বিজয় দেখেছি
(রেবিন চৌধুরী)
আমি যুদ্ধবিমানের চক্কর দেখেছি শুনেছি গুলির শব্দও
বাঙ্গালির বিজয়ের উল্লাস দেখেছি
দেখেছি স্বাধীনতা পরবর্তি রূপও।
কি করে স্বাধীনতার টুটি চেপে ধরেছিল চাটুকারেরা
চুপিসারে কোপ মেরেছে কতো
আমার কর্ণগোচর হয়েছে সব ।
সয়ংবঙ্গবন্ধুও দমাতে পারেননি অসুরদের দৌরাত্ম তাই হয়তো
কোনো স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলোনা!
বিজয়ের উল্লাসে বাঙালি পোলাপানও তখন ছিলো মারমুখো
মুক্তির আঁচে তারাও দেদারসে লাত্থ্যি মারছে
নরপশুদের নাকের ডগায়।
আমি তখন মাত্র পাঁচ বছরে,
আবছা আবছা মনে আছে অনেক কিছুই ।
বাবার মুখেই শুনেছিলাম নিয়াজির আত্মসমর্পণের কথা,
লাল সবুজের পতাকা খুব নেড়েচেড়ে দেখেছি
কিন্তু বুঝিনি এর কি বা স্বার্থকতা।
এরপর ধীরেধীরে আরো জানলাম যখন,
তখন আমিও কিছুটা বুঝতে শিখেছি, পড়তেও পারি।
একসময় বন্যা আর দূর্ভিক্ষে মানুষ যখন দিশেহারা
সে সময় ও চুরি ডাকতির মোহড়া ছিলো।
আমার মনে আছে, সে সময় কোন একদিন
পাশের বাড়ির হিন্দু এক মাসি কাঁপতে কাঁপতে এসে
বাবাকে বলছিলেন,গতরাতে রবি দেবের বাড়িতে নাকি
জনকয়েক ডাকাত ঢুকেছিল
সোনাদানা তো নিলোই,সাথে তার যুবতী মেয়েটার ইজ্জতও!
সবগুলো ডাকাতের নাক,মুখ কালোকাপড়ে বাঁধা ছিলো
বিধায় তারা চিনতেও পারেনি।
মাসির যুবতি দুটো মেয়ে তাই মাসিও কাঁদছেন
আমার বাবা তাকে অভয় দিচ্ছিলেন।
তখন সব না বুঝলেও এখন সবই মনে পড়ে,
প্রশ্নও জাগে, পরিচিত লোক না হলে মুখ বাঁধবে কেনো?
দু’লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম হারানোর ইতিহাস ম্লান করে দিয়ে
স্বাধীনবাংলার গলিতে প্রতিদিন ধর্ষণ করা হচ্ছে হাজারো নারী এবং শিশুকে তবে কীসের স্বাধীন?
এখনো স্বাধীনতার স্বাদ পায় নি সাধারণ জনগণ
আর তখনো যে পায়নি সেটাও এখন অনুমেয়।
দস্যিপণার পর দস্যিপণা ধুম চলছেে সবর্বকালেই ।
তিরিশ লক্ষ শহীদের রক্তে কেনা স্বাধীনতা নিয়ে চলছে টানাটানি
কে রাজাকার কে সৈরাচার
এসব নিয়ে মিথ্যাচার আর সত্যাচারের লড়াই ছাড়া
জাতি কি স্বাধীনতা বলে কিছু পেয়েছে?
বিজয় দেখেছি কিন্তু পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেলেও
স্বাধীনতার সুফল দেখিনি।
৩ Comments
আমার কবিতাটি প্রকাশ করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
Fufu ami Arabi go
Hi show nice