দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন লেখক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফরিদুর রেজা সাগর। তিনি কিডনি রোগে ভুগছেন বলে কয়েকটি সূত্র জানায়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম যুক্তেরাষ্ট্রে ফরিদুর রেজা সাগরকে দেখতে গিয়েছিলেন। তিনি এক ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘আমেরিকার নিউইয়র্কে একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বহুমুখী প্রতিভা সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ফরিদুর রেজা সাগর কে দেখতে গিয়েছিলাম। তার শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। প্রত্যাশা করি তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। আল্লাহ সহায় হোন । কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি সাগর ভাই আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসুন আপন মহিমায়।’
ফরিদুর রেজা সাগর ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড, চ্যানেল আই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজেকে লেখালেখিতে সম্পৃক্ত রেখেছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
২০১৬ সালে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসাবে একুশে পদক পেয়েছেন। ২০০৪ সালে শিশুসাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র প্রযোজনার জন্য ৯ বার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে এ পর্যন্ত সাতবার শ্রেষ্ঠ প্রযোজক হিসাবে পুরস্কৃত হয়েছেন। এ প্রযোজকের প্রযোজিত চলচ্চিত্রগুলো এযাবৎ ২১১টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছে। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজনার জন্য বাচসাসসহ বিভিন্ন সংগঠন তাকে পুরস্কারে ভূষিত করেছে। শিশুসাহিত্যে অবদানের জন্য পেয়েছেন অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার, রোমেনা আফাজ স্মৃতি স্বর্ণপদক, টেনাশিনাস পদক, ইউরো শিশুসাহিত্য পুরস্কার ও দাদাভাই শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১৯। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র প্রযোজনার জন্য ফরিদুর রেজা সাগর বিদেশেও বহুবার নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। শতাধিক গ্রন্থের লেখক ফরিদুর রেজা সাগরের লেখা ‘ছোট কাকু সিরিজ’ ছোট-বড় সবার কাছে সমান জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
ফরিদুর রেজা সাগরের বাবা প্রয়াত ফজলুল হক এ দেশের চলচ্চিত্র নির্মাণ ও সাংবাদিকতার পথিকৃৎ ছিলেন। মা রাবেয়া খাতুন দেশের প্রথিতযশা কথাসাহিত্যিক ছিলেন।