মুখোশ।
।।গোলাম ফেরদৌস মনির।।
দাঁতাল শূয়োর দাঁত কেলিয়ে হাসে-
স্বার্থের টানে কেবল উল্টাপাল্টা নাচে;
ওরা লোভাতুর শয়তান-নেই কোন মান-
এলোপাথারী চলন বলন-নিত্য অবিরাম… চলে একই ধাঁচে।।
মুখ এবং অন্তরের বিশাল ব্যাবধান-
লৌকিকতায় অসাধারণ-দুধের মতো সাদা;
ছলচাতুরীতে যেন জুড়ী মেলাই ভাড়-
খুঁজতে গেলে লাগে-আজব গোলক ধাঁধাঁ।।
কাজের বেলায়-দেবতা বানায় তোমায়-
স্বার্থসিদ্ধি শেষে-ভাগাড়ে ফেলে;
হায়রে হাল জামানার-কঠিন কলিকাল-
মনের মাঝে অবিরত-চিতার আগুন জ্বলে।।
ক্ষণিকেরই ভব হাটে-রঙবাহারী বেচাকেনা-
মুখের উপর চোখ উল্টিয়ে-মিথ্যে কথা বলে;
আসল ফেলে নকল তুলে-কেবলই উজানেতে চলে-
ফ্যাঁলফ্যাঁলিয়ে কেঁদে-ভাসায় চোখের জলে।।
মানুষ নামের কলঙ্ক ওরা–ওরা নরপিশাচ-
জীবন নামের রঙ্গ মঞ্চে-ওরা মুখোশধারী;
ঊনিশ থেকে কুড়ি হলেই-বিভৎস চেহারায়-
দিতে পারে বাঁশ–মাথায় মারতে পারে বারী।।
তাই সাধু সাবধান!রাখতে হলে মানবের মান-
মুখোশের অন্তরালে-খুঁজতে হবে মানুষ;
তবেই যে তুমি জ্ঞানী–পাবে পরিত্রাণ-
তাই চলায় বলায়-উঠতে-বসতে থাকা চাই হুঁশ।।
১ Comment
congratulations