প্রতীক্ষা
দুশ্চিন্তার প্রবল স্রোতের ধারায় ভেসে যাচ্ছে আমার সুখচিন্তা গুলো।
ভয়, শংকা, উৎকন্ঠায় যেন শ্বাস বন্ধ হবার উপক্রম।
এ যেন এক অচেনা গ্রহে অবস্থান করছি আমি,
ধরণীর এ রূঢ় আচরণ আমি আগে কখনো দেখিনি।
এখানে সব কিছুই যেন আমার বিরুদ্ধাচারণ করছে।
বন্দিণীর মত ছটফট করে চলেছে আমার প্রাণ।
কতদিন খোলা আকাশের নিচে হেঁটে বেড়াই না,
কতদিন পথ চলতে চলতে হঠাৎ ঠান্ডা হাওয়া এসে লাগে না গায়,
অনেক দিন হয়ে গেল আমি আইস্ক্রিম খাই না ঠান্ডা লেগে যাবার ভয়ে
মাথা ঘোরার ভয়ে জর্দা দিয়ে পান খাই না কতদিন!
এত অস্বাভাবিকতা নিয়ে আমি শারীরিক ভাবে হয়তো সুস্থ আছি
কিন্তু মনের এক বিরাট অসুস্থতা আমায় গ্রাস করছে।
প্রতিনিয়ত এক অনিশ্চয়তার মাঝে সামলিয়ে নিতে,আমি যেন বাধ্য করছি আমাকে।
এভাবে আর কতক্ষণ? কতদিন? কত মাস? নাকী বছর?
কবে আমি ফিরে পাবো আমার চেনা-জানা সেই জগদ্বাসী কে?
যেথায় শীতল সমীরণে উন্মুক্ত আকাশের নিচে পথ চলায় কেউ প্রতিহত করবে না আমায়
যেথায় আমি দু’হাতে আলিঙ্গন করবো আমার ভালোবাসা কে
বুক ভরা আশা নিয়ে তারই প্রতীক্ষায় আমি
অস্তিমান।
বেড়ি
চলছে জীবন, চলার মতন,
যাচ্ছে চলে সময় কখন
পাচ্ছি না টের হচ্ছে কী সব?
ভাবতে গেলেই হচ্ছি নিরব।
মনের সকল চাওয়া গুলো ডুবে গেল কোন সাগরে,
খুঁজতে গেলেই ফিরে আসি না পাওয়া সব কষ্ট নিয়ে।
একটা সময় ইচ্ছে হত ডানা মেলে উড়ব আমি,
এখন আমি বন্দি পাখি, ছটফটিয়ে কেঁদে মরি।
রাণীর মতো চলবো আমি, আদেশ করব দাস-দাসিদের,
এখন আমি নিজেই দাসি আদেশ মানি সকলের
এমনি করেই জ্বলতে জ্বলতে জীবন হবে চুর্ন
সেই দিনই সব পাওয়া গুলো হবে আমার পুর্ণ।
অভিপ্রায়
ভুলে ভরা পথে হেটেঁছি অনেক
সঞ্চয় কিছু নাই তার,
ভেবেছি বহুবার শুধরে যাবো
হয়ে ওঠেনি তা আর।
তুচ্ছ আমি, মিথ্যে অহমিকায়
জীবন করেছি পার,
ভেবেছি বহুবার শুধরে যাবো
হয়ে ওঠেনি তা আর।
হিংসারে করিব বিতাড়িত
লোভ কে করিব সংবরণ,
রাগ কে করিব উন্মুলিত,
ক্ষমা রে জানাইবো আমন্ত্রণ।
ভেবেছি নিজেরে অর্পণ করিব
তোমারই ছায়া তলে,
ভুলিয়া ধরণীর মনোহরত্বে
সবই গেল রসাতলে।
ক্ষমা করো প্রভু, ক্ষমা করো আমায়
আমি যে তোমারি সৃজন,
হয়তো বা সময় যায়নি ফুরায়ে
নিজেরে গড়িতে মনোরম।
আরেকটিবার প্রশ্রয় দাও, দাও দৈবযোগ
মলিনতা সকল দূর করিব,
হয়ে, পুণ্যের সাথে সহযোগ।
২ Comments
অসাধারণ কবিতাগুচ্ছ ফারজানা হলির। পড়ে খুব ভালো লাগলো।
জীবন নিয়ে এত হতাশা কেন হলি?
জীবনের সব প্রস্নের উত্তর খুজতে হয়না।
এর নামই জীবন।
অনেক প্রাপ্তি আছে, আছে অর্জন।
এলোকেশিনী হয়ে কেম্পাসে চলে আয়, ভাল লাগবে বন্ধু।