়া ত্যাগ করেছেন কিন্তু সন্ত্রাস সমর্থণ করেন নাই। রাজনীতির অঙ্গনেও আসতে লাগলো বিরাট পরিবর্তন। ১৯০৬ সালে ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার শাহবাগে নবাবদের বাগানবাড়িতে জন্ম হলো মুসলীম লীগের।
অসহযোগ আন্দোলনের তোড়ে শেষমেশ রদ হয়ে গেলো বঙ্গভঙ্গ ১৯১১ সালে। কিন্তু আন্দোলন বুমেরাং হলো। ইংরেজরা বঙ্গভঙ্গ রদ রহিতের প্রতিশোধ নিয়েছিলো। উড়িষ্যা ও বিহার নিয়ে গঠিত হলো নুতন প্রদেশ পাটনা। কেটে ছেটে পশ্চিমবঙ্গের আয়তন হলো মাত্র ৩০ হাজার বর্গমাইল। আর রাজধানীও চলে গেলো কোলকাতা থেকে দিল্লি, সেই সাথে কোলকাতার বাঙালি বাবুদের নেতৃত্ব চলে গেলো নওরোজী, তায়েবজী, গোখলে, তিলক মেহতা, রানাডে লসপত আর সাভারকারদের হাতে। রাজধানীর হাজারো সুবিধা হারিয়ে কোলকাতা পেলো একটি প্রদেশের মর্যাদা। ব্রিটিশ শাসক এদেশে যা কোরেছে, যতটুকুই কোরেছে তা তাদের স্বার্থেই কোরেছে। বঙ্গভঙ্গ, ছিলো ইংরেজদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ডিভাইড এন্ড রুল। ইংরেজরা বরাবরই হিন্দুদের সাথে মুসলিমদের একটা ব্যালান্স করতেই চেয়েছে। নতুন রাজধানী ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা তখন থেকেই নীতিগতভাবে ইংরেজদের আলোচনায় ছিলো। বঙ্গভঙ্গ রদে হিন্দুদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অখুশি ছিলো বিরক্ত ছিলো ইংরেজ প্রশাসন। পরের বছর ১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। এ কারণে ওই বছরের ২৭ মে গঠিত হয় ১৩ সদস্যবিশিষ্ট ‘নাথান কমিশন’। পরের বছর ১৯১৩ সালে এই কমিশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ইতিবাচক প্রতিবেদন দিলেও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যাত্রা কিছুটা থমকে যায়। অবশেষে ১৯২০ সালের ১৩ মার্চ ভারতীয় আইনসভায় ‘দ্য ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট-১৯২০’ পাস হয় এবং ২৩ মার্চ গভর্নর জেনারেল এই বিলে সম্মতি প্রদান করেন। অবশেষে ১৯২১ সালের ১ জুলাই যাত্রা শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। কিন্তু এ যাত্রাও নিঃকন্ঠক ছিলো না। বঙ্গভঙ্গ এবং অবিলম্বে এর বাতিল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা, রেষারেষি, অবিশ্বাস এবং সন্দেহ তখন তুঙ্গে। দ্বিতীয়ত, কৃষিপ্রধান নিম্ন্ঞ্চলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সমাজে শিক্ষার দ্রুত উন্নয়ন সহজে মেনে নিতে চায়ানি কোলকাতা কেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবীরা। আর তৃতীয়ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেন বড়সর একটা মাদ্রাসায় রুপান্তরিত না হয়ে যায় সেটাও ছিলো তখনকার হিন্দু ইন্টেলেকচুয়ালদের বাড়তি আপত্তির কারণ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিজেদের ট্যাক্সের টাকায় ঢাকার মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে একটা বিশ্ববিদ্যালয় হিন্দুরা সহজে মেনে নিতে চাইবে না, এটাও অস্বাভাবিক ছিলো না। ঘোষণা আসার সাথে সাথে মাত্র ১৪ দিনের মাথায় ১৯১২খ্রিঃ ১৬ ফেব্রুয়ারি এ্যাড. রাসবিহারী ঘোষের নেতৃত্বে হিন্দু নেতৃবৃন্দের একটি প্রতিনিধি দল ভাইসরয় লর্ড হার্ন্ডিন্জ এর সাথে সাক্ষ্যাত করলে তিনি তাদের আশ্বস্হ করেন এই বলে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হবে ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে সবার জন্যে উন্মুক্ত একটি আবাসিক শিক্ষা কেন্দ্র। পরবর্তী সময়ে লর্ড হার্ডিঞ্জের কাছ থেকে নিশ্চয়তা পাওয়ার পর এবং কিছু সংশোধনীর ফলে হিন্দুদের বিরোধিতা কমে আসে।
১৯২০ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশেও তার প্রতিফলন দেখা যায় এর ৫ ধারায়।এর পাশাপাশি ফ্যাকাল্টি-সংক্রান্ত ২২(৫) ধারায় ইসলামি শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতকেও জায়গা দিয়ে ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের প্রসারমাণ সুযোগ রেখে বিশেষ ধারা যুক্ত করা হয়। এখানে লক্ষ্যনীয় একধরনের কাদা-ছোড়াছুড়ির মধ্য দিয়ে জন্ম হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালের পথ পরিক্রমায় একটি ক্লেদজ কুসুম’ হয়ে ফুটে উঠে। এ ক্ষেত্রে বলা যায় যে পশ্চিম বাংলার এলিটদের অন্যায় তাচ্ছিল্যের শিকার হওয়া পূর্ববাংলার তথাকথিত ‘cultivators’-রাই শেষ পর্যন্ত জিতে যায়। শতাব্দী পরিক্রমায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় সাফল্য। তখনকার পূর্ব বাংলার মুসলমানের একটাই কালচার, আর তা হলো কৃষিকাজ। পশ্চিম বাংলার তথাকথিত এলিটদের এই অন্যায় টিটকারি ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টায় বাধা হোতে পারে নাই। লক্ষ্য করুন ১৯১২ সালে কলকাতার হিন্দু সমাজের কিছু সদস্য শ্রেণি স্বার্থের খাতিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে নিজেদের সংকীর্ণতার পরিচয় তুলে ধরেছেন। তবে বাঙালির জন্য সুখের যে ওই মানুষদের সংখ্যা বেশি ছিল না। ১৯১২ সালের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র মুসলিম সদস্য ছিলেন (আহসানউল্লাহ), বাকিরা সবাই হিন্দু। বাঙালির জন্য আরেকটা সৌভাগ্যের বিষয় যে শুরুতে সাম্প্রদায়িক রেষারেষির মধ্যে জন্ম হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটা প্রকৃত সেক্যুলার জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
একশো বছর আগে মাত্র একজন ছাত্রী নিয়ে শুরু হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ছাত্রীর সংখ্যা তের হাজারের বেশি। ১১ জুন, ২০২১ ছিলো সেই ছাত্রিটির ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এ অঞ্চলের মানুষের মনে রক্ষণশীল ও পশ্চাৎপদ সামাজিক অবস্থা থেকে উত্তরণের স্বপ্ন তৈরি করে দিয়েছিলো ১৯২০ সালে করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ। ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষ সবার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ অবারিত রাখা হয়েছিল। ১০০ বছর আগে ১৯২১ সালের ১লা জুলাই যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে, সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিলেন ৮৪৭ জন, যাদের মধ্যে ছাত্রী ছিলেন মাত্র একজন।
১। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রথম শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া একমাত্র ছাত্রী ছিলেন লীলা নাগ। তিনি ইংরেজি সাহিত্যে এমএ করতে ভর্তি হয়েছিলেন, ফাইনাল পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছিলেন। বাংলাদেশের জাতীয় এনসাইক্লোপিডিয়া বাংলাপিডিয়ায় লীলা নাগ সম্পর্কে বলা হয়েছে, “১৯২৩ সালে নারীশিক্ষা প্রসারের মূল উদ্দেশ্য নিয়ে লীলা নাগ দীপালি সঙ্ঘ নামে নারীদের একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। দীপালি সঙ্ঘের সাহায্য নিয়ে তিনি দীপালি স্কুল নামে একটি স্কুল ও অন্য বারোটি ফ্রি প্রাইমারি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।” তিনি (লীলা) নারীশিক্ষা মন্দির ও শিক্ষাভবন নামে পরিচিত অন্য দুটি স্কুলও প্রতিষ্ঠা করেন। নারীদের শিক্ষায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।”
জন্ম আসামের গোয়ালপাড়ায় ১৯০০খ্রিঃ ২ অক্টোবর, পিতা গিরীশচন্দ্র নাগ অবসরপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট । লীলা নাগের পিতৃ-পরিবার ছিলেন সিলেটের মানুষ। লীলার ছাত্রজীবন শুরু হয় ঢাকার ইডেন স্কুলে। ১৯২১ সালে তিনি কলকাতার বেথুন কলেজ থেকে মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে বি.এ পাশ করেন এবং সেখানে পদ্মাবতী স্বর্ণপদক লাভ করেন। সে বছর ১৯২১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল়য় প্রতিষ্ঠা হোলে তিনি ইংরেজি বিষয়ে এম.এ ভর্তি হন এবং ১৯২৩ সালে দ্বিতীয় বিভাগে এমএ ডিগ্রী লাভ করেন। তিনিই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম এম.এ ডিগ্রীধারী। লীলা রায় ঢাকা কলেজেও পড়েছেন। এ কলেজে তাঁর এক ক্লাস ওপরের ছাত্র ছিলেন সাহিত্যিক কাজী মোতাহার হোসেন চৌধুরী(ওনার চার পুত্র ও সাত কন্যা তন্মধ্যে – সনজীদা খাতুন, ফাহমিদা খাতুন, মাহমুদা খাতুন, কাজী আনোয়ার হোসেন, কাজী মাহবুব হোসেন এনারা সুপরিচিত) । লীলা রায় সম্পর্কে তিনি তাঁর স্মৃতিকথা নামক প্রবন্ধ সংকলনে লেখেন, ‘এঁর মত সমাজ-সেবিকা ও মর্যাদাময়ী নারী আর দেখি না। লীলার বক্তব্য ছিলো, নারীদেরও উপার্জনশীল হতে হবে, নইলে কখনো তারা পুরুষের কাছে মর্যাদা পাবে না। এ কারনে তিনি মেয়েদের রুমাল, টেবিলক্লথ প্রভৃতির ওপর সুন্দর নক্সা এঁকে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। এসব বিক্রি করে তিনি মেয়েদের একটা উপার্জনের পন্থা উন্মুক্ত করে দেন। ঢাকার মেয়েদের শিক্ষা বিস্তারে লীলা রায় বিশেষ ভুমিকা অনেকটাই অজ্ঞাত হোয়ে আছে। বর্তমান ঢাকার আরমানীটোলা বালিকা বিদ্যালয়, কামরুন্নেসা গার্লস হাই স্কুল ও শেরে বাংলা বালিকা কলেজ এসবের পূর্বনাম ছিলো নারী শিক্ষা মন্দির। এগুলো লীলারই অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল। ভারত ভাগের পর তিনি কলকাতায় কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
লীলা রায় ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেত্রী ছিলেন। এজন্য তাঁকে কয়েকবার কারাবরণ করতে হয়। ১৯৩১ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে ১৯৩৭ সালের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত লীলা ঢাকা, রাজশাহী, সিউড়ী, মেদিনীপুর জেল ও হিজলী বন্দিশালায় আটক ছিলেন। ভারতবর্ষে বিনা বিচারে আটক হওয়া প্রথম নারী রাজবন্দী লীলা নাগ। পরবর্তীতে আরও অনেকবার কারাভোগ করতে হয় তাকে। ১৯৪৭ এর দেশভাগের পর অনিল-লীলা দম্পতি পূর্ববঙ্গে বসবাসের উদ্যোগ নেন। এ সময় কবি সুফিয়া কামাল কলকাতা থেকে ঢাকায় চলে এলে লীলা নাগ তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। ১৯৫১ সালে ভারত সরকার প্রণীত উদ্বাস্তু উচ্ছেদের বিলের বিরোধীতা করে আবারও গ্রেপ্তার হন লীলা। তিনি মহিলা সমাজে মুখপত্র হিসেবে ‘জয়শ্রী’ নামে একটি পত্রিকা বের করেন। লীলা ছবি আঁকতেন, গান গাইতেন ও সেতার বাজাতে জানতেন। দেশভাগের দাঙ্গার সময় নোয়াখালীতে তিনি গান্ধীজীর সাথে দেখা করেন। লীলা রায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সহকারী ছিলেন। ১৯৭০ সালের ১১ জুন ভারতের কলকাতায় এই মহীয়সী নারীর জীবনাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্রঃ ১। আহমেদ জহুর কবি, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক azohur2002@gmail.com ২। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, সম্পাদনা:সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত এবং অঞ্জলি বসু, ১ম খণ্ড, সংশোধিত পঞ্চম সংস্করণ, সাহিত্য সংসদ, ২০১০, কলকাতা। ৩।দৈনিক আমারদেশ, জুন ৩০ ২০০৭। ৪। লীলা নাগ, সোনিয়া আমিন, বাংলাপিডিয়া, সংস্করণ 2.0.0 (সিডি সংস্করণ), বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত। ৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ বছর: রফিকুল ইসলাম। ৬। মুনতাসির মামুন লিখিত ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী (দ্বিতীয় খন্ড) পৃষ্ঠা-২০১। এবং ৭। স্মৃতিকথা – কাজী মোতাহার হোসেন পৃষ্টা ৫৮। ৮। দৈনিক প্রথম আলো, প্রকাশিত নিবন্ধ শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: সাফল্য-ব্যর্থতার খণ্ডিত খতিয়ান, সুরজিৎ রায় মজুমদার, কানাডা।
১ Comment
congratulations: