করোনা মহামারির কারণে এ বছরও দুই সপ্তাহ পিছিয়ে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি শুরু হয় অমর একুশে বইমেলা। শুরুতে ঘোষণা ছিল, মেলা চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে করোনা পরিস্থিতি ক্রমে শিথিল হওয়ায় লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের চাওয়া মেটাতে মেলার সময় বাড়ানো হয়েছে আরও ১৭ দিন। অর্থাৎ, আগামী ১৭ মার্চ পর্দা নামবে মাসব্যাপী এ প্রাণের মেলার।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) ছিল মেলার বর্ধিত সময়ের প্রথম দিন। এদিন দুপুর গড়ানোর পর থেকেই মেলাপ্রাঙ্গণে ক্রেতা-দর্শনার্থী ও লেখক-পাঠকদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সরেজমিন ঘুরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত মেলার সোহরাওয়ার্দী অংশে ছিল সর্বস্তরের বইপ্রেমী মানুষের উপচেপড়া ভিড়।
এদিন রাজধানীর আজিমপুর থেকে বইমেলায় আসা মনিতা সিনহা জাগো নিউজকে বলেন, মেলায় আগেও দু-একবার এসেছি। আজও এলাম। ঘুরছি, বই দেখছি। ভালো লেখকের নতুন বইয়ের সন্ধান করছি। বইমেলার সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। নতুন নতুন ভালো বই এলে সেগুলো সংগ্রহ করে পড়ার সুযোগ হবে।
মাসব্যাপী চলা প্রাণের এ মেলার সময় বাড়ানোর বিষয়ে লেখকরা জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে পাঠকদের উপস্থিতি বাড়ছে। অনেকে বই দেখছেন, পছন্দের বই কিনছেন। এটা বেশ ভালো সিদ্ধান্ত যে, পাঠকদের বই কেনার সুযোগ তৈরি হয়েছে সময় বাড়ানোয়।
বইমেলার সময় বাড়ানোয় সন্তোষ প্রকাশ করছেন প্রকাশকরাও। তারা বলছেন, শুরুতে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় নির্ধারিত থাকায় অনেক নতুন বই মেলায় আনা সম্ভব হয়নি। সময় সংক্ষেপনের কারণে লেখকদের অনেক বই প্রকাশে অনাগ্রহ দেখিয়েছেন। সময় বাড়ানোয় এখন প্রতিদিনই নতুন বই আসবে। পাঠকরাও পছন্দের বইটি সংগ্রহ করতে পারবেন।
আগামী দিনগুলোতে বেচাকেনা আরও জমজমাট হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীদের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বইমেলার সময় ১৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে গত রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ।