আধুনিক বিশ্বে খাদ্যের পরিমাণ বাড়ানো, আকারে বড় করা এবং সুন্দর করার জন্য যেমন মেডিসিন রয়েছে, তেমনিভাবে আমাদের বাংলাদেশেও আছে। মাছে পরিমানের অধিক ফরমালিন ব্যবহার হচ্ছে। কলার রং বৃদ্ধি করার জন্য কারবাইড ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন ফলের মধ্যে যেমন, আম, জাম, লিচু, আপেল ও আঙ্গুর ফলে পরিমানের চেয়ে প্রির্জাভেটিব বেশি ব্যবহার হচ্ছে। এমনকি বার্গাার এ প্রির্জাভেটিব ব্যবহার হচ্ছে। হোটেলের রুটি বা পরেটায় ইস্ট ব্যবহার হচ্ছে। বয়লার মুরগীকে চামড়ার ভূষি খাওয়ানো হচ্ছে। সরিষার তেলে ঝাজ বাড়ানোর জন্য ক্যামিকেল ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন দেশে পোড়া তেল ফেলে দেওয়া হয় অথচ আমাদের দেশে পুনরায় স্ট্রিটফুডে ব্যবহার করা হয়। সাধারণতঃ যে সব রাসায়নিক দ্রব্য বিভিন্ন ফল এবং খাবারের সাথে মিশ্রিত করা হয়ঃ ফরমালিন, আর্সেনিক, হাইড্রোজেন পার-অকসাইড, লিড, জিংক, ইকোলাই, ইথানিল, পোড়ামবিল, কাপড়ের রং ইত্যাদি। সাম্প্রতিক টিআইবি এর রির্পোট অনুযায়ী বয়লার মুরগীকে যে খাবার ও মেডিসিন দেওয়া হয় এতে প্রতি বৎসর ক্যান্সার রোগে মারা যায় এক লক্ষ লোক। কিডনি রোগে এযাবৎ আক্রান্ত হয়েছে বিশ লক্ষ লোক এবং পনের লক্ষ গর্ভজাত বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম হয়েছে।
পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী দেখা যায় মানিকগঞ্জে তরমুজ খেয়ে, দিনাজপুরে এবং পঞ্চগড়ে লিচু খেয়ে বাগানের মালিকের ছেলে মৃত্যু বরণ করেন।
বাংলাদেশে প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের অভাবে ভেজাল খাদ্য দিন দিন রেড়েই চলছে। ফলে বিশুদ্ধ খাবার অধিকার থেকে আমরা জনগণ বঞ্চিত হচ্ছি। রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত খাবার খেয়ে আমরা জীবনকে ঝুকিপূর্ণ করে তুলছি। ভ্রাম্যমান আদালত ভেজাল খাদ্য নিরসনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি উৎপাদনকারী, আমদানিকারক, আড়ৎদার, পাইকারী ব্যবসায়ী ও হোটেল মালিকগণ রাসায়নিক মিশ্রন ও ক্যামিকেল এর প্রয়োগ বা স্বচেষ্ট হলে খাদ্যে ভেজাল নিরোধ সম্ভব।
লেখক-সাইদুল ইসলাম
২৮/০২/২০২২
৫ Comments
congratulations
very good
congratulations
অসাধারন।।।শুভ কামনা রইল
waiting for next