জীবন খেলা ঘরে
[ম, আ, কুদ্দুস পদ্মা]
আমি হেরে গেছি বেঁচে গেছি মরিনি তো ছলনার অভিনীত ভালোবাসার কাছে
জিতে গেছি হেরে গিয়ে মিথ্যের ফাঁদ থেকে বেঁচে জীবনের সঠিক বোধ মুক্তির পথে।
কিছু প্রেমে থাকে দ্বিচারী স্বার্থ গন্ধময়-কেবলই দীর্ঘতর ক্ষয়,
অপচয় সময়-ফুলের মাঝে দূষ্ট কীট সে তো বিষ কন্টকময়।
প্রেম আসে সবারই জীবনে আশা জাগায় সবারই মনে কেউ সুখি বা কেউ দুঃখ পোহায়।
সব প্রেমই যে স্বার্থক হয় এমন টা ভাবা ঠিক নয়।
দর কষাকষির ঝরে আসলের আবরণ খুলে নকলটি বেরিয়ে যায়।
ভুল নির্বাচনের ভুলের মাশুল দিতেই হয়,
নিষ্ঠুর অসুলের কাছে পাই পাই গুনে তবু শেষ হয় না সে পাপ সম প্রায়াশ্চিত্তে।
সব প্রেম প্রেম নয় রুপের সমীকরণে যেমনটি হওয়ার কথা পরম বিশ্বস্থতা-তেমন তো নয়।
ভালোবাসার রহস্যময় ধাধার পরিক্ষণে
টিকে থাকার ওঠানামার পেন্ডুলাম ঘোরেই যেহেতু মন,
স্থিরত্ব স্থিতের ব্যাপারটা অদৃশ্যে অগচরের হাতে
মন চেনার কষ্টি পাথরে ঘষে কেবা মন চিনে প্রেমে পরেছে?
মন -মনের সহোযোগ!
কয়জনের ভাগ্যেই বা জুটেছে,
পেয়ে ধন্য হওয়ার স্বার্থকতায় পরিপূর্ণার চাঁদমুখ দেখা।
সাচ্চা প্রশান্তির আশায়!
কে কার শ্বপ্ন বুননে আশা পুরনে আশ্রয় খুঁজি নিবিড়
বিশ্বাসের বেদীমূল বুকে মাথাটি সোপর্দ করে?
হয় তো তখন নিয়তির ক্রুর হাসির ক্যানভাসে অন্য কিছু চিত্র আঁকা,
দীর্ঘ বিচ্ছিন্ন বিচ্ছেদের পরাভব রাশি লেখা !
যাহা অজানা।
প্রেমভাগ্যসহায় রাজপুত নন্দন হয়ে আমি বাঁচতে স্বচেষ্ট সেই বিশ্বাসে।
রোমান্স দিয়ে শুরু বিচ্ছেদ বিরহ দিয়ে যেন শেষ না হয়,
দুদিনের জীবন খেলা ঘরে।
এই আশা জীবন ভালোবাসায়।