১৫ই জানুয়ারী, ১৫ই রমজান আমার বাবার মৃত্যু বার্ষিকী, আজ ২৫ বছর আমাদেরকে এতিম করে ছেড়ে চলে গিয়েছেন দুর অজানার দেশে, বিশেষ করেএই , দুটি দিন আমরা ভাই বেনেরা দিনটি স্বরণ করি, আমার বাবা রইস উদ্দিন খাঁন এগ্রিকালচার ফাষ্ট ক্লাস গেজেটেড অফিসার ছিলেন উনি এমএ করেছিলেন কোলকাতা থেকে, আমার বাবা ছিলেন একজন আদর্শ বাবা, আমাদের চার ভাই চার বোনকে নিয়ে ছিলো উনার জগৎ, আমরা বাবাকে কখনও নামাজ রোজা কাজা করতে দেখিনি, উনার তেমন কোন বন্ধু ছিলোনা অফিস আর বাসা ছাড়া উনাকে কোথাও কখনও আড্ডা দিতে দেখিনি,আমাদের ভাইবোনের অসুখে বিসুখে রাতের পর রাত মাথায় পানি দিয়েছেন কাছে বসে থেকেছেন,আমার মায়ের অসুখ করলে বাবা কেঁদে ফেলতেন, অফিসের কর্মচারিকে কখনও ছোট নজরে দেখতেন না, পাশে বসিয়ে খাওয়াতেন, এবং অনেক লোককে চাকরি দিয়ে তাঁর রুজি রোজগারের ব্যবস্হা করেছেন।আমার বাবা আমাদের আদর্শ বাবা।
ভালোবাসি বাবা তোমাকে
জাহান আরা খাঁন কোহিনূর
বাবা আজ তোমায় বড্ড বেশী মনে পড়ছে
তোমার কথা মনে হতেই বুকের ভিতর
চাপা কান্নার ঢেউ
বিষাদে ছেয়ে যায় এই মন
বাবা তুমি কোথায় হারিয়ে গেলে
আমার মাথার উপরে বটবৃক্ষের ছায়াটা গেলো সরে
নিজের সুখ শান্তি বিসর্জন দিয়ে
আমায় নিয়েছিলে বুকে টেনে
অসুখে বিখুখে কত রাত জেগে বসে থাকতে
আমার শিয়রে
অসীম মমতায় দিয়েছো কত জ্ঞান
যে জ্ঞানে আজও আমি চলি মাথাটি উঁচু করে
বাবা ২৫ বছর দেখিনি তোমাকে
আজ রাতে কাঁদছি আমি তোমারি তরে
এই বুকের ভিতর শুধু নোনা রক্ত ঝরে
বাবা শুধু একটি বার তোমায় বুকে টেনে নিয়ে বলতে
ইচ্ছে করে,বাবা তোমায় আমি ভালোবাসি
ভীষণ ভালোবাসি
ভালেবাসি বাবা তোমাকে।
১৫/১ /২০২২
যশোর ষষ্ঠীতলাপাড়া
বাবুল কুটির