পথশিশু:
[সাইদুল ইসলাম]
পথশিশু বলতে সাধারণত আমরা বুঝি টোকাই, রাস্তায় ঘুমায়, বস্তিতে থাকে, এতিম শিশু- যাদের বাবা-মা নেই। এ সকল শিশুদের গাইড / দিক নির্দেশনা দেয়ার মত কেউ থাকে না এক কথায় অভিবাবকহীন। আমার মতে এদের সংখ্যা যখন বেড়ে যাবে তখন সাধারণ জনগণের রাস্তায় বেড় হওয়া অনেক কঠিন হয়ে পরবে। সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে অধিকাংশ পথশিশুরা কোন না কোন ভাবে প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষ মাদকের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে বা জড়িয়ে যায়।
বিভিন্ন রাস্তায় প্রায়ই দেখা যায় পলিথিনের ভিতরে আঠা জাতীয় সলিউশন ভরে নাক-মুখ দিয়ে ঘ্র্যান নিয়ে নেশায় মগ্ন থাকে। যেমন হাইকোর্ট মাজার এলাকা, বাহাদুর শাহ র্পাক, গোলাপ শাহ মাজার এলাকা, আজিমপুর কবরস্থান এলাকা এছাড়াও রাজধানীর অনেক রাস্তার মোরে মোরে নেশা গ্রহণরত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। রাস্তায় চলাচলের সময় কাউকে একা পেলে আক্রমন করে, ছিনতাই করে হাতিয়ে নেয় মূল্যবান জিনিসপত্র, মোবাইল ও টাকা-পয়সা।
এবার সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু পরামর্শকমূলক কথা পথশিশুরা আমাদের লাল-সবুজ পতাকার একটি অংশ এবং বাংলাদেশের নাগরিক। সচেতন নাগরিক হিসাবে এ পথশিশুদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। যেমন ওমেন্স কর্নার নামে একটি সংগঠন পথশিশুদের নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করছেন। আমার মতে, সরকারিভাবে পথশিশুদের কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে পুর্নবাসন এর মাধ্যমে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। সরকারের পাশিাপাশি বে-সরকারিভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংগঠন এবং সমাজ সেবকগণ জোড়ালোভাবে ভূমিকা রাখলে পথশিশুরা, পথশিশু থেকে মূলস্রোতে ফিরতে পারবে।
লেখক-সাইদুল ইসলাম
৪ Comments
বর্তমান পেক্ষাপটের আলোকে কথাটা খুবই
গ্রহনযোগ্যতা পাবে।
আমাদের সাধারণ মানুষের শিক্ষােনিয় আছে।
সরকারের পাশাপাশি জনগণদেরও উদ্দোগ
নেওয়া উচিত
good job
wonderful