রুপন্তির রুপকথা
[জলশ্রী বাণী ডিয়ায]
রুপন্তি নামের বাহার সাজিয়ে শুভ্র মেঘের
ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিয়ে যায় রোদের ঝলমল
নিশ্চুপ সূর্যের বিলীন হয়ে এগিয়ে চলা এক আলো
যেনো তার মুগ্ধতা নিয়ে রুপন্তির রুপকথার গান
গেয়ে যায় দূর কোনো অজানায় যেখানে শূন্যতায়
এলোমেলো ভাবনায় ভাসিয়ে নিয়ে যায় এ উদাসী মন।
উদাসী হাওয়ায় উড়ে চলে এলোমেলো চুলের সুবাস ছড়িয়ে
গোলাপের সুবাসিত বাতাসের ছন্দে হারিয়ে যাওয়া এ মন
মিষ্টি হাসির ঝর্ণা ধারায় মিশে যায় গোধূলির আলোমাখা
সন্ধ্যা লগণ আসে ঘরে শঙ্খ বাজিয়ে তুলশী তলায় ধূপগন্ধী
আকাশপটের উপরে-সেইটুকুই জীবনের প্রতিটি মূহুর্তগুলো
চাঁদের মিটমিট আলোর ছায়ে ঝরে পড়া শিউলীর মালা
জড়িয়ে রুপন্তির রুপকথার গান গেয়ে যায় উড়িয়ে পাখা।
সাগরের বিশালতা আর ঢেউর গর্জনে আছড়ে পড়ে নীরব ভালবাসার রিনিঝিনি শব্দের নিঃশব্দ অনুভূতির ছোঁয়ায়
এ নির্জন চার দেয়ালের আড়ালে চুল চেড়া নিঃশব্দে বয়ে
চলে বাতাসের মোহন ছন্দে মাধুবীর সুবাসিত সুঘ্রাণ মাখা
তোমার ভালবাসার রিক্ত ডালা ভরে নিলে আপন মহিমায় উদ্বেলিত প্রাণের স্পন্দনে লেখা রুপন্তির রুপকথার বাহার
সুখের আবেশে যেমন দুঃখের মাঝেও মধুর সুখের আবাস।
কোনো কোনো কথা কোনো কোনো সুর জীবনের প্রতিধ্বনি দেয়া-নেয়া নিরাবেগ পাথরের মতো আমার চোখের গভীরে
স্বপ্নের আবেশে ঘোর মেঘালয় আরও অনেক ঘোরতর মেঘ
উড়ে চলে বাতাসের তোড়ে তচনচ করে আপন আলো ঝলমল নিশ্চুপ চোখের গভীরে হারিয়ে যায় আমার মনের অজান্তে পাহাড়ের গায়ে তুলোর মতো শুভ্র তুষারের স্তূপে চাপা নিশ্বাসের বঞ্চনা মিলায় চপল চরণ ফেলে হেঁটে যায় পুলকিত এ রুপন্তি।
নিঃশব্দে নিশ্চুপ গাছের তলায় রৌদ্রময় বিকেলে খুঁজে বেড়াই
নরম উষ্ণ আদর মাখানো ঝিরিঝিরি বাতাসে মিশে উঠে
বোবা কান্নার সুর ভাসে শাল-পিয়ালের নিবিড় ছায়ায় ছায়ায়
খুঁজে নিই না-ছুই অনুভূতির ছোঁয়ায় অসীম শূন্যতা ভরে গেলো
আমার বিষাদের কুহেলিকা বিহীন আঁখি ছলছল করে উঠে মনের ভেতর পুষে রাখা শত প্রশ্নের প্রহসনের বেড়াজালে বন্দী
হয়ে বিভোর নিথর এ হৃদয় চিড়ে বেরিয়ে আসে স্মৃতির দুয়ারে
দাঁড়িয়ে নিঃশব্দে নিশীথের রুপন্তির রুপকথার বাহার।
২৮/১/২০২২ ইং
রাতঃ ৮ঃ১৬ মি
ক্যালিফোর্নিয়া
১ Comment
congratulations