বিনিদ্র এ রজনী
জলশ্রী বাণী ডিয়ায
বিনিদ্র এ রজনী কেটে গেলো আমার অকারণে
প্রহরের মধ্যভাগে এসেও অহেতুক চিহ্ন মনের মাঝে
খুঁজে নিই নিজের কাছেই সব কিছু প্রশ্নের প্রহসনের
বেড়াজালে বন্দী হয়ে শুনি ভোরের প্রতিধ্বণি ডাকছে
নিরর্থক বাঁকা চাঁদের মতো কোনো এক কথা হচ্ছে দ্বিখণ্ডিত।
এ বিনিদ্র এ রজনী এলো সেই সাথে এলো নিশ্চুপ প্রহর
গাড়ির তীব্র গতিতে ছুটে চলা যেনো আগাম সতর্কসংকেত
জানানোর চেষ্টা করে যায় দূর কোনো যানজটের দুর্ভোগ,
পোহাতে হবে তোমাকে গোলাপের কাঁটায় হয়ে ক্ষত-বিক্ষত
দোলন-চাঁপার চাপা নিশ্বাসের বঞ্চনা মিলায় মৌন উপভোগ।
চপল চরণ ফেলে কখন যে হেঁটে যায় স্মৃতির দুয়ারে
নিষ্ঠুরতার সবচেয়ে প্রিয় নিষ্ঠুরতম শব্দ পতনের মতো
কেটে যায় কিছু আশায় একটি প্রহর অপেক্ষার অবসানে,
চোখের পাতায় পাতায় অবশিষ্ট ভাবনায় ভাসিয়ে ভেলা
উড়ে চলে শব্দেরও আগে যেনো এক বস্তু মনের প্রহসনে ।
একি নিশ্চুপ নিশিথ যায় যে নতুন পথের বাঁকে বাঁকে
নির্বাক-ধূসর শূন্যতা ঘিরে থাকা নীরব ভালবাসার রিক্ত
ডালা সাজিয়ে শুভ্র সাদা শিউলীর সুবাসিত বাতাসের ছন্দে
যেনো হারিয়ে যায় দূর কোনো অজানায় স্বপ্নের আবেশে
লিপ্ত হওয়া ধরা-ছোঁয়ার গন্ডিতে তেমন কিছুই রেখে বিলীন
হয়েছে তার কবিতা আমারও কবিতায় চঞ্চল বাতাসে।
নিরবতা ভেঙে দূর থেকে ভেসে এলো আজানের ধ্বণি
ভোরের শিশির ভেজা ব্যাকুলতা দেখা যায় এ হৃদয়ে
ক্লান্ত পথিক হেঁটে যায় পেটের ক্ষুধায় কোনো কাজের
সন্ধানে ঠিকানা বিহীন আঁখি ছলছল বায়ু হাহাকারে
বিভীষিকাময় শহরে চলে শুধু বাস্তবতার চরম সত্যের
মহাগ্রন্থের সারমর্ম বুঝার চেষ্টায় আঁখি নিদ্রা হারে ।।
৮/১২/২০২১ইং
সময় সকাল ৫ঃ৩৩মি.
গুলশান ঢাকা