ডা. সিনহা আবুল মনসুরকে নিয়ে লিখেছেন আমেরিকান প্রবাসী কবি সারওয়াৎ জাবীন লুবনা:
বিখ্যাত কথা সাহিত্যিক, চলচিত্র পরিচালক, সংগঠক এবং বিশিষ্ট চিকিৎসক (অ্যানাস্থোলজিস্ট), দার্শনিক আমেরিকার নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড নিবাসী ডা. সিনহা আবুল মনসুর গত ১৪ই অক্টোবর আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে আমেরিকা সময় সকাল সাড়ে নয়টার সময় চলে গেলেন সেই না ফেরার দেশে। তিনি নিউইয়র্কের স্টোনি ব্রুক ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে (Stony Brook University Hospital) চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী ডা. ফেরদৌসী শিল্পী এবং দুইজন ছেলে সন্তান রেখে গেছেন। আজ ১৫ই অক্টোবার (ইউ. এস.এ সময়) দেড় ঘটিকায় জামাইকা মুসলিম সেন্টারে জানাজা অনুষ্ঠিত শেষে বিকাল চার ঘটিকায় লং আইল্যান্ডের ‘ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল’ গোরস্থানে উনার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
পেশায় তিনি ছিলেন একজন চিকিৎসক। চিকিৎসক হলেও তিনি ছিলেন একজন শক্তিশালী লেখক। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো চিকিৎসা বিজ্ঞান সংক্রান্ত বই ‘Essential Topics and Cases for Anesthesia Oral Board’(২০১১), ভ্রমন কাহিনী ‘সেই অদ্ভুত ভ্রমন’ (২০১২), ‘হুমায়ুনঃ একজন হেমিলনের বাশিঁওয়ালা’ (২০১৩), ‘দ্বীপ ও জনপদের গল্প’
( ২০১৪), ‘জীবনানন্দঃ সময়ের নিঃসঙ্গ নাবিক’, ‘জীবন এতো ছোট কেন’, ‘একজন মুক্তিযোদ্ধর না বলা কথা’, ‘ঘুরে দেখা শান্তিনিকেতন কাঠমুন্ডু ও দার্জিলিং’ ইত্যাদি।
তিনি ‘দ্বীপ ও জনপদের গল্প’ বইটি লিখে পেয়েছেন ‘বাংলাদেশ রাইটার্স ফাউন্ডেশন’ পুরস্কার, ‘জীবনানন্দঃ সময়ের নিঃসঙ্গ নাবিক’ লিখে কোলকাতা থেকে পেয়েছেন ‘আন্তর্জাতিক রুপসী বাংলা সাহিত্য’ পুরস্কার। সিনহা মনসুর পরিচালিত ‘একাত্তরের কারাবাস’ চলচিত্রটি এ বছরই মুক্তি পায়।
তাছাড়া ‘Leading Physician of the World’ তালিকায় বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি স্থান করে নিয়েছিলেন।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা- ডা. কানিজ ফাতেমা চন্দনা, ডা. বিএম আতিকুজ্জামান।
(সিনহা ভাই ছিলেন আমার বড়বোন ডা. কানিজ ফাতেমা চন্দনা এবং দুলাভাই ডা. মুনিবুর রহমান খান (Psychiatrist, New York) এর খুব কাছের আদরের ছোটভাই।
আর তাই সেইসূত্রে উনি আমার অপরিপক্ক লেখাগুলো পড়ে মাঝে মাঝে লেখালেখির ব্যাপারে আমাকে বড় ভাই সুলভ অনেক উপদেশ ও উৎসাহ দিতেন। উপহার হিসাবে উনি উনার ‘জীবন এত ছোট কেন’ বইটি আমাকে পাঠিয়েছিলেন।
আল্লাহর কাছে দুহাত তুলে দোয়া করি আল্লাহ্ যেন উনাকে জান্নাতবাসী করেন এবং ভাবীকেও যেন দুই সন্তান নিয়ে সব দুঃখ সামলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি দেন।)