কষ্টের মিছিল
[মেশকাতুন নাহার]
৩১/০১/২০২২
এমন কিছু কারণ এসে
দেয় যে মনে কষ্ট,
ওরে কষ্ট কেন তুই যে
এত বড়ো দুষ্ট?
মনের ভিতর জবরদস্তি
করিস বসত বাড়ি,
সেই বাড়িতে বসে রে তুই
আগুনে দিস হাড়ি।
আড়াল থেকে বিষ মিশিয়ে
বক্ষে মারিস ছুরি,
জখম নিয়ে ভাঙা পথে
একলা আমি ঘুরি,
এত কষ্ট অন্তঃপুরে
বন্দী হয়ে আছে,
জ্বলে পুড়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত
বুঝার নেই কেউ কাছে।
প্রতি রাতে কষ্টগুলো
আমায় ঘিরে রাখে,
হরেক রঙে উদ্ভট সাজে
আসে লাখেলাখে।
মিছিল করে বলে তাঁরা
তোমায় ভালোবাসি,
পালাবে কই প্রিয় সঙ্গী
দেয় যে অট্টহাসি।
স্বৈরাচারী প্রেমিক
এক যে ছিল স্বৈরাচারী প্রেমিক
উন্মত্ত তাঁর আচার,
কঙ্কাবতী কে বন্দী করে
অন্ধকার ঘরের খাঁচার।
মানে না সে গণতন্ত্র
সিদ্ধান্ত তাঁর একার,
তুমি কারো হতে পারবে না
আমি হবো সবার।
হুকুম তাঁর নাহি শুনলে
চলবে যে অত্যাচার,
বাক্যবাণে হুল ফুটিয়ে
দেয় মানসিক প্রহার।
কথা বলার অধিকার নেই
একচ্ছত্র ক্ষমতা দাপট,
একাকী বসে অন্ধকার গুহায়
কঙ্কাবতী করে ছটফট।
শাসন করে চাবুক আঘাতে
দেখায় মেজাজ রাগ,
হরেক রঙে কায়দা করে
হৃদয়ে দেয় দাগ।
তাঁর আইনে চলবে রাষ্ট্র
চলবে সংবিধান,
রাষ্ট্র ছেড়ে চলে গেলে
যাবে রাণীর গর্দান।
দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়ায়
নিজের স্বাধীন মতো,
লাল,নীল পরীর গলায়
পরায় মালা মুক্তো।
দৌড়ে দৌড়ে স্বৈরাচারী
একদিন হবে ক্লান্ত,
জরাগ্রস্ত ভগ্নহৃদয়
তখন হবে শান্ত।